পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/২৮৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মাটির রসের সহিত মিলিষ্ঠ হইয়। মাটির যে সকল উপাদান, তা হাদিগকে আরও তরল করিয়া দিতেছে । এইরূপে মাটি হইতে উদ্ভিদের দেহ গঠনের উপযোগী মৌলিক ধাতব পদার্থের উপাদান গুলি তরল অবস্থায় উদ্ভিদের শরীরে প্রবেশ করিতেছে । তাছা হইলে এখন আমরা কৈশিক মূল গুলিকে অনায়াসেই উদ্ভিদের মুখ বলিতে পারি। উদ্ভিদের দেই বিভিন্ন প্রকারের অসংখা কোষেব - দ্বারা গঠিত। এক স্তর কোষের উপর অপর একটি স্তর সাজানে। কোষগুলি মিলিত কষ্ট য় লম্বা লম্বা নালিকার স্বষ্টি হইয়াছে । এক কোল হইতে অপর কোষে যখন মাটির রস চৰ্ম্মান্তৰ্ব্বাহ প্রক্রিয় গুণে উঠিতে থাকে, তখন শিকড়ের মধ্যে একটি চাপের স্মষ্টি হয় এবং ঐ চাপের প্রভাবে শিকড়ের মধ্যস্থ নালী দিয়া উপরে উঠিয়া কাণ্ডে এবং কাও হঠতে পাতার বেঁটায় ও লোটা হস্ততে পাতায় চলিয়া যায় । এষ্টরূপে মৌলিক উপাদানগুলি পাতায় আসিয়া জমা হয় । এই পা তাই উদ্ভিদের রান্নাঘর এবং পা তাতেই মোলিক উপাদানগুলি বিভিন্ন জাতীয় খাদ্যদবো পরিণত হয় । কৈশিক মূল ণে মাটির রস টানিয়| লহতে পালে ও ঐ রস কাণ্ডেব ভিতর দিয়৷ পাতায় যাহতে পারে তাহা তোমরা নিম্নলিখিত দুষ্টটি পরীক্ষার দ্বারা অনায়াসে বুঝিতে পরিবে । একটি নগা সংগ্ৰহ কর । ছুরি দিয়। মুলাটির ভিতরে শাস করিয়া বাকির করিয়া ফেল। পরে মধ্যভাগের কৈশিক মূল মাটির রস টানে — ইহার পরীক্ষা ঐ ফাপা অংশের অৰ্দ্ধেকট ঘন লবণ জল দ্বারা পূর্ণ কর। এখন লবণ জলপূর্ণ মুলার খোলাটিকে একটি জলপূর্ণ গ্লাসের ভিতরে রাখিয়া দাও। গ্লাসের জলের উচ্চতা যেন মূলার খোলের জলের উচ্চত অপেক্ষ বেশী না হয় । দুই এক দিন পরে দেখিৰে যে, মূলার খোলের উচ্চতা অনেক বাড়িয়। গিয়াছে । মাসের জলের স্বাদ লইলে দেখিৰে যে, উছা লোনা হইয়া গিয়াছে। এই পরীক্ষার দ্বারা বুঝিতে পারলে যে, কৈশিক মূলের রস মাটির রস গ্রহণ করে এবং ইছাও বুঝিলে যে, কৈশিক মূলের অম্নরস ছধিক শক্তিশালী হইলে উহা মাটির জলকে অধিক পরিমাণে গ্রহণ করিতে পারে । যে কোন গাছের একটি ছোট ডাল কাটিয়া মান। উঠার দুই ধার কাটিয়া এক ফুট লম্বা একটি টুকরা লও। ঐ টুকরাটির মাঝামাঝি স্থানের কতকটা অংশের ছাল ছুরি দিয়া তুলিয় ফেল, যেন শাদা কাঠ বাহির হুষ্ঠয় পড়ে। এখন ঐ টুকরাট একটা জলপুণ গ্রাসে বসাইয়। দাও । গ্রাসের জলে লাল কালি মিশাইয়া দাও । কিছুক্ষণ পরে দেখিবে CH, গ্রাসের লাল জল ছাল-তোলা অংশের শাদা কাঠেব উপর দিয়া উপরে উঠিঠেছে। এই পরীক্ষা ইষ্টতে বুঝা গেল যে, কাণ্ডের ভিতর দিয়। শিকড় শুষ্টতে রসূ উপরে উঠে এবং তাখাতে কাণ্ডের উপরের ছালের কোন সাহাযোর দরকার কয় না। পাতাতেই উদ্ভিদের সকল জাতীয় খাদ্য, ধপা:-- শ্বেতসার, তৈল ও অন্নসারজাতীয় খাদ্য প্রস্থত হয় । পাতার নীচের পিঠে অসংখা ছিদ্র আছে ; ঐ ছিদ্রগুলির নাম পত্রমুখ। ঐ ছিদ্রের ভিতর দিয়া বাতাস হইতে কাল্পনিক এসিড গ্যাস পাতার মধ্যে প্রবেশ করে। পাতাকেও তাছ চইলে আমরা উদ্ভিদের মুখ বলিতে পারি। তবে প্রভেদ এক যে, এই মুখ দিয়া খাদ্যের মৌলিক উপাদান বাষ্পীয় আকারে উদ্ভিদের শরীরে প্রবেশ করে। আর অপর মুখটা দিয়া তরল অবস্থায় প্রবেশ করে । পাতাগুলিও কোষের পত্রমুখ দ্বার। নিৰ্ম্মিত। ঐ কোষগুলির মধ্যে শিকড় ইষ্টতে জল ՏՎ ո