কিস্থাপ সাংপো নদীর উৎসের দিকে ব প্ৰায ৪৫ মাইল পর্যাস্ত স্থান এখন পৰ্য্যস্ত ও অনাবিষ্কৃত বহিযাছে। স্থানীয শিকাবীরা বলে যে সেখানে খাড়া উচু পাহাড়, জলপ্রপাত এই সব অনেক আছে । সেখানে নদী আপনাকে একেবাবে লুকাইয়া রাখিযাছে। সেই স্থানটি সমুদ্রতট-সমতা হইতে ৭,৪৮০ ফিট উচ্চ হইবে। ১৯১২-১৩ সালে যে আলর অভিযান প্রেলিত হইয়াছিল, তাছাতেও অনেক কিছু অজ্ঞাত প্রদেশের সন্ধান মিলিয়াছে। কিনপাপ ফিরিয়া আসিবার পর পৃথিবীর উৎসাহী পর্য্যটক এবং বৈজ্ঞানিকদের মপ্যে একটা আন্দোলন ও আলোচনা আরম্ভ হইল। রাজকীয় ভূগোল "sofo” (Royal Geographical society) সদস্তগণের মধ্যে অনেকে নানারূপ তর্ক ও বিতর্ক তুলিতে আরম্ভ কবিলেন। কিনথাপ সত্যই কি ব্ৰহ্মপুত্র বা তাম্পো নদীর উৎস-সন্ধানে তিব্বতের পথে অগ্রসর হইযাছিলেন ? তাহাও অনেকের কাছে সন্দেহের কারণ হইয়া দাড়াইল। বিশেষ কবিয কিনথাপ তাহাল লিবরণীতে বলিয়াছিলেন যে তিনি–তিব্বতের পুৰ্ব্বভাগে তাম্পোনদীর একটি বিশাল জলপ্রপাত দেখিযৗছেন। এই সংবাদে অভিযানকারীদের মধ্যে যেমন সন্দেহ হই যাছিল, তেমনি কৌতুহল ও জাগিয়াছিল বড় কম নহে। অনেকেই বলিযাছিলেন, কিন্থাপের কথা ঠিক নষ এ শুধু অতিবরিত কাহিনী মাত্র । ভারতীয় জবিপবিভাগের কর্তাব কিন্থ্যপেৰ এই জলপ্রপাতের কথা অবিশ্বাস কবেন নাই কিন্তু কযেকজন সৌখিন ভৌগোলিক ও পর্য্যটক প্রচার করিষা দিলেন—“কিনথাপেল কথা ঠিক নয়, সে তিব্বত হইতে লোকের মুখে শোনা এই প্রপাতের গল্পকেই সত্য বলিয়া প্রচার করিয়াছে এবং তাছার বিবরণীতে লিপিবদ্ধ করিয়াছে”—এই অভিযোগের বিবরণের সত্যাসত্য সম্বন্ধে একটা অনুসন্ধান করা জরিপবিভাগের কৰ্ত্তারা বিশেষ আবশ্যকীয় বলিয়া মনে করিলেন । আবর-অভিযানের কথা বোধ হয় তোমরা শুনিয়াছ। আমাদের উত্তর পূর্বদিকে হিমালয় ~
পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৩২৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।