পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఇzāagర్తా = ++ থেকে বিদায় পৰ্য্যন্ত নিতে পারেনি। রাজবাড়ীর দরজার কাছে যেতে না যেতেই চং ঢং করে’ ঘড়িতে বারোটা বেজে গেল। বারোটা ৰাজার সঙ্গে সঙ্গেই সে পূৰ্ব্বের মতো ছেড়া কাপড়-জামা-পরিহিতা ঘুটেকুড় নী হয়ে গেল। কিন্তু আশ্চর্যোর ৰিযয় এই যে, তার পায়ের সোনার মল জোড়া কিন্তু অদৃশ্ব হ’ল না। তাড়াতাড়ি ছুটে পালাতে গিয়ে তার পায়ের একগাছা মল রাজবাড়ীর চৌকাঠের পিছনে পড়ে গেল। সে এত ব্যস্ত ও চঞ্চল হ’য়ে উঠেছিল যে, সেই মলটিব দিকে আর ফিরেও দেখলে না। একেবারে সোজা দৌড়ে গিয়ে বাড়ী পৌছে তবে সে নিশ্চিন্ত হ’ল । 燃 擱 o 悠 o - EE ছুটে পালাতে গিয়ে এক গাছ৷ মল প'ড়ে গেল ওদিকে রাজপুত্র কিছুতেই বুঝতে পারলেন না যে, সে কেন অত তাড়াতাডি অমন করে’ ছুটে পালাল। তিনি উৎসবের সেই ঘর থেকে তাকে খোজবাব জন্ত তাড়াতাড়ি বের হলেন, কিন্তু তাকে কোথাও পেলেন না। বিমব হ'য়ে তিনি যখন ফিরে আসছেন তখন দরজার চেী কাঠের কাছে সেই চকচকে সোনার মলগাছি দেখতে পেয়ে সেটিকে কুড়িয়ে নিলেন। রাজপুত্রের ইচ্ছা অনুসারে ও অনুরোধে পরের দিন রাজা তার রাজ্যে ঘোষণা করে দিলেন যে, রাজপুত্রের কুড়িয়ে-পাওয়া সেই মল যে মেয়ের পায়ে ঠিক হবে তিনি তার সঙ্গে তার ছেলের বিবাহ দিবেন। রাজবাড়ীর দাসীরা সেই মলটি নিয়ে বাড়ী বাড়ী ঘুরতে লাগল। কত মেয়ে সেই মলটি পববার কত চেষ্টাই কবলে কিন্তু কেউই পারলে না। অবশেষে ঘুবতে ঘুরতে রাজবাড়ীর দাসীরা ঘুটেকুড়,নীদের বাড়ীতে উপস্থিত হ'ল। লুটেকুড় নীৰ বৈমাত্র বোনের। সেই মলখনি পরবার অনেক চেষ্টা করলে, কিন্তু পাবলে না। শেষকালে তাদের মা ব,লে উঠলেন, “মারে, কোনো রকমে কষ্টেস্তষ্টে পায়ে পৰ্ব না –তাহ’লে যে রাজ রাণী হ’বি।” এই ব’লে তিনি নিজে মলটি তাদের পায়ে পপিয়ে দেবার যথেষ্ট চেষ্টা করলেন। রাজবাড়ীর দাসীরা তার রকম দেখে মুখে কাপড় দিয়ে মুচ কে মুচকে হাসতে লালল। তাদের প। মলের চাপে ফুলে লাল হ’য়ে উঠল, তবু পায়েব গাঠ পেরিয়ে মলটি পায়ে উঠল না। দাসীরা মলটি নিয়ে যখন ফিরে যাবার উপক্রম কবছে তখন তারা দেখলে যে, দবাজার একপাশে মানমুখে ছেড়াখোড়া কাপড় পরে ঘুটেকুড় নী দাড়িযে আছে। একজন দাসী তাকে দেখে ব’লে উঠল, “কই মা ! তুমি তো মলটি একবাব পরলে না। আমাদেব উপরে রাজার আদেশ আছে যে, প্রত্যেককে এই মল পবিয়ে দেখতে হবে।” সেই দাসীব ঐ কথা শুনে ঘুটেকুড,নীল বিমাতা ও তাব বোনেবা খিলখিল করে” ছেসে একেবারে যেন গড়িয়ে পড়ল। তাবা বিদ্ধপ করে বললে, “ওমা! ওকে আবার নাকি মল পরতে হবে । বানরের গলায় কি মুক্তার মালা মানায় ।” তাব বোনেদের ঐ রকম শ্লেষপূর্ণ কটু উক্তিতে ঘুটেকুড়,নীর মুখখানি লজ্জা ও সঙ্কোচে একেবারে এতটুকু হ’ধে গেল। সে আস্তে আস্তে দরজার পাশে স’রে গেল। তখন দাসীরা সবাই ৰ’লে উঠল, “আপনারা ও বেচারীর প্রতি আমন ব্যবহার করবেন না।” এই ৰ’লে একজন দাসী এগিয়ে গিয়ে ঘুটেকুড় নীকে তার হাতখানি ধ’রে দরজার পাশ থেকে বার ক’রে নিয়ে এসে বললে, “এসে মা, তুমি একবার মলটি প'রে দেখো।” এইবার সেই দাসীটি যেই সেই মলটি פאפאצ'