পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমাদের শরীরের ভিতর ভৌতিক plıysical) 's রাসায়নিক নানান রকম ব্যাপার সৰ্ব্বদাই চলছে। এই ব্যাপারগুলি ঠিকভাবে চলতে হ’লে একটা বিশেষ তাপের প্রয়োজন। স্বাভাবিক অবস্থায় আমাদের শরীরে যে তাপ বৰ্ত্তমান থাকে ও এই সব ভৌতিক ও রাসায়নিক ব্যাপারগুলি চলবার পক্ষে ঠিক উপযুক্ত। কোন ও আগন্তক কারণে আমাদের শরীরের এই স্বাভাবিক তাপ যদি বেশী হয়ে ধায়, তখন আমাদের গায়ের চামড়া বা ত্বকের লক্ষ লক্ষ ছিদ্র দিয়ে জলীয় পদার্থ বেরিয়ে এসে তাড়াতাড়ি বাম্পে পরিণত হবার চেষ্টা করে—ফলে, আমাদের গা আবার ঠাণ্ড হ’য়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে পায়। একেই আমরা সাধারণত: বলি ঘাম হওয়া । আমাদের শরীরে অসংখ্য মাংসপেশী আছে তা তোমরা জান । এই মাংসপেশীগুলিই মস্তিষ্কের একটা বিশেষ স্থানের দ্বারা পরিচালিত হয়ে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক তাপকে বৰ্ত্তমান রাখে । এই বিশেষ স্থানটির নাম দেওয়া যাইতে পারে মস্তিক্ষের "উত্তাপ পরিচালক কেন্দ্র” বা ছোট করে “উত্তাপ কেন্দ্র”। যদি কোন কারণে বাইরে ঠাণ্ডা বেশী থাকে তবে ঠাণ্ডা হবার সাধারণ নিয়মানুসারে আমাদের শরীর থেকে খুব অনেকটা উত্তাপ বাইরে বেরিয়ে যায়, আর সঙ্গে সঙ্গে আমাদের রক্তের তাপমাত্র কমে যায়। এই শীতলতাপ্রাপ্ত রক্ত যখন মস্তিষ্কের মধ্যে গিয়ে “উত্তাপ কেন্দ্রে” পৌছায় তখন সে অর্থাৎ মস্তিষ্ক সাড়া দিয়ে উঠে—“কোথাও গও গোল হয়েছে।” আর মস্তিস্কের দূতরূপী যে অসংখা স্বায়ুমণ্ডলী যে, “তোমরা আরও বেশী ক'রে উত্তাপ তৈরী কর” । এখন শরীরের কলকব্জা যদি সব ভাল অবস্থায় থাকে, তবে অল্পকালের মধ্যেই শরীরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা ফিরে আসে । অন্তপক্ষে, বাইরে যদি খুব গরম থাকে, (যেমন আমাদের দেশে গ্রীষ্মকালে দেখতে পাওয়া যায়) তখনও আমাদের শরীরকে তার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় ফিরিয়া আন্‌বার জন্তে মস্তিষ্কের তাপকেন্দ্রের কয়েকটা উপায় আছে। পথমত: সে অামাদের ংসপেশীদের হুকুম দেয় যে, “তোমরা বেশী সক্রিয় ষ্টো’য়ে না—যথাসম্ভব চুপ ক’রে থাকলে ।” তারাও প্ৰভু ভক্ত ভূত্যের মত বেশী নড়তে চড়তে চায় না। - সেই জন্তেই গ্রীষ্মকালে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম করতে ভেতর থেকেই অনিচ্ছা দেখা যায়। কাজে কাজেই, অামাদের শরীরের তাপও অকারণ বাড়তে পায় না। তাছাড়া গরমের সময় প্রাণিমাত্রই খুব বেশী বেশী বাতাস তাড়াতাড়ি ক’রে নিঃশ্বাস নিয়ে ছেড়ে দেয়। এতে ক’রেও রক্তের তাপ কমে যেতে সাহায্য পায়। কুকুর শ্রেণীর মধ্যে এই ব্যাপারটা খুবই বেশী দেখতে পাওয়া যায়। একটু গরম পড়লেই তারা মস্ত বড় জিহবা বার ক’রে হাপাতে আরম্ভ করে। এই হাপানি হ’ল তাদের শরীরকে ঠাও। রাখবার একটা আশ্চৰ্য্য উপায় মাত্র। এ ছাড়া &యోజక আছে তাদের দিয়ে সে মাংসপেশীদের আদেশ দিয়ে পাঠায় । |