পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• =ि=<०-डत्रान्झडो উদ্দেশ নিহিত থাকে । খামখেয়ালীভালে কিছুই হয় না। ফলের মধ্যে যে অংশট। শক্ত আকাবে থাকে, যাকে সাধারণত: ফলেব উঠি বলা হয় সে সম্বন্ধেও ঐ কথাটা পূর্ণভাবে প্রযোজ্য । বাস্তবিক পক্ষে প্রকৃতির কাছে ফলেব আঁঠি অংশটার মূল্য তাব জঙ্ক অংশেব তুলনায় অনেক বেশী । জীবনেব প্রধান উদেখা নিজেকে বঁচিয়ে বাধা । সেজন্য সে এক অভিনব উপায উদ্ভাবন কবল। সে স্থঙ্করূপ ধারণ ক’বে নিজের চতুর্দিকে একটা কঠিন আববণ গড়ে নিল । এই আবরণের ভিতরে থেকে সে যতদিন ইচ্ছা নিজেকে মৃত্যু থেকে সরিয়ে রাখতে সমর্থ হ’ল—সে মৃতু্যকে এড়িয়ে গেল । এইরূপ উপায় উদ্ভাবন করার উদ্দেশ্য এই যে, যখন আবার স্ববিধা হবে আববণ থেকে বেরিয়ে এসে পুনরায় পত্র-পুষ্প-শোভিত হয়ে উঠবে। মিশর দেশেব কবরে প্রাপ্ত ধানের গল্প তোমবা শুনেছ। এই ধানগুলি a • • • হাজাব বংসব ধবে নিজেব মধ্যে স্বশ্বভাবে জীবনকে বহন ক’বে এসেছিল, যখন তার। আবাব উপযুক্ত পবিমণ্ডল পেল, নিজেকে গাছরূপে প্রকাশ ক'বে দিল। এইজন্যই গাছেৰ কাছে ফলের জাঠিটাব যত মূল্য, তাব অঞ্চ অংশের ততট। নয় । অাঠিটাই ত তাকে অনাদি কাল ধবে বঁচিয়ে রেগে এসেছে, অব অনন্ত কাল পৰ্য্যন্ত কে বাচিয়ে ৰাখবে। গাছের স্বস্থান ছেড়ে অন্যত্র যাবাব শক্তি নাই । অথচ তাকে তাৰ বীজকে দূবে পাঠাতে হবে । সে আব এক উপায় উদ্ভাবন করল । সে নিজের বীজ ংশটী-যেটাকে সে মৃত্যুব গ্রাস হ’তে দূরে রাখবাব জন্তে কঠিন আবরণে আচ্ছাদিত ক'রে বেখেছে— তার চতুর্দিকে স্বমিষ্ট আববণ গড়ে নিল। পাপী, পশু, মহম ইত্যাদি—যাদের গমনাগমনের শক্তি আছে তাৰ এই মিষ্ট অংশটার লোভে আকৃষ্ট হ'য়ে ফলট পেন্ডে আহাব করল, আর সঙ্গে সঙ্গে ৰুঠিন অংশটাকে দূরে নিয়ে গেল–গাছের উদ্দেশু সিদ্ধ হ’ল। এখন তোমরা বোধ হয় স্পষ্টই বুঝতেই পাবছ যে, ফলেব মিষ্ট অংশটা শুধু অন্যকে লোভ দেখাবাৰ উদ্দেশ্যেই গাছ কষ্টি কবেছে ।


*o8 -

বিশ্ব প্রকৃত্তির মধ্যে জীবন ও মৃত্যুর দ্বন্দ্ব এইভাবে প্রতিনিযতই চলছে । আপাতদৃষ্টিতে জামরা মৃত্যুকেই জয়ী হতে দেখি । কিন্তু ভাল ক'রে চেয়ে দেখ, দেখতে পাৰে, জীবনের মত কৌশলী এমন আর নেই, মৃত্যুব মত সৰ্ব্বগ্রাসী শক্তিকেও সে অনবরত নানান কৌশলে বিচিত্রভাবে এড়িয়ে চলবার চেষ্টা কবছে—আর প্রতিবারেই সে তার এই চেষ্টায় সফল হচ্ছে। জীবন ৪ মৃত্যুব এই চিৰন্তন ঘন্দ্বের ভিতর দিয়ে জীবন যে সব কৌশল আবিষ্কার করেছে এই অাঠির আবিষ্কার তাদের মধ্যে একটি অতি প্রধান বলা যেতে পাবে ।

পদ্মপাতার আকার গোল কেন ? : যে পরিমগুলের মধ্যে গাছ জন্ম নেয়, তাব নিজেব আকার ও আচরণের উপব সেই পবিমণ্ডলের অত্যন্ত প্রভাব পড়ে। পদ্মপাতার বুভাকাল আকাব পাবার মূলেও তার পরিবেষ্টনের প্রভাষ বৰ্ত্তমান । পুকুব কিঙ্গ। বদ্ধ জলেই পদ্ম জন্মাতে দেখা যায় । পুকুরে যে জল থাকে তবে স্রোত হয় না । পুকুবেৰ জলের কোনও বিশেষ দিকে গতি নেই—সব দিকে সমানভাবে তার চল ফেব। সম্ভব । এই অবস্থায় এই বকম জলের ওপবে যে সব পাতা জন্মায় তার কোনও বিশেষ দিকে বাড়বাব চেষ্টা থাকে না। তাই দেখা গিয়েছে যে, এই সব পতার সব দিকে সমান ভাবে জলের প্রভাব পড়ে এবং সেইজন্য এরা সব দিকে সমান ভাবেই বাড়তে থাকে । কোনও জিনিষ যদি সব দিকে সমানভাবে বাড়তে পায়, তবে শেষ পর্য্যস্ত ত৷ বৃত্তাকাবই হ’যে দাড়ায় । এখন বুঝতে পারছ, কি কাবণে পদ্মপাল। গোলাকার আকৃতি পেয়ে থাকে । ভোমর। যদি এই বার লক্ষ্য কর, তবে দেখবে যে, যে সব উদ্ভিদ বদ্ধ জলে জন্মায়, তাদের সকলকাব পাত্ৰা সাধারণত: গোলাকাব হয়। অপব পক্ষে যে সব উদ্ভিদ স্রোতের জলে জন্মায়, তা সব সময়েই লম্বাটে ধরণের আকার পাইয়া থাকে ।