-•-•ि८e-पछान्द्वप्डौ তোমরা জান যে, চোখ যাeাকে সাদা দেখে, তাহার মণো লাল হতে বেগুনি পৰ্য্যন্ত সব রঙ ঈ বর্তমান। এই আলো নীল কাচের ভিতর দিয়া যাইবার সময় তষ্ঠার লাল অংশ নীল কাচটা নিজের মধ্যে ধরিয়া লয়। সাদা আলে৷ হইতে লাল অংশ চলিয়া গেলে অবশিষ্ট যাচ থাকে, তাহণ নীল দেখায়। অপর পক্ষে, পীত কাল্পটির কাজ কল সাদা আলোর নীল অংশটি নিজের মধ্যে ধরিয়া রাপা। এখন একসঙ্গে একটি লন্ঠনের সামনে গুইটি কাচত রাখিলে লণ্ঠনের সাদা আলে। *চতে গাপ ও নীল অংশ কাচ দুইটির মধ্যে শোদিত ১ঠয়া যায় এবং বাকী অংশটি সবুজ প্রধান বলিয়। সবুজই দেখায়। কিন্তু যখন দুইটি লণ্ঠন হইতে নীল ও পীত আলো একসঙ্গে পদাটির উপর আসিয়া পড়ে তখন ব্যাপার হয় সম্পূর্ণ অন্তরূপ। এক্ষেত্রে আমরা সাদা আলো হইতে তাহার ৭৭কিরণের (spectrum) দুষ্ট পাস্কের রঙ (অর্থাৎ লাল ও নীল রঙ,) সরাষ্টয়া লইন। বরং একটা কাচ (নীল) গে অংশটা (লাল) সরাইয়ু লইয়াছিল, অপর মাজিক লণ্ঠনের আলোর সেই অংশটা (লাল) পথম আলোটার সহিত মিশিতে দেওয়৷ হইল। এই জন্তষ্ট মিশিত অংশ হইতে চোথে যে আলো আসিয়া পড়িল, তাহীতে সাদা আলোর সব রঙত বগুমান পলিগা চোখ তাeাকে বর্ণীন বা সীদাহ দেখিল । এখন এ কাচ দুইটির পবিবর্ষে লাল ও সবুজ কাচ লহয়। আমাদের উপরিউক্ত পরীক্ষাটি নিম্পন্ন করি। তখনও পুরোক্ত পরীক্ষার অনুরূপ ইষ্টলেও সামান্ত বিভিন্ন রূপ দল মামার। পাঞ্চল। এক্ষেত্রে দুইটি রঙ, ণে স্থানটিতে একসঙ্গে আসিযা সংমিশ্রিত হইতেছে, সেই স্থানটি আমাদের নিকট পীত দেখাইবে । অপর পক্ষে দুইটি রঙীন কাচই (লাল ও সবুজ) যদি একটি লন্ঠনের সামনে ধরা যায় তাহা হইলে লন্ঠনের সালে ইহাদের ভেদ করিয়া আর অগ্রসর হইতে দেখা যাইবে না, এবং ফলে দাড়াইবে যে পদটির উপর কোন ও আলোই পড়িবে না। ইহার কারণ এই যে লাল কাচ বর্ণfকরণেব লাল অংশ ছাড়া অপর সব রঙই নিজের মধ্যে ধরিয়া রাখে ; অপর পক্ষে সবুজ কাচ লাল ও নীল অংশ তাহাঁকে ভেদ করিতে দেয় না ! সখন দুইটা কাচই একটা লণ্ঠন-নিঃস্থত আলোর সামনে ধরা হইল” তখন লাল কাচটা সাদা আলোর লাল অংশটাই শুধু তাহাকে ভেদ করিয়া চলিয়া যাইতে দিল, এবং এই লাল আলো নিজে সবুজ > • १२ কাচের দরজায় আটকাইয় যাওয়াতে পদ? কোন আলোই পাইল না। অপর পক্ষে, দুইটা লণ্ঠন হইতে আগত লাল ও সবুজ আলোর সংমিশ্রণের স্থানটিতে বর্ণ-কিরণের নীল অংশ ছাড়া সব রঙই বর্তমান, আমরা এই মাত্র দেখাইয়াছি। যে, বর্ণ কিরণ হইতে তাছার নীল অংশ সরাইয়া লইলে অবশিষ্ট ছয়টা রঙের যোগাযোগ হইলে যে আলো পাওয়া যায়, চোখে তাহাকে পীত দেখে। কাজে কাজেই, লাল ও সবুজ আলোর সংমিশ্ৰিত স্থানটিকেও চোখ পীত রূপেই দেখিতে পায়। উপরে বর্ণিত পরীক্ষাগুলি হইতে এই কথা বুঝিতে। পারা গেল যে, চোখ যে সব রঙকে বিশুদ্ধ রঙ দেখে, ' বাস্তবিক পক্ষে সব সময়ে তাঙ্কার যে ৰিশুদ্ধ থাকে । তাহা নহে। তোমরা জান যে, প্রিশ্ন দিয়া সাদা আলো-কে ভাঙ্গিয়া দিলে নানা রঙের আলোব সঙ্গে সবুজ রঙটাও তৈয়ারী হয়। এই যে সবুজ রঙ হঠল ঠষ্ট বিশুদ্ধ, কারণ, চক্ষাকে আবার নূতন করিয়া ভাঙ্গিবার চেষ্টা করিলে অকৃতকার্যা হইতে হয়। কিন্ধ এই মাত্র তোমাদিগকে যে পরীক্ষাগুলির কথা বলিলাম তাঙ্গদের একটিতে যে বর্ণকিরণ পাইলে, ইহার রঙগুলি ইহঁতে তাহার লাল নীল অংশ সারাইলে যে রঙ গুলি বর্তমান থাকে, সেগুলি এক সঙ্গে চোগে আসিয়া লাগিলে সবুজ দেখায়। ঠিক এই কারণেই গছের পাতাকে আমরা সবুজ দেখি। পাতার মধ্যে এক রকমের পদার্থ আ৮ে–লাগকে বৈজ্ঞানিকের। ক্লোরোফিল (Chlorofil) বা পত্র হরিৎ নাম দিয়াছেন এই(Chlorofil)অণুগুলির উপর হুর্য্যের সাদ। অপে। আসিয়ু পড়িলে তাহারা সাদা আলোর প্রায় সমস্ত লাল ও নীল অংশ নিজের মধ্যে টানিয়া লয়। কাজে কাজেক্ট পাতা হইতে যে আলো তোমার চেখে ফিরিয়া আসে, তাহাতে সাদা আলোর নীল ও লাল অংশ থাকে না। যে গুলি বৰ্ত্তমান থাকে, চোখকে সবুজ রঙ যে ভাবে উত্তেজিত করে, সেগুলিও প্রায় তেমনই ভাবে তাহাকে উত্তেজিত করে বলিয়া চোখ ভুল কবিয়া মনে করে যেন সবুজই দেখিতেছি। তাহার পর তোমরা অনেকেই জান যে সবুজ রঙ তৈয়ার করিতে হইলে তোমাদের রঙের বাক্সের নীল ও পীত রঙকে একসঙ্গে মিশাইয়া লইতে হয়। বাস্তবিক পক্ষে চোখ যাহাকে সবুজ দেখে, সেই রঙকে পাইবার ংখ্যার কোন শেষ নাই। বর্ণ-কিরণের যে কোন ও রঙের পক্ষেও ঐ কথাটাই খাটে। মিশ্র রঙ ধরিবার ক্ষমতা আমাদের চোখে নাই। --
পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।