পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন ভারতের ধর্মমত גט করিলেই, তাহাদের সরলতা এবং দৃঢ়তার পরিচয় পাওয়া যাইতে পারে। এই কারণে ভারতীয় ধর্মসংস্কারকগণ মুক্তিপ্রার্থীদিগের নিকট হইতে অন্ধবিশ্বাস এবং আশার এইরূপ প্রমাণোক্তি সংগ্ৰহ করিয়াছিলেন। ধমাচরণেরও যেমন ভিন্ন ভিন্ন পন্থা প্রচলিত হইতে লাগিল, দর্শনশাস্ত্রীয় জ্ঞান ও সিদ্ধাস্তও তৎসঙ্গে সমভাবে পরিবর্তিত হইল। বিদ্যা, অর্থ এবং লোকের সহিত অধিক পরিমাণে মিলনের দরুণ নাস্তিকতার প্রতি সাধারণতঃ সকলেরই আসক্তি জন্মিল। ছয়টা নাস্তিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধবাদী ছয়ট দৃঢ় ধর্মমত ও ধর্ম সম্প্রদায় প্রবর্তিত হইল। মানসিক ও প্রাকৃতিক দৃপ্তাবলি তৰ্কশাস্ত্র সাহায্যে আলোচনা করিয়া, ঈশ্বর-জ্ঞান মীমাংসার চেষ্টা হইতে লাগিল ॥২২ পরমাণুর সত্বা ও অবিনশ্বরত্ব, এবং জ্ঞান ও বিবেক প্রভৃতি সম্বন্ধে বিচার আরম্ভ হইল। জীবন ও আত্মা উভয়ই পরস্পর পৃথক,—আবার আত্মা ও জীবন উভয়ই এক এবং ঈশ্বরের সহিত তুল্য,—এই সমস্ত বিষয় লইয়া বাদানুবাদ চলিতে ২২ । তাহাদের ছয়টি শ্রেণীই, যুক্তি তর্ক এবং স্বভাব ( শরীর) বিষয়ে গ্রীকদিগের তিনটি দার্শনিক সম্প্রদায়ের অনুরূপ। অথবা চলিত কথায় দেববাণী’ ( বা নীতি), হেতু এবং ইপ্রিয় সম্বন্ধে এই শ্রেণী বা সম্প্রদায় সমূহ প্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। জৈমিনীর ‘পূর্ব মীমাংসা' এবং ব্যাসের উত্তর মীমাংসা’ বা বেদাপ্ত, ৰেদের অবলম্বনে লিখিত। ‘পীথাগোরাসের নৈতিক মতের সহিত উহাদের অনেকটা সাদৃপ্ত দেখা যায়। গৌতমকৃত ‘ছায় বা তার্কিক মত জেনোফেলদিগের তর্কশাস্ত্রের সমতুল্য। কপিলের সাংখ্যদর্শন, এবং পাতঞ্জলের পরিবর্তিত সাংখ্য-দর্শন বা ‘যোগ, উভয়ই নাস্তিকতার ভাবে পরিপূর্ণ। উহা থেলের জড়জাগতিক আইওনিক মতের সদৃশ বলিয়া বোধ হয়। কিন্তু কণদের বৈশেষিক মীমাংসার তার্কিক মত এৰং ইঞ্জিয়-সম্বন্ধীয় মত উভয়েই বিদ্যমান । যদিও বৈশেষিক মতটি ‘এ্যাটোমিক এই বিশেষ নামে সাংখ্য বা নাস্তিক মতের সহিত একই জাতীয় গণনা করা যায় ; কিন্তু উহা পূৰ্ববতী মতের নিকটসম্পৰ্কীয় অধৰ গৌতমের স্থায়শাস্ত্রের তুল্য বলিয়া মনে হয়। মি: ওয়ার্ড ( on the Hindoos ii, 113 ) প্রত্যেক শাস্ত্রকারের পরস্পর তুলনা করিয়া তাহদের সাদৃপ্ত দেখাইতে চেষ্টা করিয়াছেন। কিন্তু, এ পর্যন্ত ভারতীয় দর্শনশাস্ত্র বা গ্রীকদিগের ধর্মমতের প্রকৃত গুরুত্ব বিষয়ে আমাদের জ্ঞান সীমাবদ্ধ ; সুতরাং এইরূপ সামগ্রস্তের সত্যতা এবং কার্যকারিত নিম্পন্ন করাও দুরূহ। এই দুই সম্প্রদায়ের বিশেষ সমতা সম্বন্ধে এলফিনষ্টোন যে কতকগুলি স্কায়সঙ্গত যুক্তি দেখাইয়াছেন, তাহা দ্রষ্টব্য। ( History of India, i, 234, ) আধুনিক ছয়টি নাস্তিক সম্প্রদায়ের মধ্যে চারিটি বৌদ্ধ সম্প্রদায় দেখিতে পাওয়া যায়। যথা— “ৰোত্রান্ত্রিক, মাদেওমিক, যোগাচার এবং ঐবসিক’। দুইটি জৈন সম্প্রদায়ও ইহার অন্তর্ভুক্ত-যথা, দিগম্বর এবং "শ্বেতাম্বর” । “দিগম্বর সম্প্রদায় মনে করে, স্ত্রীজাতি মুক্তি লাভে অসমর্থ এবং তাহাদের আত্মাও অমর নহে। যদি ভিন্ন ভিন্ন জৈন সম্প্রদায়কে এক বৃহৎ শ্রেণীর অন্তর্ভুক্ত করা যায়, তাহা হইলে, ‘চার্বাৰু’ ৰ ‘ৰাহঁম্পত্য' সম্প্রদায় উপরোক্ত ছয়টির ষষ্ঠটি বলা যাইতে পারে। ইহার ঘোর নাস্তিক ; প্রচলিত ধর্মমতের কোনটিই ইহার অনুসরণ করে না। হিন্দুগণ মনে করেন, "জুপিটার গ্রহের প্রতিনিধি বৃহস্পতি— নাস্তিকতার আদি দেবতা। কারণ সাধারণ লোকে ঈশ্বর-স্তন্ত ক্ষমতাকেই ধর্ম বলিয়া মনে করে, এবং নিৰ্বজ্ঞাতিশয়ে তাহারই উপাসনা করিয়া থাকে। ঈশ্বর চিস্তা এবং সৎপথে থাকিয়া তাহারা এইরূপ ধর্মাচরণ করতঃ ধর্মের অধিকারী হইতে লাগিল। এই সময় হইতেই বৃহস্পতি নানারূপ ভ্ৰমাত্মক বিষয়ের DDDDD DDDS BDD DDBBDDD DBBSBBD DD DB BDD DDBS BBB BBB BDD পারিল না।