পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ब्-ियes-पक>iच्झपडठौ সে হচ্ছে তুষার কণা, তখন রাগে গসগস করতে করতে তিনি বাড়ী ফিরে এলেন। কিন্তু এবার তো আর হাজাল রাগলেও তিনি তুষার কণার কোনো অনিষ্ট কৰতে পাববেন না। তাই মনের মধ্যে রাগে গুম্রে গুম্রে তার কঠিন অস্থ হলো, আর সেই অসুখেই তার মৃত্যু হলো । ঘটে 어시 সে মেয়েটির ভালো নামটা কেউ জানত না। সকলেই তাকে ঘটেকুড়,নী ব’লেষ্ট ডাকত, কারণ, বাড়ী-ঘরেব সব কাজ করে কৰ্ম্মে তাকে সৰ্ব্বদা পূৰ অপবিষ্কার ও অপরিছন্ন হ’য়ে থাকতে হ’ত । সে বেচারীর মা নেই। তার বিমাতা ও দুটি বৈমাত্র বোন তাব প্রতি কোন দিন ও সদ্ব্যবহার অথবা দয়া মমতা করেন নি । ঘুটেকুড়,নীর বৈমাত্র কোনেবা সকাল থেকে রাত্রি পর্ণান্ত সে বেচারীকে দিয়ে কেবলই কাজ কবায়ু আর নিজে বা সাবাদিনই খুব আনন্দে মেতে থাকে। ঘটেকডনী কয়লা ভেঙ্গে উকুন ধরায়, বাসন মাজে, ঘর-দোর ঝাট দেয়, সব জিনিসপত্রের ধুলে ঝেড়ে বাড়ীর সব জিনিস গোছগাছ করে’ সাজিয়ে রাখে। সে তার বৈমাত্র বোনের হাতে হাতে সব জিনিস এগিয়ে দিয়ে তাদের সেবা কবে। আর রাত্ৰি হ’লে ঘুটেকুড়,নী একটি নির্জন কনকনে ঠাও সাংসেঁতে পুরানে জীর্ণ ঘরে একটা খড় জড়োকরা বিছানার উপর শুয়ে ঘুমোস। অথচ তার বৈমাত্র বোনের দিবি আরামে নবম ধবধৰে পরিস্কার বিছানায় ঘুমুতো । একদিন শোনা গেল যে, যুবরাজের জন্মদিন উপলক্ষে রাজার বাড়ীতে দুদিন ধ’রে খুব উৎসব হবে । সেই উৎসবে রাজ্যের বহু লোক নিমস্থিত হ’ল। ঘুটেকুড়,নীর বৈমাত্র বোনেরাও রাজার বাড়ীব নিমন্ত্রণ পেয়েছিলো। নিমন্ত্রণ পেয়ে তারা এতো খুশী হ’ল যে, সকাল থেকে রাত্রি পর্য্যস্ত তাবা কেবল সেই উৎসবের কল্পনাই কৰতে লাগল। কে কোন রঙের শাড়ী আব জামা পরে যাবে, সেই রাজপুত্র ও তুষারকণা অনেক বছর ধরে তাদের রাঙ্গো আনন্দে ও শাস্তিতে রাজত্ব করেছিলেন । অশেষ আনন্দেব মধে। রাজ কঙ্কা তুষারকণার শুধু সেইদিন বেশ একটু দুঃখ হতো যেদিন সেই বামনরা দেখা কৰতে এসে বিষন্ন হ’য়ে চোখের জল ফেলতে ফেলতে রাজৰাড়ী থেকে বিদায় নিতে। কুড় নী আলোচনাতেই তার বিsোর হ’য়ে উঠল। বেচাল্পী *টেকুড,ণী রাজবাড়ীতে নিমন্বিত হয় নি, কারণ রাজার বাড়ীর যে-সব লোক নিমন্ত্রণ করতে এসেছিল, তারা তাকে কাজ কৰূ:ত দেখে ও তার বোনদেব ফরমাস খাটুতে দেখে তাকে বাড়ীর ঝি ধলে’ ঠিক কবে নিয়েছিলো। উৎসবের প্রথম দিনের সন্ধায় দু'টেকুড়ন তার বোনদের স্বন্দর মুন্দল সব দামী কাপড জামা ও গহন পরিখে দিয়ে তাদের চুল বেঁধে দিল । উৎসবে যাবার জন্য তারও খুব ইচ্ছা হচ্ছিলো। সে তার বোনেদের নানান বেশভূষায সঙ্গিতা দেখে ভাবলে যে, “আমি যদি ঐ রকম ভালো ভালো পোষাক পরে’ গাড়ী করে’ উৎসবে যেতে পারতাম আর রাজপ্রাসাদের ভিতরটি একবাব দেখতে পেতাম তাহ’লে কি আনন্দই না হ’ত আমার । আমি ফিরে এলে রাজপুত্র হয়তো এক অধিবার আমাল কথা ভাবতেও পারত।” এই সব কথা ভাবতে ভাৰতে ল’টেকুড়,নীর চোখ থেকে ফোটা ফোটা অশ্ৰুজল গড়িয়ে পড়তে লাগল। তাব আকুল ক্ৰন্দনে তার সকল দুঃখ যেন অন্তর ভেদ করে” বেরিয়ে এলো । ঘুটেকুড়,নীর বোনেব। তার চোখের জল দেখে তাকে জিজ্ঞাসা কবলে যে, সে কঁদছে কেন । ঘুটেকুড় নী উত্তর দিলে, “আমি তোমাদের সঙ্গে রাজবাড়ীর উৎসৰে যাবে।” তার এই কথা শুনে তার বোনের একটু অবজ্ঞার হালি হেসে বিদ্ধপ করে বললে, “তুমি যাবে উৎসবে ! কেউ তোমার দিকে ফিরেও দেখবে טפטימי