ভাৰুভেঙ্ক স্থাপত্য ধরণ বলা হয়। বিষ্ণুপুর, গৌড় পাণ্ডুয়, বড়নগর প্রভৃতি স্থানে এইরূপ বাংলার বিশেষ স্থাপত্যের উৎকৃষ্ট উদাহরণ দেখিতে পাওযা লায় । গুজরাটের অস্তগত অনেক জৈনমন্দির দেখা যায়। সেগুলি ঠিক প্রাচীন আর্যবপ্তের ধরণের নয় এবং খুব বেশী কবিকান্যে শোভিত হইলেও কোনার্ক, ভুবনেশ্বর প্রভূতির মত উচুদৰেৰ স্থাপত্য বলিয়া মনে হ য না । আবু পাহাড়ে এইরূপ শ্বেতপাথৰেৰ ছটি জৈন মন্দির আছে। সে দুটির ছাদের নীচের এবং স্তস্তুেৰ কাককাৰ্য্য বিশেয সূক্ষ্ম বলিয়া মনে হয় এবং এই মন্দিব ভাবত্তেব স্থাপত্যের গেবলস্বরূপ। গুজরাটে বিখ্যাত গিবনাব পৰ্ব্বতে নেমিনাগের মন্দির, তেজপালের মন্দির এবং শুলতান মামুদ কর্তৃক বিনষ্ট প্রাচীন সোমনাথের শৈব মন্দির বিরাজ কবিত। বাঙলা দেশের রাজমহলের উত্তরে পরেশনাথ মন্দিরের পরিচয় অনেকেই জানেন । তাছাড়া গেtয়ালিয়ারের জৈনমন্দিরটি আর তার ১৫ • মাইল দক্ষিণ-পূর্বে চীন্দেল রাজের প্রাচীন রাজধানী খাজরাহোর জৈনমন্দির বিশেষ উল্লেখযোগ্য । দাক্ষিণাত্যেব বিশেষ ধরণের মন্দিরগুলির মধ্যে মহাবলীপুরমের পাহাড় কাটিয়া খুদিয়া বাহির করা সাতটি ধৰ্ম্মরাজের রথ আছে । সেগুলি মহারাজ নরসিংহ বৰ্ম্ম যিনি দ্বিতীয় পুলকেশীকে যুদ্ধে হারাইয়াছিলেন, তাহারই তৈয়ারী বলিয়া কথিত আছে । নরসিংহের প্রপৌত্রের কীৰ্ত্তি কাঞ্চি প্রদেশে কৈলাসনাথ - محم------.-------.---.---.-.- مــمــمـره F. 2–11 ও বৈকুণ্ঠ পরিমল নামক ছুইটি খুব বড় মন্দির আছে। পরবর্তী যুগে চোলরাজা রাজেন্দ্র কর্তৃক তাঞ্জোরের বিরাট মন্দির রচিত হয়। রামেশ্ববম্, তিনাভেল্লি ও মাছরার মন্দির সমসাময়িক যুগের তৈয়ারী। তিরমল নায়ক রচিত মাছরার মন্দিরটি ১৬২৩ খৃষ্টাব্দের বলিয়া অনুমান করা হয়। দ্রাবিড়ের মন্দির আৰু পাহাড়ের জৈন মন্দির গুলির মধ্যে প্রাচীনতম অনেকগুলি মন্দির ও ইলোরার কৈলাস মন্দিরটি রাষ্ট্রকূটরাজের দ্বারা তৈয়ারী হইয়াছিল। বিজয়নগরের সংখ্যাতীত ভগ্নাবশেষের মধ্যে দ্রাবিড়ীয় সভ্যতার যুগের বাসভবনের ছোট ছোট সুন্দর সুন্দর প্রাচীন স্থাপত্যের নিদর্শনও যথেষ্ট পাওয়া যায়। একটি ছোট পাথরের সভামন্দির আছে—সেটিকে দেখিতে বাঙলাদেশের 5ھ م سb
পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।