-- =िोथ्s-पछाम्ब्लडप्टी+ তুম্বারকণা ভিতর থেকেই উত্তর দিলে, আমার মোটেষ্ট ভরসা হয় না । সেই চাষাটি এই শুনে আবার বললে, তুমি কি ভয করছে যে, এতে বিষ মাখানো আছে ? এই দেখে। আমি এর আধখান খাচ্ছি তুমি কি অপর অদ্ধেকও খেতে পারো না ? এই বলে, সেই চাষ বেশী রাণী একটা কমলার অধিখানা খেয়ে ফেললেন । কিন্তু ঐ কমলাল অন্ধকে এমনি বিৰ মাখানে ছিলো যে, তা খেলেই মানুষের মৃত্যু নিশ্চয়। তুষারকণা দরজাটা একটু ফাক করে’ বুড়ি ভরা লাল লাল বড় বড় কমললেবু দেখলে । তাই দেখে তার ভয়ানক লোভ হলো । সেইজন্য সে কাত বাড়িয়ে সেই চাষার কাছ থেকে আধখানা কমলা নিলে। কমললেবু মুখে দিতে না দিতে তুষারকণা মাটিতে লুটিয়ে পড়লো। সেই রাণী তখন কঠোর অট্টহাস্য হেসে বললেন, তুমি খুব সুন্দলী হ’তে পাবে। কিন্তু এবার আর বামন বা তোমাকে বাচাতে পাছ না। বাড়ী পৌছে আয়নাকে জিজ্ঞাসা কবে? রাণী এবার উত্তর পেলেন যে পৃথিবীতে সব চেয়ে সুন্দরী তিনি। বামনপা সন্ধাবেল বাড়ী ফিবে এসে দেখলে যে, তুষারকণা নিস্তব্ধ হ’মে মাটিতে প৬ে’ আছে । তার খুব খুঁজে দেখলে যে, .কাথাও কোন ও বিষের চিহ্ন আছে কি না, তবে গলায় কিছু বাধা আছে কি না এবং তার চুল নেড়ে নেড়ে দেখলে যে, সেখানে কিছু আছে কি না। তারা তার মুগের কাছে জল ও খালাল নিয়ে এসে দে গলে যে, সে খায় পি • । fক , তুষার কণাৰ হাত-প। সব একেপারে ঠাণ্ডা, সে নডলো না। তখন তাল। আস্তে আস্তে বললে, আমাদের তুষারকণা মারা গেছে । বামনবা তুষাবকণাকে এমনি ভালোবাসতে যে, প্রতি মুহণ্ডেই তারা আশা করছিলো যে, এই বুঝি লে জাগলো | পর পর তিন দিন, তিন বাত্রি কেটে গেলো , তারা তুষারকণাপ দেহের চারিপাশে ঘিরে দাড়াড়িয়ে বইলো। তাদের চেtগে সে কদিন মোটেও ঘুম ছিলো না, তাব। কেৱল দীঘনিঃশ্বাস ফেলে’ প্রতিক্ষণেক আশা করছিলো যে, এই বুঝি তুষারকণা জেগে উঠে বসে। তিন দিন পরে তাদের মনে হলো তুষারকণার সংকীবের কথা। কিন্তু তারা কিছুতে ভাবতে পারলে না যে কি করে ঐ ফুলের মতে সুন্দর মেয়েটিকে তারা যাটির নীচে পুতবে। তারা তুসীলকণাকে এমনি ভালোবাসতে যে, তার বিশ্বাস করতে পারছিলো না যে, সে সত্যি সত্যি মারা গিয়েছে। সেই জন্ত তার কাচের একটি সুন্দর বড় বাক্স তৈরী কবে তাতে তুষারকণাকে শোওয়ালে, যাতে সব সময় বাইরে থেকে ও তাকে দেখা যায়। তারপর তারা বাক্সর উপরে খুব সুন্দর করে সোনালী অক্ষরে লিখলে “রাজকন্ত তুষার কণা।” পাহাড়ের ধারে সেই বাক্সটা নিযে গিয়ে সেই সাত বামন পালা করে সেটিকে পাহারা দিতে লাগলো। বনের পশু-পাখী ও প্রজাপতির ঐ রকম অপরূপ সুন্দরীকে মৃত দেখে অনুতাপ করতো, আর কাছাকাছি যতো সব ফুলও ফুলগাছ ছিলো, তারাও দুঃখে মলিন ভাব ধরেছিলো, এমন কি, মেঘে বা ও আকাশ দিখে উড়ে যাবার সময় ফোটা ফোট জল ফেলে যেতো, সে যেন তাদের আশজল—কাবণ তুষার কণাৰ মৃত্যু দেখে কেউ দুঃখ চেপে রাখতে পাবছিল না। - + + + অনেক—অনেক বছর কেটে গেছে । তুষারকণা সেই কাচেব বাক্সের মধ্যে শুধে আছে কিন্তু কিছুমাত্র বদলায়নি। একদিন এক রাজপুত্র শিকার কবৃতে কৰতে সেই জাযগ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তিনি সুন্দরী তুধাপকণাকে দেথতে পেলেন। রাজপুত্র সেই বামনদের বললেন—তোমধা আমায় এই বাক্স সমেত ঐ মেয়েটিকে দাও, আমি ওকে বঁাচার চেষ্টা করবে। ভালো ভালো অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখাবে। তোমরা যতো টাকা চা ও আtlম দিচ্ছি। বামনরা প্রথমে তুষার কণার মৃতদেহ টাকার লোভেও দিতে চাইলে না। কিন্তু যখন তারা ভ বলে যে, তাদের প্রিয় তুষারকণা আবার বেঁচে উঠতে পারে তখন তারা রাজী হলো । - বাজকুমার তখন সেই বাক্সটিকে বয়ে রাজধানীতে নিয়ে যাবার জন্ত তার চাকরদেব হুকুম দিলেন। পাহাডের ধারেব রাস্তা দিয়ে ঘুরে ঘুরে তারা সেই বাল্পটিকে বয়ে' নিয়ে নামছে, হঠাৎ একটা গর্তের ভিতর পা পড়ে গিয়ে সামনেৰ দুজন লোক এমনি হোচট খেলে যে, তার ফলে তুষারকণা ভয়ানক একটা ঝাকুণি পেয়ে দুলে উঠলো। এই ঝাকুনির চোটে তুষারকণার গলা থেকে সেই বিষাক্ত কমলার - 8 هما لاحمــا
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১১৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।