জামমোহল, ছত্যুঞ্জ= ও ভৰালীচরণ কোম্পানীর ইংরেজ কৰ্ম্মচারিদিগকে এদেশী ভাষা সাহিত্য ইতিবৃত্ত রীতি-নীতি ব্যবস্থা প্রভৃতি শিখাইবার জন্য এক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়, তাহার নাম ফোর্ট উইলিয়ম কলেজ। এই কলেজে মৃ :্যঞ্জয় পণ্ডিত মহাশয বাঙ্গালা শিথাইতেন । গদ্য রচনা কি ভাবে করিতে হয় তাহা দেখাই লৰি জন্ম তাকাকে কযেকখানি গদ্য পুস্তক লিখিতে হইয়াছিল। বত্রিশ-সিংহাসন ও হি৬েপদেশ তিনি সংস্কৃত হইতে অনুবাদ করেন, বাজাবলি নাম দিয়া ভাবতবর্ষেব একখানি হাতিবৃত্ত লিখেন, তাব বেদা স্তচন্দ্রিকা ও প্রপোপচন্দ্রিক নামে দুই খানি শাস্ত্রপিট বেব পুস্তক বচনা কবেন । বাঙ্গালায় এবং শাস্ত্রে তা চার জ্ঞানে ব জন্য তিনি পরে স্ট্র প্রাম কোর্টেব পণ্ডিত নিযুক্ত হন । আমাদের দেশে তখন ও হাইকোর্ট হয় নাই, সুপ্রীম কোটেই শেষ বিচার নিষ্পত্তি তই ,-এ-দেশী পণ্ডিতদের সাহায্যে বিচাৰক দেশীয় প্রথা জানিয়া সত্য নিদ্ধারণের চেণ্টা কবিতেন । এখন মুতুগুধেব বাঙ্গালার একটু নমুন। দিতেছি :– অfর শুন পরমাথ ও দেবাত্মা ও আর আর জীবাত্মা এ সকল আত্ম। আত্মা যে দেহ হইতে ভিন্ন হত। হিন্দু মোসগমান ইংরাজের সকলেই পায় জানে স্ব স্ব দৃষ্টান্ত অনুমানে বুৰ যেমন আমি আত্মা দেই তেমনি তুমি সে এ আত্মা সকল দেহী এই দৃষ্টাস্থে পবমাত্মা ও দেবাত্মারদেরো দেহ আছে সে দেহ কৰ্ম্মসিদ্ধ অন্মদাদেব অদৃষ্ট যদি হউক তথাপি সিদ্ধ যোগীরদের দৃষ্ট বটে অন্মদাদির শাস্ত্রজ্ঞানমাত্রগম্য যেমন ঈশ্বর অতএব যে শাস্ত্রজ্ঞানে ঈশ্বরকে মান সেই শাস্ত্রজ্ঞানে তাহারদের বিগ্রহ কেন না মান” ইত্যাদি। উপরে যে যে বইয়ের নাম লেখা হইল তাহা ভিন্ন মৃত্যুঞ্জয় আরও একখানি বই ארמס অনুবাদ করিয়াছিলেন, তাহার নাম পুরুষপরীক্ষ। পুরুষ-পরীক্ষায় বাহামটি গল্প তাttছ ; প্রত্যেক গল্পেবই উদ্দেশা, এক এক ধরণের পুরুষের পরিচয় দেওযা। দানবীর, দযাপার, যুদ্ধবীব, সত্যৰীব, এবং তঁহাদের fবপরীত অৰ্থাৎ ঢ়োর, ভীক, কুপণ, অলস ; সপ্রতিভ, স্ববুদ্ধি, মেধাবী এবং তাঙ্গাদের বিপরীত, অর্থাৎ ঠক, খল ও বুদ্ধিহীন ; বিদ্বান ও বিদ্যহীন ; ইত্যাদি নানাপ্রবারের লোকের কগ বিদ্যাপতি গল্প করিয়া গিয়াছেন, যাই।তে আমরা পুরুষের পরীক্ষা লইতে পারি, জানিতে পারি যে কে কি ধরণের লোক । এই বই খানির অনুবাদের ভাষা কিন্তু তাধিকাংশ স্থলেই সহজ । প্রথমে একটি গল্প বলিয়া, তাহার পরে মৃতুঞ্জয় কি ভাবে সেই গল্প বলিয়াছেন ত{ঠ। তাহার নিজের কথায় লিখিতেছি । যাই দের বুদ্ধি নাই ওtহাদের নাম দিয়াছেন বললর । বৰ্ব্বর দুই প্রকাবের জন্মলবপুর ও সংসগপলপব । পণ্ডিতের কাছে fবস্থা শিfগলে ও জন্মবলম্বরের বুদ্ধি হয় না। একজন গণক তাহার ছেলেকে খুব যতু করি যা লেখাপড় শিখাইয়াছিলেন, তবু তাহার লিশেষ পরিবর্তন হয় নাই । রাজার কাছে তাহাব বিছ। পৰীক্ষার জন্য লইয়। যাওয়া হইল ; রাজা সোণার আংটি হাতের মুঠায় ধরিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, বলুন তো ইহার মধ্যে কি আছে ? পণ্ডিতের ছেলে গণিয়া দলিল, ধাতুব তৈযারি কোনও জিনিষ আছে ; তাতার পব বলিল, জিনিষটি চক্রাকার ; উচার মধ্যে শূন্য অথচ জিনিষটি ভারি । রাজা এই সব কথা শুনিয়া খুব প্রশংসা করিলেন, তাহাতে খুসি হইয়া গণন ছাড়িয়া পণ্ডিতের ছেলে অনুমানে বলিল,— আপনার মুঠাব মধ্যে পাথরের জাত৷ রহিয়াছে। ছেলের বুদ্ধি ধরা পড়িল । +
পাতা:শিশু-ভারতী - অষ্টম খণ্ড.djvu/৪২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।