: শিশু-ভাল্পতী খৃষ্টান বল্পে, আমি বড়ই নিৰ্ব্বোধ, অকারণে এই দুৰ্গন্ধ ঘরে পড়ে আছি, আমার বুক-পকেটে যে প্রতিজ্ঞার চাবি আছে তাই দিয়ে আমার বিশ্বাস, সন্দেহ-গ্লুর্গের ফাটক খুলে বাহিরে যেতে পারব, মুক্তি আমাদের প্রায় হস্তগত। এই বলে চাৰি বার করে তাই পৃষ্ঠান ও বিশ্বাসী একান্ত মনে প্রাণনা কছিল দিয়ে কয়েদ-ঘরের দরজা খুলে পরে সদর দরজাও ; খুলে ফেললে ৷ ফাটক খুলবার সময় এত আওয়াজ হল যে, দৈত্যের ঘুম ভাঙ্গ,উঠে তাদের পিছু দৌড়াবার চেষ্টা করলে কিন্তু কাজের হল না, আবার মুছ। বশে গুয়ে পড়তে হল। ইত্যবসরে তার প্রশস্ত রাজপথে বেরিয়ে এগিয়ে চলুল—দৈত্যরাজ্য ছাড়িয়ে গেল, আর তাদের আপদে পড়তে হয়নি। তীর্থযাত্রীর যাত্রা শেষ খৃষ্টান ও বিশ্বাসী খৃষ্ট ভক্তের স্বর্গ নগরে উপস্থিতিবার্তা খৃষ্টান ও আশাপূর্ণ কিছুক্ষণের মধ্যেই সুখ-শৈলে গিয়ে পদার্পণ করেছিল, মেষপালকেরা তাদের স্বাগত জানালে। মেষপালকদের নাম, জ্ঞান, অভিজ্ঞতা, সতর্ক ও সরল। সকলেই খুনী হয়ে তাদের সৎপরামর্শ দিলে, প্রত্যেকের দর্পণে স্বৰ্গ-দ্বারের ছবি তাদের দেখাল। তপন তারা আবার যাত্রা করল। ইতিমধ্যে একজন লোক তাদেব সন্মুখীন হল, কাফিদের মত তার গায়ের রং কিন্তু পরণে খুব দামী পোষাক—এক স্বপ্ন ও স্বচ্ছ যে শরীর দেখা যাচ্ছিল। খৃষ্টান ও বিশ্বাসী স্বৰ্গরাজ্যের পথিক শুনে বরে, আমায় অনুসরণ করে। আমারও গন্তব্য স্থান সেই একই। এই লোকটির নাম তোষমোদ । বুঝবার আগেই সে এই দুজনকে ফঁাদে ফেলে—তখন তাদের মেঘপালকদের সতর্ক-বাণী স্মরণ হল । এর পরেই দেখলে একজন এগিয়ে আনছেন। স্তার দীপ্ত দিব্য মুক্তি, হাতে চাবুক—যখন তিনি শুনলেন, এরা দুজন স্বর্গ-যাত্রী তোষামোদের ফঁাদ ছিড়ে তাদের দুজনকে বেশ করে কয়েক ধা চাবুক মেরে সাঙ্গা দিয়ে ছাড়িয়ে নিলেন আর বলে দিলেন মেযপালকদের পরামর্শ যেন ভুলে না যায়। তারাও এগিয়ে চলল-সে দেশের বাতাস যেন ঘুম ভরা, আশা-আশ্বাস ঘুমিয়ে পড়ছিল- খৃষ্টান কিন্তু মনে রেগেছিল এটা মায়া-দেশ, তাই খুমিয়ে যাতে ন পড়ে, সেই চেষ্টায় কথাবাৰ্ত্তা কইতে শুরু করলে । মায়ার দেশ ছাড়িয়ে যেখানে পৌঁছল তার নাম IBeulal (সুন্দর পথ ?) সেখানকার আবহাওয়া অতি স্বন্দর। পথেই সে স্থান পড়ে বলে, সাস্বনা ও শাস্তি লাভ করবে বলে কিছুদিন বাস কবলে—পাপীর কল কাকলিতে মধুর, পুপ স্ববভিত, কপোতের গদ গদ গভীর স্বরে প্রতিধ্বনিত। এই দেশে দিন রাজিব ভেদ নাই-আলো অস্ত যায়ন—তার কারণ মৃত্যুঅধিত্যকার কোন ছায়। সেখানে পড়ে না। নৈরাশ লtশয়-দুর্গ ছেড়ে আসে ন—এমন কি, সে দুর্গ কারো দৃষ্টিগোচর হয় না যতই অগ্রসর হল, স্বৰ্গদ্বার ততই স্পষ্টর হয়ে উঠল। মৃত্তাপ্রবালে প্রাচীর নির্শ্বিত অাৰ পথ সোণায় মণ্ডিত--এক তে আপনইশ্বধ্য তার উপর হ্যালোকে সে রাজ্য এমনি মনোহর চয়েছিল, চির অতীন্সিত রাজ্যের দর্শনে খুষ্টান একেবাবে মুগ্ধসন্ধিৎহারা হয়ে পড়েছিল, আশাময়ের অবস্থা ও তারি মত হল। কিন্তু কিছু মনোবল সঞ্চয় করে তার না থেমে এগিয়েই চলল। দুজনের সঙ্গে দেখা হল র্যাদের পরিচ্ছদ কিম্বাবের, আপাদমস্তক দিবালোকে উজ্জ্বল। এরা যাত্রীদের জিজ্ঞাসা করলেন, কোথা হতে এসেছ ? তাবা তাদের দেশের উল্লেখ করবার পর স্বৰ্গতির বললেন, এখনও তোমাদের সম্মুখে দুটি মুস্কিল-সে দুটি কাটলেই স্বৰ্গরাজ্যে পৌছে যাবে। খৃষ্টান ও আশাময় তাদের পথ-সঙ্গী হবার জন্যে অনুরোধ করলে তারাও সম্মত হলেন। চার জনে একত্র চলে স্বৰ্গদ্বারে এসে উপস্থিত হলেন। কিন্তু সম্মুখেই নদী थां८छ्, cनटू ना३-नौद्र छगe गरूँौद्र। निदा সঙ্গীরা বললেন, সাতার দিয়ে নদী পার হতে হবে, ー* 》) 。 《駱
পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪০৩
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।