পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

डाisपाcन्छब्द्ध cप्न***-●f=**ड= aifi ৰোধ হয় খৃষ্টীয় চতুর্থ কি পঞ্চম শতকের লোক । নন্দ রাজের রাক্ষস নামে এক প্রভুভক্ত মন্ত্রী ছিল। নন্দের সিংহাসনচু্যত হওয়ার পর রাক্ষস নাম প্রকারে চন্দ্রগুপ্তের অনিস্ট করিতে চেষ্টা করে . কিন্তু অপর পক্ষে ৮াণক কি রূপে ধৰ্বতার সহিত তাঙ্গর সকল চেন্ট বিফল করিয়া দেন, নাটকটিতে অতি সুন্দর ভাবে চs1 নিবৃত হইয়াছে । পড়িয়া মনে হয় নে, চাণক্য নিজের উদেশ সিদ্ধির জন্য যে কোন উপায় অবলম্বন কবিতে দ্বিপা করিতেন না । তোমৰ বোধ হয় শুনিয়াছ মে, চন্দ্র গুপ্ত নন্দ রাজের পুত্র ছিলেন, তঁহার মাত৷ ছিলেন, নন্দের দাসী মুরা ; মুবার পুত্র বলিয়া চন্দ্রগুপ্তেৰ নাম মৌর্য্য। কিন্তু কোনো পুরাতন গ্রন্থে এ কথার উল্লেখ নাই। প্রাচীন বৌদ্ধগ্রন্থে দেখিতে পাওয়া যায় যে, হিমালয়ের পাদদেশে মৌর্ণা নামে একটি গণরাজা ছিল, চন্দ্রগুপ্ত সেচ রাজ্যের লোক ছিলেন এবং জাতিতে ক্ষত্ৰিয ছিলেন । এই জন্য মনে হয় যে, চন্দ্রগুপ্ত শুদ্র ছিলেন না, বরং উচ্চ জাতির ক্ষত্রিয়ষ্ট ছিলেন। আজকাল বড় বড় ঐতিহাসিকগণ আর মুরার গল্প বিশ্বাস করেন মা এবং চন্দ্রগুপ্তকে ক্ষত্রিয় বলিয়া মনে করেন । - চন্দ্রগুপ্তের মত শক্তিশালী সম্রাট ভারতে বিরল। তিনি পাঞ্জাব হইতে গ্রীকৃদিগকে বিতাড়িত করিয়া সমস্ত উত্তর-ভারত জয় করিয়া লন । এমন কি, মনে হয় যে, দাক্ষিণাত্যেরও অনেকখানি তাকার সাম্রাজ্যভূক্ত ছিল । কিন্তু তাহার প্রধান কীৰ্ত্তি ছিল গ্ৰীকৃদিগকে পরাস্ত করা। আলেক্সান্দেরের মৃত্যুর পর তাহার সেনাপতিদের মধ্যে সাম্রাজ্য লইয়া বিরোধ উপস্থিত হয় । ফলে সেলিউকস নামক সেনাপতি পশ্চিম এশিয়া জয় করিয়া লন । আলেক্সান্দেরের মত র্তাহারও ভারত ה"שט\ জয়ের ইচ্ছা হইল । তিনি কতদূর অগ্রসর হইয়াছিলেন বলা যায় না, তবে মনে হয় যে, চন্দ্র গুপ্ত র্তাহাকে বিশেষ সুবিধা করিতে দেন নাই । আশ্চর্যের বিষয় লে, যে গ্ৰীক ঐতিহাসিকগণ আলেক্সান্দেরের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বিজযের কথা ও শ গুমুখে প্রশংসা করিয়াছেন, *াগর; সেলিউকস-চন্দ্রগুপ্তের যুদ্ধ সম্বন্ধে একে পারে নীরব । বোধ হয়, চন্দ্র গুপ্ত সেলিউকস্কে বিশেষরূপে পরাজিত করেন, এই জগাই গ্ৰাক্‌ ঐতিহাসিকগণ লজম্বায় এই সম্বন্ধে কিছু লিপিবদ্ধ করিয়া যান নাই। যুদ্ধের পর সেলিউকস্ চন্দ্রগুপ্তকে সাকগানিস্থান প্রদেশ দান করেন এবং ইহার বদলে মাল ৫০ a র ৭গজ লইয়া সঙ্গুস্ট থাকিতে বাধ্য হন । দুষ্ট সমার্টের মধ্যে বন্ধুত্ব স্থাপন হইল এবং চন্দ্রগুপ্ত বোদ হয সেলিউকসের কন্যাকে বিবাহ কবেন । পাঞ্জালে এখনো চন্দ্র গুপ্তের এক্ট লীর কাহিনী গীত হইয়া পাকে । জৈনগ্রন্থে দেখিতে পাওয়া সায় যে, চন্দ্র গুপ্ত জৈনধন্মের অনুগত ছিলেন । তাহার বাজত্বের শেষভাগে নাকি উত্তরভারতে দারুণ দুৰ্ভিক্ষ উপস্থিত হয়, সেইজন্য তিনি জৈন নেতা ভদ্র বাহুর সহিত রাজ্য ছাড়িয়া দাক্ষিণাত্যে প্রস্থান করেন এবং মহীশূরের অন্তর্গত শ্রবণ-বেলগোল নামক স্থানে প্রাণত্যাগ করেন । জৈনদের মতে না খাইয়া মরা খুব পুণ্যের কাজ । সেলিউকস্ পরাজিত হইবার পর চন্দ্রগুপ্তের সভায় মেগাস্থেনীস নামে এক গ্রীক দূত পাঠান। তিনি সম্ভবতঃ দুই ভিন ৰাৱ ভারতবর্ষে আসেন এবং চন্দ্রগুপ্তের সভায় অনেকদিন বাস করেন । দেশে ফিরিয়া তিনি "ইণ্ডিকা' নামে একখানি পুস্তক রচনা করেন । দুর্ভাগ্যের বিষয়, সে পুস্তকখানি এখন আর পাওয়া যায় না । আরিআন, সন্ট্রাবো প্রভৃতি পরবর্তী ---