পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৮১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

989 শিখ-ইতিহাস সৈয়দগণ আপনাদের জাতিগত পবিত্রত রক্ষা করিতেছিল ; কিন্তু মোগল ও পাঠানগণ রাজপুতজাতির স্বাতন্ত্র্য-নীতি অনুসরণ করিয়াছিল। নূতন নূতন কুসংস্কারে প্রাচীন ধর্ম বিশ্বাসসমূহ বিদূরিত হইতে লাগিল। পীর’ এবং ‘স্বহিদগণ যোগী এবং ‘সন্ন্যাসীগণ অলৌকিক কার্য-সম্পাদনে কৃষ্ণ এবং ভৈরবের স্থান অধিকার করিল। মুসলমানগণ অভীষ্ট সাধনোপযোগী দেবতার উপাসনা করায়, তাহাদের একেশ্বরবাদিত বিলুপ্ত হইল। এইরূপে আচার-পদ্ধতি এবং ধর্মমতসমূহ পরস্পর বিরুদ্ধাভাবাপন্ন হইয়া উঠিল। অল্পসংখ্যক কতকগুলি লোক কোরাণ এবং বেদ প্রভৃতি ঈশ্বর বাক্যসমূহ যথারীতি পালন করিতে লাগিল ; কিন্তু অধিকাংশ লোক মানসিক উত্তেজনা বশে ব্রাহ্মণ, মোল্লা, মহাদেব, মহম্মদ প্রভৃতির প্রতি আস্থাহীন হইল ॥২৫ ২৫। গীবন ( History, ii, 356 ) প্রতিপন্ন করিয়াছেন, গ্রীক ও রোমানদিগের নাস্তিকতায় খৃষ্টধর্ম প্রচারের বিশেষ সুবিধা হইয়াছিল। ‘কোয়াটার্লি রিভিউয়ের’ ( for June, 1846, P. 116) একজন লেখকও তদনুকূল মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছেন। সেকেন্দর সাহের আক্রমণকালে এবং রোমরাজ্যের প্রাধান্য সময়ে, এসিয়া এবং ইউরোপের কুসংস্কারগুলির পরস্পর মিশ্রণ সংসাধন হইয়াছিল বলিয়াই যে, আধুনিক নাস্তিকতার স্বষ্টি হইয়াছে, এ কথা কেহই সম্পূর্ণরূপে স্বীকার করেন না। মুসলমানদিগের সভ্যতা এবং শিক্ষা-প্রভাবে ইউরোপীয়দিগের মানসক্ষেত্র গঠিত হইয়াছিল, অধুনা তাহ। সকলেই অস্বীকার করেন। কিন্তু শারীরিক এবং মানসিক বিজ্ঞান-সম্বন্ধে আমাদের বাধ্যবাধকতা "zgjafn’ stątą şfind fiftĘR 1 ( Literature of Europe. i. 90, 91, 149, 150, 157, 158, 189, 190. ) অক্সফোর্ড কলেজের প্রতিনিধি, সমালোচক এবং স্বভাব-কবি উইলিয়ম গ্রে (Sketch of English Prose Literature. P. 22, 37) কেবল এসিয়ার কল্পনাশক্তির প্রশংসা করিয়াই বিরত হন নাই। তিনি মুক্তকণ্ঠে স্বীকার করিয়াছেন যে, গথ জাতির প্রতিভার উপর সেই কল্পনাশক্তির প্রভাব বিস্তৃত হইয়াছিল। তাহারাও সেই জ্ঞানের অধিকারী হইয়াছিল, এবং তাহা সর্বত্র বিস্তার করিয়াছিল। ইহা প্রথমে ভারতবর্ষে মিশরে ইহার উৎপত্তি হয় ; গ্রীক এবং রোমীয়গণ উহার পরিবর্তিত এবং পরিমাজিত অংশ গ্রহণ করিয়াছিল। ইদানীং এই বিজ্ঞান শাস্ত্র আধুনিক ইউরোপীয়গণ কর্তৃক বহুলভাবে এক নির্দিষ্ট পথে পরিচালিত হইয়াছে। খৃষ্টানদিগের বিবেক-শক্তি অপেক্ষ মুসলমানদিগের বিবেক-শক্তি অধিকতর প্রখর এবং শ্রেষ্ঠ ছিল ; দার্শনিকদিগের বিবেক-শাস্ত্রই তাহার প্রকৃষ্ট দৃষ্টান্ত। বর্তমান সময়েও, স্পেনের রাজ্যশাসন নীতিতে, চিকিৎসা এবং জ্যোতিষ-শাস্ত্রের চলিত ভাষায়, ইউরোপের করদরাজ্য সমূহের প্রচলিত ‘গান সমুহে, তাহার প্রমাণ লক্ষিত হয়। এই গানগুলি আরব দেশীয় ধর্ম-প্রচারকের, এবং কিংবা সারাসেনদিগের উদ্দেশে গীত হয় ; অথবা ইহাতে মুসলমান পদবীযুক্ত খৃষ্টান বীর-পুরুষ ‘কীডের কার্যাবলী ও বর্ণিত ও কীর্তিত হইয়া থাকে। “worso' (History of Inductive Sciences i, 22, 276) &tfooth of aton co, afānজাতি প্রকৃত বিজ্ঞানশাস্ত্র,-প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, কি দৰ্শন-বিজ্ঞান শাস্ত্রের উন্নতিকল্পে যদি কিছু করিয়া ধ্ৰু, তবে তাহার পরিমাণ অতি অল্প। আরবজাতির বৈজ্ঞানিক উন্নতির বিষয়, হরেওয়েল একটি চাকরের গল্পের সহিত তুলনা করিয়াছেন।—তিনি বলিয়াছেন যে, চাকরটির শক্তি ছিল বটে ; কিন্তু তারা কোনই কাৰ্য সাধিত হয় নাই। যাহা হউক, নিম্নলিখিত হেতুবাদে হয়েওয়েল তাঁহাদের দোষ অপনোদনও করিতে পারিতেন ;—জারৰ জাতির সমস্ত প্রতিভা-শক্তি ধর্ম প্রচারে নিয়োজিত হইয়াছিল । তাহাদের চেষ্টায় পারস্তের দুষ্ট-নীতি সৎপথে আনীত হইয়াছিল ; ভারতবর্ধে একেশ্বরবাদিতার পুনঃপ্রতিষ্ঠা হইয়াছিল ; এবং আজ পর্যন্তও ইউরোপীয়গণ আফ্রিকার যে সকল স্থান দর্শন করিতে সমর্থ হন নাই, জারৰজাতি প্রতিভাৰলে তথাকার ঘোর পৌত্তলিক ধর্মেরও উচ্ছেদ সাধন করিয়াছিল।