শিশু-ভারতী । খাবার সংগ্ৰহ করিয়া লইতে হয়। সব চেয়ে সমুদ্রে দিক্ নির্ণয় করাই কঠিন ব্যাপার। আমৰা স্থলে দিক ঠিক করি দিনের বেলায় সূৰ্য্য দেখিয়া, এবং রাত্রে ভালকা দেখিয়া। কিন্তু অন্ধকার রাত্রে যখন সমস্ত তারকা লুপ্ত ১ঠয়া যায়, তখন মহাসমুদ্রে লোকে কি করিয়া দিক ঠিক করিবে ? তাহারা তখন হয়ত দিগ্ভান্ত হইয়া উত্তর দিক মনে করিয়া সম্বন্ধে জ্ঞান হওয়াতে সমুদ্রযাত্রা কতকটা সহজসাধ্য হয়। এতক্ষণ পূৰ্ব্বদেশেৰ জাতিরা পৃথিবীর কত তাংশ আবিষ্কার করিয়াছিল তাহা বলিলাম। যদিও ভাবতবন ও আরবদেশে পৃথিবী গোল এই গ্য পণ্ডিতদের মধ্যে জানা ছিল, তথাপি তাতারা কখনও সমস্ত পৃথিবী ঘুরিয়া দেখিবাৰ চেষ্টা করেন। ইউরোপের চতুর্দশ শতাব্দীর বাণিজ্য-পথ দক্ষিণ দিকে জাহাজ চালাইবে, এবং গন্তব্য স্থানে উপস্থিত না হইযা মহাসমুদ্রে অজ্ঞাত স্থানে উপনীত হইবে। এইরূপে প্রাচীনকালে সমুদ্রগামী লোকদের অনেক বিপদ হইত, এবং অনেক লোকে সমুদ্রে প্রাণও হারাইত। কিন্তু ক্রমে ক্রমে কয়েকটি বিষয় \ প্ৰণম করে,--পশ্চিম চেষ্ট৷ ইউরোপেৰ স্পেন ও পটুৰ্গালের লোকেরা, নাই। সে এই প্রচেষ্টার ফলেই সমস্ত পৃথিবীর ইতিহাস পরিবৰ্ত্তিত হয়। এখন সেই প্রচেষ্টার কথা বলিব । ভারতবন, চীন ও আরবদেশ যখন খুব এবং তাঁহাদের تيمه
পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/১৯১
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।