-- קאסזו=etזוה==tf* הבן מ=ן =ס -- এখন এই ২••• টাকাকে ( চলতি টাকা ) বাড়াইয়া যদি ৪ • • টাকা ( অর্থাৎ দ্বিগুণ ) করা যায় অথচ পণ্যের পরিমাণ সেই • •টই থাকে তাহা হইলে প্রত্যেকটি পণ্যের দর ৪২ টাকার বদলে ৮ টাকা হইবে অর্থাৎ টাকার পরিমাণ ডবল করা হইয়াছে বলিয়া পণ্যের দরও ডবল হইবে। তাই ধনবিজ্ঞানবিদ পণ্ডিতরা বলেন *আর সব অবস্থার কোন পরিবর্তন না হইয়া টাকার পরিমাণ যদি ডবল বাড়িয়া যায়, তাহা হইলে উহার মূল্য ঠিক অৰ্দ্ধেক হইবে । অর্থাৎ জিনিষ পত্রের দর আগের চেয়ে ঠিক দ্বিগুণ বাড়িবে। তেমনি টাকার পরিমাণ যদি অৰ্দ্ধেক হয়, এবং অন্যান্ত অবস্থার যদি কোন পরিবর্তন না ঘটে, তাহা হইলে টাকা কড়ির মুল্য ঠিক ডবল হইবে, অর্থাৎ জিনিষ পত্রের দর আগের চেয়ে ঠিক আদ্ধেক হইবে।” টাকা কডির বিশেষত্ব এই যে টাকার পরিমাণের বাড়া-কমার ঠিক অনুপাতে উহার কমে বাড়ে । গম কি ধান, কি অঙ্ক কোন পণ্যের পরিমাণ দ্বিগুণ বাড়াইrল যে পণ্যটিব মূল্য ঠিক অৰ্দ্ধেক হইবে এমন বলা স্বকঠিন, হয় ত কিছু বেশী হইবে নয় ত কিছু কমও হইতে পারে। কিন্তু টাকার বেলায় তাহা ঠিক অৰ্দ্ধেক হইবে । মোটামুটী ইহাই হইল “টাকার পরিমাণবাদ”
- f “Quautmty theory of money” I
কিন্তু কাৰ্য্যক্ষেত্রে টাকার এই পরিমাণবাদ খাটানো সহজ নহে। কেননা চলতি টাকার পরিমাণ কি বা কতগুলি পণ্য বিনিময়ের জন্য আছে তাহ নিৰ্দ্ধারণ করা শক্ত। প্রত্যহ বিভিন্ন শিল্পে নানা পণ্য উৎপন্ন হইতেছে, ইহার কোন কোনটা সোজাসুজি আমাদের ভোগে লাগে, আবার কোনটা বা অপর একটা পণ্য উৎপাদনের জন্য ব্যবহার হয় । বিক্রেয় পণ্য বলিলে শুধু এই গুলিকে বুঝায় না। জমি-জমা ষ্টক শেয়ার, সেকেণ্ড হাও মালe অক্ষান্ত পণ্যের মত বিনিময় হইয়া থাকে। শিল্পজাত পণ্যগুলি বিনিময় করার জন্যই উৎপন্ন করা হয় ; স্বতরাং সে গুলির পরিমাণ পূৰ্ব্ব হইতে আঁচ করা খুব কঠিন নয়। কিন্তু কত সেকেওহাও মাল বাজারে আসিবে, কি কতগুলি জমি একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিক্রয় হইবে তাহা নিশ্চয় করিয়া বলা যায় না । কেননা যে সময় লোকে ফটুকী খেলায় মাতিয়া উঠে তখন এক-একটা শেয়ার ষ্টক বা জমি-জম| কত হাত ঘুরিয়া আসে তাহার ঠিক নাই। এখন যদি চলতি টাকাব মোটা অংশ এইসব ষ্টকশেয়ার জমি-জমা কেন বেচায় নিয়োজিত হয়, তাহা হইলে চলতি পণ্য ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য ঐ অত পরিমাণ টাকা খাকতি পড়িবে । এরূপ ক্ষেত্রে বিক্রেয় পণ্যের দর কিরূপ বাড়িবে-কমিবে বলা শক্ত । সুতরাং টাকার পরিমাণবাদটী যত সহজ মনে হইয়াছিল, কাৰ্য্যক্ষেত্রে দেখা যাইতেছে কাজে লাগান তত সহজ নয়। চলতি টাকাকড়ি বলিলেও যে কি বুঝায় তাহা নির্দেশ করাও সহজ নহে । কেননা আমরা ‘টাকার কথা' আলোচনা প্রসঙ্গে দেখিয়াছি যে, এ যুগে কেবলমাত্র ধাতুমূদ্রাই টাকার হিসাবে চলে না, ব্যাঙ্ক বা সরকারী নোট৭ টাকা হিসাবে চলে। ইহাছাড়া সব সময়েই ব্যাঙ্কে বহু টাকা লোকে গচ্ছিত রাখে ; ব্যাঙ্কের হাতের এই গচ্ছিত টাকার পরিমাণ অনবরত বাড়ে-কমে, পরিচালকগণের নির্দেশ অনুসারে । আমানতকারীরা যে টাকা ব্যাঙ্কে আমানং রাখে, ব্যাঙ্ক সেই টাকাই ধার দেয় এবং গচ্ছিত টাকাকে ভিত্তি করিয়া কত টাকা যে ব্যাঙ্ক ধার দিবে তাহাও নিদিষ্ট থাকে না। এই ব্যবস্থাকে ধনবিজ্ঞানেব পারিভাষিকে “ক্রেডিটু ব্যবস্থা” বলে। অবশু श्राभांनएउद्र ठूलनाग्न रुऊ प्लेक उशदिरल मशन রাখা হইবে, সে বিষয়ে পূৰ্ব্ব হইতে প্রত্যেক আমানত ব্যাঙ্কের একটা নির্দেশ থাকে ; কিন্তু এক-একটা এমন সময় আসে যে, ব্যাঙ্ক এই নির্দেশ মানিয়া চলিতে পারে না, তখন সব নির্দেশ উপেক্ষা করিযী নোট ছাড়িতে ব্যস্ত হয়। অতএব বোঝা যাইতেছে যে চলতি টাকার পরিমাণ হিসাব করাও শক্ত। অধিকন্তু একই টাকা হাত হইতে হাতে ঘুরিয়া বহুবার কেনাবেচার কার্ধ্য সম্পন্ন করে। একটা টাকা যদি বিশ জনের হাত বদলাইয়া বিশবার বেচা-কেনার কাৰ্য্য করে, তবে বলিতে হয় যে, ঐ একটা টাকাই বিশটা টাকার কাজ করিয়াছে , মুতরাং ー→→ RsbrQ → F.4–38