পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/১৯১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভগৱতী ------ পরীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন যে, চাপ যদি পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলের চাপের পাচগুণের কম হয় এবং এই চাপের মধ্যে জমাট কাৰ্ব্বন ডাইঅক্সাইড, যদি গলিতে আরম্ভ করে, তাহ হইলে ইঙ্গ তরল না হইয়া একেবারে অনিল (gas) অবস্থায় চলিয়া যায়। এদিকে অধ্যাপক পিকারিং দেখাইয়াছেন যে, মঙ্গলের মেরুর শাদা টুপিটি গলিয়া কোনও অধ্যাপক ই, সি পিকারিং তরল পদার্থে পরিণত হয়। ইহা হইতে প্রমাণ হইতেছে যে, শাদা অপবরণটি কাৰ্ব্বনডাই-অক্সাইডে গঠিত নয়। ৰোধ হয় তোমৰা অনেকেই জান যে, শুভ্রবর্ণেব আলোর মধ্যে নানাবর্ণের আলোক আছে । এমন একটি কঁাচের কলম লও যাহার তিনটি পাশ ও তিনটি শির আছে। সূর্য্যের আলো শাদা, কিন্তু এই আলো যদি কাচের কলমের মধ্যে প্রবেশ করিয়া আবার বাহিরে আসে তাহা হইলে উচা তার শাদা না থাকিয়া নান”বৰ্ণে বিভক্ত তষ্টম যায়। এই 个甲· ---. নানারঙের আলো যদি একটি পর্দার উপর গিয়া পড়ে, তাহা হইলে ইহার সুন্দর বর্ণচ্ছটা বাকিরণচিত্র (Spectrum) দেখিতে পাওয়া যায়। এই বর্ণচ্ছটায় কতকগুলি আঁধার রেখা দেখিতে পাওয়া যায়—যেগুলিকে ফ্রানহোফারের (Fraunhofer) রেখা বলা হয়। এই বেখাগুলি পৰীক্ষা করিয়া পণ্ডিতেরা বলিতে পারেন যে, সূর্য্যে কোন কোন পদার্থ অনিল অবস্থায় আছে। ১৯১৪ খু; ফ্লাগষ্টাফ মানমন্দিবে ডাক্তাব সাইফার(Dr.Slipher) মঙ্গলের আলোকরশ্মির কিরণচিত্রের এক ফটোগ্রাফ লইয়াছেন। তিনি বিশেষভাবে ১৯১৮ খৃষ্টাব্দে মঙ্গল গ্রহকে যেমন দেখা গিয়৷tছল গ্রীনউইচ) এই কিরণচিত্র পরীক্ষা করিয়া দেখিলেন যে, মঙ্গলেব বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্প পাওয়৷ যায়। বৈজ্ঞানিকের আরও পৰীক্ষা করিয়া দেখিয়াছেন যে, গ্রীষ্মকালে যখন মেরুর টুপিটি গলিয়া কমিয়া যায় সে সময়ে মেরুর উপরকীব বাতাসে জলীয় বাপের পৰিমাণ অনেক বাড়িয়া যায়। মেরুর শাদা আবরণটি যে বরফ এলং গ্রীষ্মকালে ইতার চারিধাবে যে নীলমণ্ডলটি দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা যে জল, সে বিষয়ে আর কোনও সন্দেহ থাfকবাব কারণ নাই । গ্রীষ্মকালে বরফেব ·来