পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/২৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তাশক্রিমেভিস পশু-পক্ষী এবং বৃক্ষলতাদি বিষয়ে উহার অতি প্রগাঢ় জ্ঞান ছিল । তিনি সকল পশুপক্ষীর বাহ আচার ব্যবহার বিশেষভাবে লক্ষ্য করিতেন এবং অবশেষে তাহাদের উপর অস্ত্রোপচার করিয়া শবীবের ভিতর পৰ্যবেক্ষণ করতেন । শুধু কি তাই ? জীবজন্তুব জীবনপাবণেব উপায়, তাহারা কি খায়, কেমন ভাবে গায় কেমন ভাবে সস্থান পালন করে, ইত্যাদি সব বিষয়েই পর্যবেক্ষণ করিনে। এই সমুদয় পৰ্য্যবেক্ষণ কবিয়া তিনিজস্থবিজ্ঞানকে বিশেষ বিশেষ ভাগে বিভক্ত কবিয গিয়াছেন। এখনও আমরা জস্থবিজ্ঞান সম্বন্ধে র্তাহাবই নিদিষ্ট পগেল অগুসরণ কবিঘা চলিতেছি । আবিষ্টটল আকাশের গ্রহ-নক্ষত্ৰেৰ গতিবিধি পৰ্য্যবেক্ষণ করিয়া পুপিবী যে গোলাকার, এ বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে উপনীত হইঘছিলেন। কিন্তু আমাদের পৃথিবীৰ আকাব সম্বন্ধে তাহাব সঠিক কোনও ধারণা ছিল না। তিনি পৃথিবীর প্রকৃত আকাব অপেক্ষ ইহাকে অনেক ছোট বলিয়। মনে করিতেন। অ্যারিষ্টটল লিগিয়াছিলেন–"ইহা অসম্ভব মহে যে, হার্কউলিসের grga (Pillars of Hercules) fa*$4ë zyrt“:3 (জিব্রান্টাব। সহি ন ভাবত বলের সংযোগ আছে এবং একটি মাত্র মহাসাগর ব্যবধান বহিয়াছে।" অনেকে মনে কবেন যে, কলম্বাস আরিষ্টটলের এই লিখিত বিবরণী পাঠেই বরাবর পশ্চিমদিকে জাহাজ চালায়৷ ভারতবর্ষে পৌছিতে পারবেন বলিষ স্থিৰ সিদ্ধান্ত কবিযু তদগুরুপ কাৰ্য্যে প্রলত হইঘাi৬লেন । অ্যারিষ্টটলের লিগিত জ্যো • লঘ। বিষয়ক গ্রন্থে, জীববিজ্ঞান বিযয়ক গ্রন্থে নানাপ্রকাল ভ্রম প্রশাদ আছে স্বীকার করিলে... তাহাব স্বাধীন গবেষণা এবং তথ্যাৎস্কাসন পৃথিবীর ইতিহাসে চিরদিন তাহাকে স্মরণীয় বরিখ রাখিলে। আবিষ্টটল বলতেন—“যে পর্যক্ষ কান বিষয়ে অনুসন্ধান কবিতে যাইয় প্রত্যেকটি বিষয়ে সম্যকৃ জ্ঞানলাভ কবিতে না পাবিবে, ততক্ষণ পধান্ত সে বিষয়ে কোনরূপ অভিমত প্রকাশ করি ও না।" আকিমেডিস [ আনুমানিক ৮৭--২১২ খৃ পূৰ্ব্বাদ ] আনুমাণিক বাইশ শত বৎসর পূৰ্ব্বে গ্রাস সাম্রাজ্যের অধীন সাংরাকিউস্ নামক নগরে আকিমেডিসের জন্ম হয়। আর্কিমেডিসের স্তায় পণ্ডিত সেকালে ইউরোপে দ্বিতীয় কহ iছলেন কিন সন্দেহ। তিনি দিন-রাত আপনার অধ্যঘন ও গণিত বিজ্ঞানের গবেষণ। লইয়া তন্ময় হত য়। থাকিতেন। সে সময়ে সাইরাকিউসের রাজ ছিলেন হয়েরে । হয়েরো আর্কিমেডিকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা করতেন এবং তঁহকে আপনার বন্ধু জ্ঞানে সম্মানিত করিতেন। রাজ। হয়েরোর অনুরোধে আকিমেডি বিজ্ঞানের বড় বড় জটিল তত্ত্ব এবং তাহার স্বাক্ষাতুস্থ ক্ষু হিসাব পরিত্যাগ করিয়া দেশের ও জনসমাছের কল্যাণকর কিছু কিছু “কেজো জিনিষ" অর্থাৎ কার্য্যকারী শিল্পদ্রব্যাদি প্রেস্তুত করিয়াছিলেন । সে সকলের মধ্যে নানা রকম জু, জল তুলিবার জন্য প্যাচাল পাম্প ও জলে চালান এবং বাতাসে চালান অনেক রকম যন্ত্রপাতিব স্বষ্টি করেন। তামরা হয়ত অনেকে পাখী টানিবার জন্য দেয়ালে চাকার পুলি দেখিয থাক। এই পুলি ঞ্জিনিষটাও আকিমেডিস অবিষাব করিয়াছিলেন । সচরাচর ষ্টীমারে, জাহাজে, নাকায়, রেলগাড়ীতে ও বড় বড় কারখানায় তোমরা দেখিতে পাও যে, মাল উঠানাম পুলির সাহাধে অতি সহজে সম্পন্ন হইতেছে। পুলি না হলে মাল উঠা-নামই চলে না, এ সমুদয়ই অ্যাকমেডিসের অানিস্বারেব স্ববাহ সম্পন্ন হইতেছে । দেশেৰ (লাকের। তাহার এই সব আবিষ্কাব দেখিয়া বুঝিতে পারল যে, আকিমেডি শুধু বসিয়া বসিয়৷ চিস্ত। কবেন না, সত্য সত্যই তিনি মহাপণ্ডিত ব্যক্তি। আকিমেডিসের জীবনের একটি গল্প হয়ত তোমরা অনেকেই শুনিয়া থাকিবে । একবাল তাহার বন্ধ সাইরাকিউসের রাজা হাঁয়েবো এক স্বর্ণকারের দ্বারা একটা মুকুট প্রস্তুত করাইয়াছিলেন। স্বর্ণকার মুকুট প্রস্তুত কবিয়া রাঞ্জাব হন্তে প্ৰদান কবিলে, ঘুপতি আর্কিমেডিকে সেই মুকুট অরুত্রিম স্বণ ব্যতীত অন্য কোনও পদার্থ উহাতে মিশ্রিত হইয়াছে কি না, তাহা নির্ণয় কারতে দেন। আকিমেডিস সব শুনিয়া বলিলেন, “আমি একটু ভাবিয়া বলব।" ভাবিতে ভাবতে বয়েকদিন বঢ়িয় গেল । একদিন এই কথ। চিন্তা করিতে করিতে একটি ঝবণার নিকট গমন করলেন। তপন ঝরণার নিম্নে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলাধার (চৌবাচ্চ। থাকিত। লোকের ঐ সব চৌবাচ্চায বসিয়৷ স্থান করত। একদিন স্নানের সময় বাপ ছাড়িয়া সবে তিনি স্বানের টবে পা দিয়াছেন, এমন সময়