দুল্লামানরণ রাণী কৈকেয়ী গায়ের গহনা ছড়াইয়া ফেলিয়া দিয়৷ ছেড়া ময়লা কাপড় পরিয়া, চুলগুলি আলু থালু করিয়া ঘবের মেঝেতে পড়িয়া রছিলেন। রাজা দশরথ কৈকেয়ীকে এই মুখবর দিবার জন্য কৈকেয়ীর ঘরে মাসিয়া দেখিলেন, কৈকেয়ী মপিন বেশে মেঝেব উপর শুইয়া আছেন—তাহtল চোখ দিয়া জল ঝরিতেছে! প্রাণাধিক কৈকেয়ীর অবস্থা দেখিয়া বৃদ্ধ রাজা বলিলেন, বাণী ! ‘আজ আমাদেব পরম শুভদিন । তোমাকে সেই সুসংবাদ দিবার জন্য আমি নিজে তোমাল ঘরে আসিয়াছি। কিন্তু এ কি । তোমার এইরূপ অবস্থা কেন ? তোমার কি रुङ्गेझाtछ, दण ? झुभि बा९! চাহিৰে, আজ আমি তোমাকে তাহাই দিব । কৈকেয়ী অভিমানভরে বলিলেন, শুনিতেছি, রাম রাজা হইতেছেন । তাই] ८ो८-ो प्रक भई २३:द ন। রামের বদলে হামাব ভরত লাজ1হইবেন—আর স্নাম চৌদ্দ বছরের জন বনে যাইবেন। আমি এই চাই। বৃদ্ধ রাজা দশরথের মাথায় যেন বজাঘাত रुद्देज ! डिमि भूझिड श्हेप्रा পড়িলেন। জ্ঞান লাভ করিয়া এই অন্যায় আর্দার ত্যাগ করিবার জন্য কৈকেয়ীকে কত সাধা-সাধনা করিলেন । কিন্তু কিছুতেই কৈকেয়ী জেদ ছাড়িলেন না। দশরথ আবার মূচ্ছিত হইয়া পড়িলেন। ক্রমে রামচন্দ্র এই কথা শুনিলেন। তিনি কৈকেয়ীর নিকটে আলিতেই কৈকেয়ী রুট স্বরে তাহার মনের কথা জানাইলেন। এই নিদারুণ কথা শুনিয়াও রামের মুখের কোন পরিবর্তন হইল না। রামচন্দ্র বলিলেন মা । ভরত রাজা হইবে এ ত অতি মুখের কথা । পিতার সত্যমুক্তির জন্য আমি ভরতকে রাজ্য দান করিলাম এবং আমি এখনই চোঁদ বৎসরের জন্য বনে গমন কৰিব। এই বলিয়া রামচন্দ্র কৈকেয়ীর পদধূলি লইয়া তথা হইতে br বিদায় গ্রহণ করিয়া কৌশল্যামার মন্দিরে উপস্থিত হক্টলেন । কৌশল্য পুত্রের মঙ্গল কামনা করিয়া পূজা করিতেছিলেন। হল। রামচন্দ্রের মুখ হইতে সমস্ত কথা শুনিয়া তিনি প্রাণে যে কি আঘাত পাঠলেন, তাতা বলা যায় না। বামচন্দ্র মাকে বুঝাইয়া সীতার কাছে আসিলেন ও তাছাকে সব কথা খুলিয়া বলিলেন। দারুণ দুঃখে সীতার বুক ফাঁটিয়া যাইতে লাগিল । পরিশেষে তিনি বলিলেন, যদি তুমি বনে যাও, আমিও তোমার সঙ্গে মাইল। এই সময়ে লক্ষ্মণও দশরথ ও কৌশল্যার রামকে যৌববাজো অভিষিক্ত করিবার আয়োজন —কৈকেয়ীর ক্রোধ—রাম নিৰ্ব্বাসন তথায় আসিয়া পৌছিলেন। সব কথা শুনিয়া তিনি ও প্রথমে চটিয়াই আগুন। পরিশেষে লক্ষ্মণও রামের সহিত বনে যাইবেন, স্থিব হইল । সুমন্ত্র রথ সাজাইয়া আনিল । রাম-লক্ষণ বস্কল (গাছের ছাল) পরিয়া রথে চড়িলেন। কৌশল্যার অনুরোধে সীতাদেৰী মাত্র বন্ধল পরিলেন না। তিনি যে-বেশে ছিলেন, সেই বেশেই রথে চড়িলেন। অযোধ্যার লোক সকল হাছাকার কবিতে করিতে রখের পেছনে পেছনে ছুটিল। সন্ধাকালে বামচন্দের রথ তমসার তীরে পৌছিল। অযোধার অধিবাসীরা ঘুমাইয় পড়িলে রামচন্দ্র তমসা নদী পার হইলেন। ক্রমে র্তাহারা দেবশ্রুতি ও গোমতী নদী পার হইয়া পরদিন সন্ধ্যাকালে গঙ্গার তীরে ჯპა
পাতা:শিশু-ভারতী - তৃতীয় খণ্ড.djvu/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।