পাতা:শিশু-ভারতী - দ্বিতীয় খণ্ড.djvu/৩৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[D]+ --- শরীরকে নিজে নিজেই ঠাণ্ড রাখবার আর একট। অভিনব উপায় প্রাণীদের শরীরের মধ্যেই অাছে। আমাদের ত্বকের নীচে অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গ্লাগু আছে। এদের নাম স্বেদগ্ৰস্থী বা sweat gl n৭ ৷ তাদের কাজ হ’ল রক্ত থেকে জলীয় ভাগটাকে আলাদা ক’রে আমাদের চামড়ার নীচে জমা ক’রে দেওয়া । রক্তের তাপমাত্রা অধিক কলেই মস্তিঙ্গের "ন্তাপকেন্দ্র” এই স্বেদগ্ৰষ্ঠীগুলিকে উত্তেজিত ক’রে দেয়-তখন এরা পুরোদমে নিজের কাজ করতে থাকে। অর আমরা লেদম ঘামতে আরস্ত কবি । পার্থীদেল কিন্তু এই স্বেদগ্রন্থিগুলি নেই । সেই জল্প গবম বেশী পড়লে গরমের দেশের পাপী ৪ যথাসম্ভব ঠাণ্ডা যায়গায় মাশ্রয় নেপার চেষ্টা করে । তারা ও তখন অন্য প্রাণীদের মত চুপচাপ পাকতে চায় আর বেশী পেশী নিঃশ্বাস নিয়ে ঠাপাবার চেষ্টা কবে । এতে ও সব অবস্থায় তাদের হুবিধা হয় না। তাই, প্রকৃতি তাদের জন্ত অন্য রকম ব্যবস্থা ক’রে দিয়েছেন তাদের ফুসফুসের সঙ্গে সংযুক্ত হ’য়ে আলাদা একটা বাতাসের ঘর আছে । এই ঘরের দেওয়াল, লক্ত গরম হ’য়ে উঠলেই ঘামতে আরম্ভ কৰে। তপন ফুসফুসের বাতাস এই ঘরের মধ্যে এসে এই ঘামকে বীপে পরিণত ক’রে ভিতরটা ঠাণ্ড করে দেয়। খুব মখন গরম পড়ে তখন তোমাদের কি করা উচিত ? ১ । অনাবশ্যক পবিশম করে রক্তের তাপমাত্রা বাড়তে না দেওয়া উচিত । २ । श्रवांश्व डांrद चांभ श्वांद्र छrमृ वांगtप्नद्र ত্বকের ছিদ্রগুলি খুব পরিষ্কার রাখা উচিত। ৩। খুব মীট-সাট বা এমন সব জাম-কাপড় বা পোষাক পরা উচিত নয় যাতে করে আমাদের শরীরের উত্তাপ বের হ’তে অহুবিধা হয়। ৪ । সেই সব খাদ্য আহাব করা উচিত, যাতে করে আমাদের রক্তের তাপমাত্রা কম থাকে । জম্বু-জানোয়ারেরা চিন্তা করতে পারে কি ? এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পূৰ্ব্বে চিন্তা করা এই কথাটায় আমরা কি বুঝি, তাহা স্পষ্ট হওয়া দরকার। প্রকৃতির সম্পর্কে এসে আমাদের মন যে লাড়া দিয়ে च्कि <s ८eकब्प ওঠে তার নাম “অমুস্তৃতি”। এইরূপ একাধিক অনুভূতি নিয়ে তাদের মপো সম্বন্ধ স্থাপন করার নাম “চিন্তা”। আমরা সাধারণতঃ অনুভূতি আর চিস্তার মধ্যে ভূল ক’রে বসি । পরের দুঃখ দেখে আমাদের মনে একরকম ভাৰ হয় । এই ভাবটার নাম আমরা বলি, করুণা। করুণা একটা অস্বভূতি। কিন্তু যখন আমি বলি“আমার মনে করুণার সঞ্চার হয়েছে,” তখন তাকে আর অনুভূতি বলা চলে না, কারণ তথন “আমি” অনুভূতির সঙ্গে “করুণা" অনুভূতিকে এক ক’রে দেওয়া হ’ল । এখন তা হ’য়ে উঠল "চিস্তা" । জস্থ-জানোয়ারের মধ্যে এই অনুভূতি প্যাপারটাই । প্রচরভাবে পাওয়া যায়। একাধিক অনুভূতিকে তারা লে এক ক’রে দিয়ে একটা চিন্তা তৈরী করেছে—এমন সাধারণত: দেখা যায় না । কিন্তু তাবা যে ছটে বিষয়ের মধ্যে সঙ্গন্ধ স্থাপন ক’রে কখনও চিম্বা ক’বহে পারে না, এমন নয় । কপলও কখনও, বিশেষ ক'রে উচ্চ শ্রেণীর প্রাণীর। এমন সব কাজ ক'লে ৭সে.যাল পিছনে তাদের চিস্তা আছে, এ না স্বীকার করলে চলে না । কুকুলের, ঘোড়াপ বা বানরের সম্বন্ধে এমন অনেক গল্পই প্রসিদ্ধ আছে—যা থেকে বোঝা যায় যে, তাদের সামান্ত চিন্তা করবার শক্তি আছে। কিন্তু পার্থীরাও যে কখনও কখনও চিন্তা কবার দৃষ্টান্ত দেখায়, ত৷ বড় অস্তুত। অামি উপকথার শুকপাধীর কথা বলছি না। উপকথার শুক ত মানুষের চেয়ে ঢের বেশী চিন্তা করতে পারত। আমি যে গল্প তোমাদের বলছি, তা উপকথার নয়—সত্যিকাবের। এট একটা কাকের গল্প—এই কাকটা ৫ পৰ্য্যন্ত গুণতে শিখেছিল। কেউ তাকে শেখায়নি, সে আপনাআপনিই শিখেছিল। কাকটা আমেরিকার একট। গীর্জার ডোমে (dome) বাসা বেঁধেছিল । গঙ্গাপ রক্ষক যখনই গাজ্জায় ঢুকে কাকটাকে মারবার উদ্দেহে ডোমে ওঠবার চেষ্টা ক’রত, তখন সে নিকটস্থ একটা গাছে গিয়ে বস্ত। যতক্ষণ পর্যান্ত সে লোকটা গীর্জ থেকে বেরিয়ে না আস্ত, তৎক্ষণ লে নিজের বাসায় আর যেত না । গীর্জারক্ষক তখন বুদ্ধি করে একজন সার্থী নিয়ে সুকে নিজে বেরিয়ে এল। কাক শুধু একজনকে বের হতে দেখে গাছেই বসে রইল। যখন দ্বিতীয়টিও বেরিয়ে এল, তখন উড়ে নিজের বাসায় Պ )*