কারু শিক্স , কাঠের কাজের চূড়ান্ত নিদর্শন হইতেছে আমাদের দেশের অতি প্রাচীন অর্ণবপোত । এই সকল অর্ণবপোতের চিত্র আমব অজস্তায়, যবদ্বীপে ও বরবোদরের ভিত্তিগাত্রে অঙ্কিত দেখিতে পাই । বোধ হয়, এইরূপ একথানা জাহায়ে চড়িয়াই মহেন্দ্র ও সংঘমিত্র বৌদ্ধধর্শ্বের মহাদ্বাণী ঘোষণ। করিতে লঙ্কায় জয়যাত্রা করিয়াছিলেন । গুপ্তরাজাদেব রাজত্বকালে-বিশেষ কবিযlহর্ষবৰ্দ্ধনের সময় যবদ্বীপে, সুমাত্রায়, বোর্ণিওতে, পেগু, চীন আরব ও পারস্তে বাণিজ্য কবিবার জন্য ভারতীয় বাণিজ্য-পেত ছিলেন বলিয়া জানা যায়। সেকালে কftঠব কাজের মধ্যে একটি আদরণীয় শিল্প ছিল বথ তৈয়ারী কব । সকল সময়েব রথের প্রয়োজন ছিল। যোগিম|ব গুহায় খৃ: পূ: ২৫-৩• • বৎসরের চিত্রেও রথের ছবি আছে। তাছাড অজন্ত, ভরহুং সাচীতে ত কথাই নাই । নানান বিচিত্র গঠনে বথগুলি গঠিত হইত। সমসাময়িক গ্রীক রখেব সহিত তুলনা করিলে গঠন পাবিপাটো ভারতের রথ গ্রীক বথ অপেক্ষা ভালই বলিয়া মনে হয়। এখন ৭ জয়পুব, আজমীর, চিতোর প্রভৃতি রাজপুতানাব সহরগুলিতে কাঠের বৰ্থেব উপব স্থালতবর্গের প্রাচীন বাণিজ্য rপাত যাতায়াত করিত বলিয়| জানা যায়। এখনও লঙ্কা দ্বীপে, ব্রহ্মদেশে ও চট্টগ্রামে প্রাচীন ধরণেব ছোট ছোট মাছ ধরার জন্ত তৈয়ারী জাহাজের প্রচলন আছে । সেগুলির গঠন এবং তাহাদের উপরের কারিগরি দেখিবার ও উপভোগ করিবার মত। তাছাড়া সেকালের সেই সব জাহাজের আকারে তখনকার কালে ইউরোপীয় কোন জাহাজই ছিল না। কাপ্তেন মরিস নামক একটি সাহেব তখনকার কালে ১২০০ টন ভারবাহী ভারতীয় জাহাজ দেখিয় বিস্মিত হইয়া কারিগবির পরিচয় যথেষ্ট পরিমাণে পাওয়া যায়। তাঞ্জাম, পালকী প্রভৃতি ও ঐ প্রাচীন যানবাহনেবই অন্তর্গত । এখন গোশকটের যুগ চলিয়া গিয়াছে কিন্তু তার প্রয়োজনীয়তা কমিয়াছে কি ? মোটব যে পথে চলিতে পাবে না, গোশকট সেই সব পথে এগন" অনায়াসে আমাদের বহন করিয়ু লইয়া যায । কাঠের কাজ বলিতে কেবল আব্দুস্ চন্দন, তুন, দেবদারু, সেগুন, শিশুকাঠের তৈয়ারী আসবাবের কথা ভাবিলে চলিবে না। তার উপর প্রতিবপনের
পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/২০০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।