পাতা:শিখ-ইতিহাস.djvu/৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচীন ভারতের ধর্মমত es বিশ্বাস এবং জীবনের মুখস্বচ্ছন্দ বিসর্জন, —সেই জাতিভেদ ধংসের উপায় মধ্যে পরিগণিত হইল। পরবর্তী যুগে, ১৪৫০ খৃষ্টাব্দে, অজ্ঞাত তন্থবায় সম্প্রদায়ভুক্ত কবির নামক রামানন্দের একজন শিষ্য পৌত্তলিক ধর্ম বা মূর্তি উপাসনা প্রথার উচ্ছেদ সাধন করেন । র্তাহার প্রভাবে কোরাণ এবং শাস্ত্রের প্রভুত্ব ও কাৰ্য্যকারিত, এবং শিক্ষিত ভাষা ব্যবহারের পক্ষপাতিত্ব ধ্বংস প্রাপ্ত হয় । তিনি হিন্দু মুসলমান উভয় জাতিকে সমভাবে শিক্ষা দান করিতেন ; তিনি তাহাদিগকে কল্পিত কবিরের উপাসনা করিতে বলিতেন, এবং আভ্যন্তরীণ পবিত্রতা-লাভে সর্বদা যত্নবান হইতে উপদেশ দিতেন। সমগ্র স্বষ্টি বা জগতকে, তিনি 'মায়া’ বা প্রতারণা ও ইন্দ্রজাল-পরিপূর্ণ স্ত্রীমত্তি বলিয়া বর্ণনা করিতেন । এইরূপে তিনি মানবের দুর্বলতা এবং পাপকার্য্যে আসক্তি সম্বন্ধে নানারূপ ভয় প্রদর্শন করিয়াছিলেন । প্রকৃত পক্ষে কবির ঈশ্বরের বাহ সাদৃশু স্বীকার করিতেন ; তিনি প্রচার করিয়াছিলেন, রাম অথবা বিষ্ণুই ঈশ্বরের সর্বশ্রেষ্ঠ বিশুদ্ধ প্রতিকৃতি। পূর্ববর্তী সংস্কারকগণের ন্যায় তিনিও ভ্রমবশঃত জগদীশ্বরকে নানা আকৃতি প্রদান এবং বহুগুণে ভূষিত করিয়াছিলেন। তিনি বলিতেন —গৃহস্থাশ্রম পরিত্যাগ করা বিধেয় ; ‘সাধু’ অথবা পবিত্র, নিষ্পাপ বা বিশুদ্ধ ব্যক্তি, সহিষ্ণু, ধীর বা নিরীহ উপাসকই ইহজীবনে সবশক্তিমানের জীবন্ত প্রতিমূৰ্ত্তিস্বরূপ কিন্তু এইরূপ মত প্রচারে র্তাহার ধর্ম-সংস্কার-নীতি সীমাবদ্ধ হইয়া আসিয়াছিল। যাহা হউক, কবিরের এই সংস্কৃত মত স্পষ্টরূপে প্রচারিত ও লিপিবদ্ধ হয় নাই ; কিংম্বা কেহ সম্পূর্ণরূপে হৃদয়ঙ্গমও করিতে পারে নাই। কিন্তু তিনি যে আচার-পদ্ধতি প্রচলন করিতে পারিয়াছিলেন, এবং যে কথিত ভাষা প্রয়োগ করিয়াছিলেন, তাহাতে র্তাহার প্রচারিত গ্রন্থসমূহ ভারতবর্ষের নিম্নশ্রেণীর মধ্যে বিশেষ আদরণীয় এবং বহুল প্রচারিত হইয়াছিল। ২৯ <s | Compare the Debistan, ii, 184 &c., Wilson “As, Researches,' xvi, 53 and ward's Hindus, iii, 406. কবির একটি আরবী শব্দ ; ইহার অর্থ সর্বশ্রেষ্ঠ। অধ্যাপক উইলসন বলেন, কবির নামে কোন ব্যক্তি ছিল কি না সন্দেহস্থল ; মোসান ফাণী যে কবিরের বিষয় বর্ণনা করিয়াছেন তাহ কাল্পনিক পুরুষ বলিয়া মনে হয়। হয়ত, ছদ্মবেশধারী কোন ব্ৰহ্মজ্ঞানী হিন্দু এই উপাধি গ্রহণ করিয়াছিলেন। যদিও কবির নাম বিশেষ সংজ্ঞানির্দেশক, কিন্তু আজকাল ইহার বহুল প্রচার। কবির পিতৃমাতৃহীন অসহায় অবস্থায় একজন তত্ত্ববায় কর্তৃক প্রতিপালিত হন, এবং পরিশেষে রামানন্দ তাহাকে শিষ্যরূপে গ্রহণ করেন—এইরূপ সাধারণ গল্প প্রচলিত আছে, এবং ইহাই কবিরের পরিচয় প্রদানে যথেষ্ট প্রমাণ বলিয়া অনুমিত হয়। শুনিতে পাওয়া যায়, তাহার মৃত্যুর পর হিন্দু-মুসলমান উভয় জাতিই তাহার শরীর আয়ত্ত করিতে চেষ্টা করিয়াছিল। মোসান ফাণী বলিয়াছেন, অনেক মুসলমান, বৈরাগী বা আধুনিক বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের যোগী হইয়াছিল। রামানন্দ এবং কবিরের শিষ্যগণই এই সম্প্রদায়ের কয়েকটি প্রধান শাখা বিশেষ (Debistan ii 193 )। তখন চিন্তাম্রোতের এবং ধর্মমতের পরস্পর যে মিল ছিল, এবং অধুনা তাহার যে উন্নতি সাধন হইতেছে—তাহার আরও দৃষ্টান্তचक्रग, अकब्र ‘कावा' ब्रक्रकशिम्भंब यछि उक्रछांनी श्लूि अकभनांण्षत्र ७गणन छरुङ कब्र बारेष्ठ পারে। অকমনাথ প্রথমে তাহাদিগকে গৃহস্বামীর অবস্থিতির বিষয় জিজ্ঞাসা করিয়া তাহাদের নিন্দ করেন ; পরে, কেন প্রতিমা নষ্ট করা হইয়াছে, তাহা তাহাদিগকে জিজ্ঞাসা করেন। রক্ষকগণ বলে