f-st?sè sera>r হয়তো তাহা পারিত না। তবে আজকাল সে হয়তো খ্যাতির তাড়নায় কিংবা সহজে ছাপানো যায় বলিয়া লেখে, সেদিন তাঙ্গা কম ছিল। আর, তখন সাতিঃা ছিল গানে, গান গাহিবাব একটা স্বতন্ত্র আনন্দ আছে, শুধু কবিতা পড়িয়া সে আনন্দ পাওয়া যায় না ; আবিীর ধৰ্ম্ম ছিল সেকালের কবিতা লিগিবাব এক প্রধান কারণ, জীবনের এক প্রদান সংস্কার। তাই সেকালে লোকে কবিতা লিখিতে হইলে ধৰ্ম্ম বিষয়ক গান লাধিতে বলিত । এই ধৰ্ম্মবিষয়ক গান দিয়া বাঙ্গলা সঙ্গি*োর গোড়া পত্তন হয়। এক সময়ে বৌদ্ধধৰ্ম্ম সারা ভারতে প্রচলিত ছিল। অহিংসা পরম পৰ্ম্ম এবং অহিংসা অভ্যাস কলিতে তইলে আমাদিগকে নানাপ্রকান সাৰন করিতে হয়। বৌদ্ধধৰ্ম্মেপ কতকগুলি সাধনপগ বা সাধন প্রণালী বিশেষ করিয়া ছিল ; প্রাচীন বাঙ্গলা সাহিত্যের কতকগুলি গান বা দোহা এই সকল সাপন প্রণালা লইয়া লিখিত। দোহা কপাট৷ এখন আর আমাদের ভাযান চলিত নাই, কিন্তু অন্য প্রদেশের ভাষায় আছে। যেমন হিন্দীতে তুলসীদাসেব দোকা, গুজরাটিতে মীবাবাইয়ের দোহা ইত্যাদি। দুইয়ে দুইয়ে, অর্থাৎ প্রতি দুই ছত্রে একটা মিল দেখিতে পাওয়া যায় বলিয়া বোল হয় দোহা এই নামকরণ হইয়াছে। এইরূপে মারহাট সাহিত্যে আছে অভঙ্গ—যহাব ভঙ্গ হয় না, যাহাতে মিল আছে এই অর্থে । এই গান বা দোহাগুলি যে কিরূপে বাহির করা হইল, তাহণ শুনিলে আশ্চৰ্য্যাম্বিত হইতে হয়। মহামহোপাপায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী আমাদেব দেশের একজন খুব বড় দরের পণ্ডিত ছিলেন। তিনি কলিকাতা সংস্কৃত কলেজের ৩াধ্যক্ষ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংস্কৃত এবং বাংলা সাহিন্তোর অধ্যাপক ছিলেন। ইতিহাস ও প্রত্নতত্ত্বে তাহার খুব নাম ছিল। সোজা কণায়, ৮হবপ্রসাদ শাস্ত্র প্রাচীন কালের বর্ণন। তিনি এমন সুন্দর ভাবে করিতে পারিতেন যে, লোকে তাহা মুগ্ধ হইয়া শুনিত। এইরূপ চমৎকার কল্পনা ও সরল কায় বর্ণনা শক্তি র্তাহার পাণ্ডিত্যের সঙ্গে সুন্দর ভাবে মিশিয়াছিল। তিনি তাজি বাইশ বৎসর হইল পরলোকে গিয়াছেন। প্রায় ষাঠ বৎসর পূৰ্ব্বে পুরাণে পুথি খুজিতে গিয়া তিনি নেপাল দরবারে উপস্থিত হন। সেখানে তিনি কয়েকখানি পুথি পান —তাতাদের মধ্যে কয়েক স্থানের ভাষা ঠিক সংস্কৃত নয়, হয় তাহ সংস্কৃঙ্গের টীকা, নয় তো
পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৪৩৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।