=िाखa छान्छा குதி --- চীনের বুলবুল (চীনদেশের গল্প) অনেক —অনেক দিন আগে চীনদেশে এক বাজী fছলেন –ধার সময চীনের রাজপুরী ছিল পৃথিবীর সব চাইতে সেবা অট্টালিকা। কিন্তু সে রাজপুৰী গুড়ে হ'য়ে ধূলার লাগে ו עזזי ויfst সেই রাজপুরীব বাগানে চমৎকার সব ফুল ফুটে পাকতো। প্রত্যেকটি ফুলের সঙ্গে একটি করে ছোট্ট রূপোর ঘণ্টা সব সময় টুং টুং করে বাজতো । যে কেউ রাস্তা দিয়ে যেতে। সেই বাগানেব দিকে একবারটি চোখ না ফিরিয়ে যাবার উপায় ছিল না । কিন্তু সেই বাগানের যে শেষ কোথায়, তা কেউ জানতো না। তবে শোনা যেতে, এর শেষে সুন্দৰ বনভূমি এবং স্নিগ্ধ হ্রদের জল সকলকারই মনোহরণ করত। সেই বন-ভূমির একটি গুউচ্চ বৃক্ষশাখায় একটি বুলবুল আপন মনে এমন চমৎকার গান গাছত যে, হুদেব জেলের দল গান শুনতে শুনতে জাল টানতে ভুলে যেতো । দুর দেশের পথিক সেই বনভূমিতে এসে এক মুহূৰ্ত্ত বুলবুলের গান গুনে ফুল্লমনে আবার রাস্ত। চলতে গুরু করত। দেশে গিয়ে গল্প করত এমনটি पञांव २ग्नना । এই বুলবুলকে নিয়ে দেশেৰ লেখক ও কবির দল যে কত গল্প, কত কবিতা, কত ছড়া নানাভাবে নানাভঙ্গীতে রচনা করে ফেললে, তার আর সীমাসংখা নেই । একখানা পুথি হঠাৎ গিয়ে চীনদেশের রাজাপ হাতে পড়ল। সোনার সিংহাসনে বসে রাজা তাব পাতা ওন্টাতে ওন্টাতে এক জায়গায় দেখতে পেলেন, লেখা আছে—“চীন-সামাঞ্জোব সেরা জিনিষ হচ্ছে--ত্বদের ধারের বুলবুল ।" রাজা অবাক হয়ে ভাবলেন, তাই তো, আমি রাজ্যের রাজা অথচ রাজ্যের সেরা জিনিষটিই আমি কখনও চোখে দেখিনি । বাজার আহবানে মন্ত্রী এলো,সেনাপতি এলো, সন্থর কোটাল এnো- অার এলে রাজার প্রধান পাশ্বচর । সবাই বললে, বুলবুল কৈ, তাকে ত কোন রাজসভায় দেখিনি । বাজ বললেন, আমি চাই—আজি সন্ধায় এসে বুলবুল, আমাকে গান শোনাবে। পধান পার্শ্বচর তখন বাজপুরার সমস্ত সিড়ি ওঠা নামা করে প্র৩োকটি জানালা ভালো করে দেখে রাজার কাছে দিবে গিয়ে বললেন, মহারাজ, ও বুলবুল টুলবুল, সব ফকির কথা-কবিদের বল্পনা — ও আপনি বিশ্বাস করবেন না। রাজা মাথা নেডে বল্পেন, উহু’। পুথির প্রত্যেকটি জিনিষই তা আনাব রাঞ্জো আছে। একটা কথাও ত’ মিথ্যা লেখা হয়নি। বুলবুলের কথাই বা মিথ্যা *বে কেন ? অার তা ছাড়া স্বয়ং জাপানের রাজা এই পুথি আমায় পড়তে পাঠিয়ে দিয়েছেন – আমি কোন কথা শুনতে চাইনে। আজ সন্ধের সময় যদি বুলবুলের গান না শুনতে পাই ত, রাজসভার সমস্ত লোককে মেরে ফেলা হবে। সমস্ত জগৎ চীনদেশের বুলবুলের কথা শুনেছিল — শোনে নি কেবল সেই দেশের রাজসভাব লোক । কাজেই, তারা সবাই প্রধান পাশ্বচবের সঙ্গে রাজপুবীর প্রত্যেকটি কক্ষ মাতি-পাতি কবে গুজে দেখতে লাগলো। রাজার পাকশালাব একটি ছোট্ট মেয়ে খিলখিল করে ছেসে হাততালি দিয়ে লল্লে, ওগে| তোমরা মিছে খুজে মরছ। সে থাকে গাছের শাখে—স্থদের তীরে। আমি যখন মাকে খাবার দিয়ে ফিরে আসি, তখন তার গান গুনে আমাব পথের সমস্ত কষ্ট দূর হ’য়ে যায়—চোখে জল আসে ; মনে হয় ম৷ আমার চুমে থাচ্ছে । প্রধান পাশ্বচব তখন দলবল নিয়ে ছোট্ট মেয়েটির সঙ্গে সেই বনেৰ উদ্দেশ্যে রওনা হ’ল। আর তাকে বলে, যদি বুলবুলকে পাওয়া যায় তো তোমায় রাজার পাকশালে পাকা রাধুনি করে বাধা হ’ৰে। একজন প্রধান সভাসদ চলতে চলতে কিসেব ডাক শুনে বলে উঠলেন, জাব ভাবনা নেই, এইবার তাকে পাওয়া গেছে। ছোট মেয়েটি খিল-খিল করে হেসে উঠে বলে, না-না-ও ত একট) গরুর ডাকআরো খানিকট এগিয়ে রাজসভার ঘোষক চমকে টাড়িয়ে বল্লেন, চমৎকার—এইবার স্থিরনিশ্চয়—ঠিক যেন মন্দিবের ঘণ্টার শব্দ ! եՀ8 -------
পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৩৭
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।