臺 ------------ নামক স্থানে একটি বৌদ্ধবিহার নিৰ্ম্মাণ করাইয়া দিয়াছিলেন। তাছার পত্নী মহাদেবী কোণ দেবী ভাগলপুর জেলায মন্দার পর্বতের শীর্ষদেশে একটি জলাশষ খনন করাইয়াছিলেন। আদিত্যসেন নিজে পলম বৈষ্ণব ছিলেন। ভোগবঙ্গ নামক একজন সমকালীন মেীগরি রাজা তাহার কন্যার পাণিগ্রহণ কবিয়ছিল। চালুক্যরাজ বিনয়াদিত্য ও বিজয়াদিত্য ৬৮ ----৬৯৭ খৃষ্টাব্দে একজন ‘সকলোস্তরাপথনাথ'কে যুদ্ধে পরাজিত করিয়াছিলেন— 'সকলে ৰুলাপণনাথ' অর্থে সম্পূর্ণ উত্তরাপথের অধীশ্বর। এই ‘উত্তর পথনাপ’ ছয আদিত্যসেন অথৰা তাছার পুত্র তৃতীয় দেবগুপ্ত। আদিত্যসেনের পর তাছার পুত্র দেবগুপ্ত ও পৌত্র বিষ্ণুগুপ্ত পর পর সিংহাসন লাভ করিখ ছিলেন। তঁহাব প্রপৌত্র জীবিতগুপ্ত (দ্বিতীয় ) মগধের গুপ্তবংশের শেষ রাজা। তাছার মৃত্যুর পর পূর্বভাবতে ঘোর অরাজকতা হইয়াছিল। এদিকে যশোবর্ণা নামক একজন রাজা অষ্টম শতাব্দীর প্রাবম্ভেই কান্তকুঞ্জের সিংহাসনে আকঢ় হইয়াছিলেন। যশোম্মা প্রকৃত ক্ষমতাশালী ছিলেন। তিনি ৭৩১ খৃষ্টাব্দে চীনদেশে একটা দৌত্য পাঠাইয়াছিলেন। সুদূর বঙ্গদেশ ও মগধ জয় করিবাব জন্য তাছার চেষ্টা ফলবতী হইয়াছিল। ৭৪ • খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি কাশ্মীররাজ ললিতাদিত্য মুক্তাপীড় তাeাকে যুদ্ধে পরাজিত কবিয তাছাব প্রাণহরণ করিয়াছিলেন। প্রাচীন সংস্কৃত সাহিত্যের ইতিহাসে যশোবন্মার নাম অমব হইযা থাকিবে । কাবণ তিনি ‘উত্তরবামচরিত’ নামক প্রসিদ্ধ নাটকেল রচযিতা বিখ্যাত কবি ভবভূতির আশ্রয়দাতা ছিলেন। তা ছাড়া তিনি বাকৃপতিবাজ নামক প্রাকৃত কবিকেও আশ্রযদান কবিয়াছিলেন। যশোবন্মাব পব বজায়ুধ কান্তকুক্সের রাজা হইয়াছিলেন। তাছাকে কাশ্মীররাজ জয়পীড় পরাজিত করিয়া রাজ্যচু্যত্ত করিয়াছিলেন। বজায়ধের উত্তরাধিকাৰী ইন্দ্রায়ুধ ৭৮৩ খৃষ্টাব্দে কান্তকুঞ্জ শাসন কবিতেছিলেন। এই তারিখট জৈন হরিবংশ পুরাণের একটি শ্লোক হইতে অবগত হওয়া যায়। ইন্দ্রায়ুধ বঙ্গেশ্বর ধৰ্ম্মপালেব দ্বারা বাজ্যচ্যুত হইয়াছিলেন। ধৰ্ম্মপাল চক্রায়ুধ নামক ভূতপূৰ্ব্ব রাজার শিশু-ভাল্লতী কোনও আত্মীয়কে প্রতিবেশী রাজাদের সম্মতিক্রমে কান্তকুঙ্গের সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত করিয়াছিলেন। ধৰ্ম্মপালের একটা তাম্রশাসনে ইস্রায়ুধকে 'নতিবামন’ বলা হইয়াছে অর্থাৎ তিনি ধৰ্ম্মপালের পদপ্রান্তে প্রণ গু হইয়া বামন অর্থাৎ ক্ষুদ্রাকার হইয়াছিলেন। ইন্দ্রায়ুণ গুর্জরবাজ দ্বিতীয় নাগভট্টের সাহায্যপ্রাণী হুইযাছিলেন। সিংহাসনচু্যত ইন্দ্রাযুৰেল পক্ষ অবলম্বন করাতে দৰ্ম্মপালের সহিত ষ্টাছাব দীর্ঘকালস্থানী সংঘর্ষ উপস্থিত হইয়াছিল। অবশেষে পৰ্ম্মপালের পরাজয় ছয কিন্তু তিনি দক্ষিণাতে্যুপ রাষ্ট্রকূটবাজ গোবিন্দ (তৃতীযের ) সাহায্যে গুঞ্জলদিগকে ভাষণভাবে পরাজিত করিয়া নষ্টপ্রায প্রভাৰ পুনরুদ্ধার করিযাছিলেন। গুর্জবজাতি ইতিহাস-প্রসিদ্ধ পাজপুতদেব একটি শাখা বিশেষ ছিল। পাজপুতেরা বাবত্বেব জন্ত প্রসিদ্ধ। তাছাদের স্থায় বীরজাতির জন্ম আমাদেব দেশে আপ ছয নাই। স্বাধীনতা তাহদেব প্রাণাধিক প্রিয় ছিল। স্বাধীনতা বক্ষণব জন্য তাহার হাসিতে হাসিতে সম্মুপ সমবে প্রাণবিসৰ্জ্জন কবিতে কুষ্ঠিত চইতেন না। দাসত্ব-শৃঙ্খল পায়ে পবিযা বাচিযা থকাকে তাহাবা নিতান্ত হেয জ্ঞান কলিতেন। প্রাচীন ভাবতের মধ্যযুগের ইতিহাস প্রধানত: এই রাজপুতজাতিরক্ট ইতিহাস। অষ্টম শতাব্দীর প্রারম্ভেই ভারতের বঙ্গমঞ্চে তাহদেব আবির্ভাব। তাঙ্গাব পব বহুশতাব্দী ধবিয তাছার আমাদের দেশের ইতিহাসে গৌলখময স্থান অধিকার করিয়ছিলেন। রাজপুতদেব উৎপত্ত্বি এখনও রহস্তাবৃত রছিযাছে। পণ্ডিতেবা এবিষযে অনেক অনুসন্ধান করিয়াছেন। কিন্তু অদ্যাবধি কোনও সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হইতে পাবেন নাই। রাজপুতদের উৎপত্তির বিষয়ে একটি জনশ্রুতি প্রচলিত আছে। কথিত আছে যে পরশুরাম পৃথিবীকে একবিংশতি বার নিঃক্ষত্রিয় করাতে ৰমুন্ধর বীরপূন্ত হইয়াছিল। এই অবাঞ্ছনীয় দশা দেখিয়া ঋষিগণ অৰ্ব্ব দগিরিশীর্ষে (অর্থাং আৰু পাহাড়ের উপর ) বিশ্বামিত্রের দ্বারা একটি যজ্ঞের অনুষ্ঠান করাইয়াছিলেন। এই যজ্ঞের অগ্নিকুণ্ড হইতে একটি পুরুষের প্রাদুর্ভাব হইয়াছিল এবং এই যঙ্গীয় পুরুষ হইতেই পরমার, চালুক্য - * - 5 o'-8
পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩০৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।