-- জুটেকুড় লী ন।” এই ব’লেই তারা গাড়ীতে উঠে গাড়ী স্থাকিয়ে চলে গেল। বেচারী জুটেকুণ্ড,নী তার সেই ভাঙাচোরা অন্ধকার ঘরে গিয়ে তার ছ হাতের মধ্যে তার মুখখানিকে চেপে ধ’রে উচ্ছসিত ফ'য়ে ফুপিয়ে ফুপিয়ে কঁদিতে লাগল। এমন সময় সে হঠাৎ শুনতে পেলে যে, কে যেন তার পিছন থেকে খুব স্নেহ ও সহানুভূতি-ভব কণ্ঠে তাকে জিজ্ঞাসা করছে যে, সে কাছে কেন। সে তখন তাড়াতাড়ি পিছন দিকে মুখ ফিরিয়ে দেখলে যে, একটি পরী তাকে ঐ কথা ফুপিয়ে ফু"পিয়ে কাদতে লাগল করছে। সে কোনো রকমে তার কান্না চেপে সজল চক্ষে তার দুঃখের কারণটি একবার বলতে চেষ্টা করলে কিন্তু দুঃখের আতিশয্যে তার মুখ দিয়ে কোনো কথা বেরোলো না । সেই পবীটি কিন্তু তার মনের কথা বুঝতে পেরে বললে, “তুমি রাজবাড়ীতে উৎসবে যাবে ? বেশ, তুমি আর কেঁদ না । আমি তোমার সেখানে যাবার ব্যবস্থা করছি। এখন, আমি তোমাকে যা যা বলি, তাই কর দেখি। প্রথমে তুমি শীঘ্র করে একটা লাউ নিয়ে এস তো।” ঘুটেকুড় নী তখনই একটা লাউ নিয়ে এলো । সেই পরীটি যেই তার হাতেব সোনার কাঠি দিয়ে লাউটিকে ছোয়ালে, অম্নি সেটা একটি সুন্দর ঝকৃঝকে নূতন গাড়ী হ’য়ে গেল । তখন সেই পরীটি বললে “এবার আমাকে গোট কয়েক নেংটি ইছর এনে দাও।” ঘুটেকুণ্ড,নী ভাড়ার ঘরে গিয়ে দেখলে যে ইঁদুরমারা কলের ভিতরে ছ’টা নেংটি ই দুব প’ড়ে রয়েছে । সে সেই কল শুদ্ধ হ’ছরগুলি নিয়ে এলে হাজির করলে । সেই কলটা খুলে দিতেই এক একটা করে ইছর বেবিয়ে আসতে লাগল। পরীটি ৪ এক এক করে” সব ইছরগুলির পিঠে তার লাঠিগাছি কেবল ছাঁইয়ে দিলে আর সঙ্গে সঙ্গে সেই ছ’টা ইছর মস্ত মস্ত তেজী ছ’টা ঘোড়া হ’য়ে গেল । এইবার সেই পৰীটি বললে, “এখন আমাকে একটা ধেড়ে ইছর ধরে’ এনে দাও।” ঘুটেকুড় নী তখনই খুঁজে পেতে একটা ধেড়ে ইছর ধরে নিয়ে এলো। পরীটি যেই সেটাকে তার সোনার কাঠি দিয়ে চলে, অমনি সেটা খুব জমকালো পোষাকপপ একটি কোচ ম্যান ছ'য়ে গেল । তারপর পরীটি বললে, “আর একবার দৌড়ে গিয়ে আমাকে দুটো টিকৃটিকি এনে দাও। তোমাদেব বাড়ীর শশা গাছের নীচে ছটো টিকটিকি আছে।” টেকডনী টিকটিকি ছটোকে ধ’বে নিয়ে এলে। সোনার কাঠি ছোয়াতেই সে দুটে হ'য়ে গেল দিবি স্বন্দব সুন্দর দুই সহিস । ঘুটেকু",নী অবাক হ’য়ে পরীর এই সব কাও দেখছিলো। কিন্তু তবু সে বিমর্ষ হয়ে মানমুখে একপাশে চুপ করে দাড়িয়ে রইল। সেই পত্নী তার বিষণ্ণতার কারণ বুঝতে পেরে তাকে বললে, “এইবার আমি আমার সোনার কাঠিটি তোমাকে ছে"ায়াব।” এই ব’লে সে যেমনি তার সোনার কাঠি খুঁটেকুড় নীর গায়ে ছুইয়েছে, অম্নি ঘুটেকুড় নীব ময়লা, শতছিন্ন কাপড় ও জামা ভারী সুন্দর সুন্দর সব নুতন জামা-কাপড়ে পরিণত হ’ল— डtत्र १itं तrभैौ नtभैौ म १ ८गौभैौन *श्न। श्’ब्ल অনেক, তার দেগা গেল যে, তার পায়ে পরীদের মতো এক জোড়া সোনার চকচকে মল হয়েছে। এইবার ঘুটেকুড় নীকে খুবই স্বন্দর দেখাতে লাগল। মনে হ’ল তার রূপ যেন আর ধরে না । তখন সেই পরীটি বললে, “এখন আমি চললাম। তুমি কিন্তু একটা কথা মনে রেখো । রাত বারোটার আগে তোমাকে কিন্তু রাজপ্রাসাদ থেকে চলে আসতে হবে। নইলে তোমার গাড়ীটি আবার লাউ হ’য়ে যাবে—ঘোড়াগুলো ՖՆՋԳ 22—F. 3
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১১৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।