•তুলাল্লকণা ত্ত সাভ শামল সেই পুরুষবেশী ফেরিওয়াল বললে- দেখি মা এই ফিতে দিয়ে তোমার জামা তৈরী কবলে তোমাকে কেমন মানাবে ? এই কথা শুনে তুষারকণা যেই তার সৎমার কাছে এগিয়ে এলো, অমনি তিনি তার হাত দিয়ে তাকে জড়িয়ে ধরে’ তার হাতের ফিতে দিয়ে তার গলা এমনি কষে বেঁধে ফেললেন যে, দম বন্ধ হ’য়ে তুষারকণা মাটিতে অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলে । তুষারকণাকে মড়ার মতো পড়ে " থাকতে দেখে তার সৎমা মনে করলেন যে, সে নিশ্চয়ই মারা গিয়েছে। আসলে কিন্তু তুষারকণার দম একেবারে বন্ধ হয়ে যায় নি। তার একটু একটু নি:শ্বাস পড়ছিলো । রাত্রে বামনলা বাড়ী ফিবে এসে বেচারী তুষাবকণাকে মড়ার মতো পড়ে থাকতে দেখে ভয়ানক ভয় পেল। তার। সবাই ব্যস্ত হ’য়ে এগিয়ে গিয়ে তাকে তুলে বিছনায় শোওয়ালে, আর তাড়াতাড়ি তার গলার ফাসটা খুলে দিলে। তখন তুম্বাৰকণাব নিঃশ্বাস ক্রমশ: বেশ ভালভাবে পড়তে লাগলো এবং তার জ্ঞান পিরে এলো । যখন তার কাছ থেকে বামনরা সব কথা শুনলে তখন তাবা বেশ বুঝতে পালে যে, সেই ফেরিওয়ালা নিশ্চয়ই তুষার কণাৰ সংমা। সেই জন্ত তারা আবার তাকে বাব বার কবে? বারণ করে" দিলে যে, সে যেনো ফের কাউকে কখনো বাড়ীতে ঢুকতে না দেয় । বাড়ী এসে সেই দুষ্ট, সৎমা যখন আবার তার আয়নাকে জিজ্ঞাসা কৰলেন, তখন সেই আয়নাটা আবার সেই একই উত্তর দিলে,—তুষারকণা এখনও জীবিত, এবং সে-ই সকলের চেয়ে স্বন্দরী। এবারেও ঐ কপ। শুনে রাণীর ভীষণ রাগ হলো ও তিনি মনে মনে বলিলেন,– এবার আমি নিশ্চয়ই তাকে শেষ করবো। এবার তিনি সম্পূর্ণ অন্ত বেশ ধরে তার ঝুড়ির নানা জিনিসের সঙ্গে করে’ একটি বিষ-মাখানো চিরুনি নিয়ে বনের ভিতরকার সেই কুটীরে পৌছলেন। ফেরিওয়ালার ডাক শুনে তুষারকণা জানাল দিয়ে মুখ বাড়িয়ে বললে— আমি আর তোমায় আসতে দিতে পারি না। ফেরিওয়াল তাকে সুন্দর স্বন্দর সব চিরুনি দেখিয়ে লোভ দেখালে, আর বললে,— দেখো, দেখো, কি সুন্দর সব চিরুনি। তুষারকণা তো ছেলেমানুষ, তাই ফেরিওয়ালার সব জিনিসপত্র দেখে তার ভারী লোভ হলো । তার উপর লে দেখলে যে, এই ফেরিওয়ালা আর একজন। সেই জন্ত লে দরজা খুলে ফেরিওয়ালীকে ডাক্লে। ফেরিওয়ালা ভিতরে এসে বললে,—দেখি মা, কোন চিরুনি দিয়ে তোমার মাথার চুল বেশ ভালো করে আঁচড়ানো যাবে। এই বলে তার সৎম যেই সেই বিষাক্ত চিরুনিটা তুষারকণব চুলে গলিয়ে বসিয়ে দিলেন, অমনি তুষারকণ জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে আছড়ে শুয়ে পড়লো। রাণী ভাবলেন যে, এবারে তিনি নিশ্চয়ই সফল হয়েছেন। সন্ধ্যার পূৰ্ব্বেই সেদিন বামনরা বাড়ী ফিরে এলে। এবং যখন তারা আবার তুষারকণার সেই অবস্থ৷ দেখলে, তখন তারা জানলে যে, সেই দুষ্ট, হিংস্কটে রাণীটা নিশ্চয়ই আবার এসেছিলো। মাথার চুলে গোজা চিরুনিটা শীঘ্রই তাদের নজরে পড়লে । যেই তারা সেই চিরুনিটা তৃষারকণার মাথা থেকে বার কবে নিলে অমনি তুষারকণার জ্ঞান হলো । লে চোখ রগড়াতে বগড়াতে উঠে বসে’ সব বৃত্তান্ত সেই বামনদের বললে। আবার সেই বামনরা তাকে বারবার সাবধান করে দিলে যে, সে যেনো কথখনো কোনোদিন অচেনা কাউকে দরজা না খুলে দেয় । তুষারকণাকে এই ভালে সাব ধান কয়ে” দিলে পলের দিন তারা তাদের কাজে বেবিয়ে C%びz1 | ওদিকে বাণী আবার যখন আয়নার কাছ থেকে আগের মত জানলেন যে, তুষারকণা তাৰ চেয়ে স্বন্দরী এবং সে এখনও বেঁচে আছে, তখন রাগের চোটে তার মন হু হু করে জলতে লাগলো। “তুগারকণাকে আমি মারবোই, এতে আমি মরি সেও ভালো,” এই প্রতিজ্ঞা করে তিনি এবারে এক কৃষকের বেশ ধরে বেরুলেন। একটি ঝুড়ি ভরে’ তিনি কয়েকটি কমলালেবু সঙ্গে নিলেন। সেই সৰ কমলালেবুর মধ্যে একটা কমলালেবুতে একেবারে ভয়ানক বিষ মাথানে ছিলো। দরজায় ধাক্কা শুনে তুষারকণা ভিতর থেকে উত্তর দিলে—আমি কখখনো কাউকে দোর খুলবো ন, সাত বামন আমাকে বার বার বারণ করেছে। সেই চাষাবেশধারী রাণী খুব মিষ্টি-মধুর স্বরে বললেন,-আমি কিছু বিক্রি করতে মাসি নি মা, আমি এইখানের এক বাগানের মালী—আমার বাগানের কয়েকটা কমলালেবু তোমাকে উপহার দিতে এসেছি । ○どぬ○
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১১৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।