مم-مَمَ۔جہسےم۔ হজরত হুদের সহিত কালাতিপাত করিতে লাগিল। শান্দাদ আদের বংশে শান্দাদ নামে প্রবল পরাক্রান্ত এক রাজা ছিলেন। তাহার অতুল ঐশ্বৰ্য্য। হাতীঘোড়া লোক-লস্করের অন্ত ছিল না । মণি-মুক্তাভূষিত মুন্দর কারুকার্য্য খচিত বৃহৎ দালান, নানারূপ অস্ত্র-শস্ত্র, প্রভূতি সম্পদে রাজধানী সুশোভিত এবং শক্তিশালী দুর্গেব দ্বারা সুরক্ষিত ছিল । সুন্দর সুন্দর উপাসনালয়, হাম্মামখানা, রাস্তা-ঘাট প্রভৃতি সত্যজনোচিত বহু কীৰ্ত্তি-কলাপে রাজ্যের সর্বত্র পবিপূর্ণ ছিল। শাসনকাৰ্য্য বিশেষ দৃঢহস্তে পরিচালিত হইত। কিন্তু রাজা অত্যন্ত উৎপীড়ক ও নিষ্ঠুর ছিলেন । শিক্ষার অভাবে দয়া, দাক্ষিণ্য, পরোপকাল স্বার্থহীনতা প্রভূতি মকুম্বোচিত গুণাবলী তাহাদেশ মধ্যে অল্পই ছিল। “জোর যার মুলুক তার” ইহাই ছিল নীতি । সুতরাং রাজা, রাজকৰ্ম্মচারী ও ধনিব্যক্তিগণের অত্যাচারে দরিদ্র অবস্থাল ব্যক্তিগণ অতিষ্ঠ হইয়া উঠিয়াছিল। ক্ষমতাশালী ব্যক্তিগণ দরিদ্র অসহায় ব্যক্তিগণের জীবনকে কীট-পতঙ্গেব জীবনের ন্যায় তুচ্ছ জ্ঞান করিতেন। মহারাজ শান্দাদ অত্যন্ত পরাক্রমশালী ছিলেন। বাবিলনের এলাম প্রভূতি রাজ্যের নৃপতিরা তাহার অনুগত মিত্র ছিলেন। অনেকে তাহাকে কর পর্য্যন্ত প্রদান করিতেন। তিনি এলাম, বাবিলনীয়া প্রভৃতি স্থান হইতে বহু দেব দেবীর মূৰ্ত্তি আনিয়া স্বীয় রাজধানীতে রাখিয়াছিলেন । শিল্পকলা বা শাসনাদি কার্য্যে সত্য হইলেও ধৰ্ম্মের আলোক তখনও তাহাদের মধ্যে প্রবেশ করে নাই। বাবিলন আসিরীয়া, সিরিয়া, এলাম প্রভূতি দেশের পৌত্তলিকদের স্বায় ইহারাও মেঘ, পুষ্টি, ঝটিকা, ভূমিকম্প প্রভৃতি নৈসর্গিক অবস্থাগুলির জন্য উহাদের একটি করিয়া পৃথক দেবতা কল্পনা করিত এবং তাহাদের তুষ্টির জন্য উছাদের নানারূপ কল্পিত মুক্তি তৈয়ার করিয়৷ তাহাদের উপাসনা করিত। এই সমস্ত মুক্তির কতকগুলি কাবার ঘরে স্থাপন করিয়া তাহাদের উপাসনা করিত। রাজা শান্দাদ নিজেও পৌত্তলিক ছিলেন। রাজধানীতে বৃহৎ বৃহৎ স্বর্ণনিৰ্ম্মিত মৃত্তি তৈয়ার করাইয়া উহাদের পূজার জন্য পুরোহিত নিযুক্ত করিয়াছিলেন । কথিত আছে তাহারা =ि es-ड्छान्झडी কেনান, বাবিলন প্রভৃতি দেশ হইতে ওয়াদ মুয়া, ইয়াগুছ, ইয়াউক, নাছার প্রভৃতি দেবতার মূৰ্ত্তিগুলি আনিয়া পূজা করিত। হজরত ছদ এইবার শান্দাদেব প্রজাদের মধ্যে ইছলাম প্রচার করিতে লাগিলেন। তিনি তাহাদিগকে কল্পিত মৃত্তির উপাসনা ছাড়িয়া এক আন্নার উপাসনা কবিতে আহবান করিলেন। তাহাবা বলিল, "আমলা তোমার কথায় পূৰ্ব্ব পুরুষদের উপাস্ত ত্যগ করিয়া তোমার আল্লার উপাসনা করিব না। তাহা হইলে মহারাজ শাদাদ আমাদিগকে জীবন্ত দাফন করিলে।” তথাপি হজরত হুদ তাহার প্রচার কার্য্যে নিরুদ্যম হইলেন না ; তিনি বার বার তাহাদিগকে অন্যায় কার্য্যেপ প্রতিফলের কথা স্মরণ কপাইয়া আল্লার পথে আহবান করিতে লাগিলেন। ক্রমে হুদের কথা শান্দাদের কানে পোছিল। শাদাদ তখন ক্ষমতা গৰ্ব্বে গৰ্ব্বিত। পার্থিব বাজ্যের একছত্র অধীশ্বর হইয়াও র্তাহার মনের তৃপ্তি হইল না। তিনি তখন আধ্যাত্মিক রাজ্যের একছত্র অধীশ্বল হইবাল জন্য লালায়িত হইয়া উঠিলেন। হজরত ছদকে রাজধানীতে ডাকাইয়৷ জিজ্ঞাসা করিলেন " হুদ, তুমি কার ধৰ্ম্ম প্রচার করিতেছ?” হুদ- যিনি আপনাকে আমাকে এবং সমস্ত বিশ্বজগৎকে স্থষ্টি করিয়াছেন, যিনি সকলের জন্ম-মৃত্যুর বিধান করেন, যিনি সকলের জীবিকাল ব্যবস্থা করেন, যিনি সুখসম্পদ ঐশ্বৰ্য্যের মালেক আমি সেই একমাত্ৰ সৰ্ব্বশক্তিমান আল্লার ধৰ্ম্ম প্রচার করিতেছি। - শা- দেখ হুদ, কে তোমার সেই আল্লা ? তিনি কোথায় থাকেন ? তাহাকে তুমি দেখাইতে পার ? ছদ না, মহারাজ, তাহাকে কেহ দেখিতে পান না। তিনি নিরাকাব। · শা-র্যাহাকে চক্ষে দেখা যায় না.ং কোথায় ? র্যাহার অস্তিত্ব নাই ঠাহার আবার উপাসনা কিরূপে সম্ভব? . . .. جہ امام۔ جم۔ سب سbبsb
পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/১০৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।