ভাই-ভeিশলী বলল, “চুপ কর লক্ষ্মী বোনট, কেঁদো না, আমি যা ছয় ব্যবস্থা করব।” তার পর যেই তাদের মা, বাবা ঘুমিয়েছে অমনি ছেলেটি উঠে পিছনের দরজ। খুলে বাইরে গেল। চারিদিকে ফুটফুটে জোৎস্না— সামনেই মাটীর উপর পাথরের শাদা মুড়িগুলি আলোয় ঝকমক্ করছে। হানসেল একে একে অনেক চুড়ি কুড়িয়ে পকেট বোঝাই করে নিল । শাদা পাথরের কুড়ি কুড়িয়ে পকেট বোঝাই করলে তাব পব দরজাটি ধীরে ধীরে বন্ধ করে গিয়ে গ্রেথেলকে বলল, "শান্ত হও বোন, ভাল করে ঘুমিয়ে নাও। ভগবান আমাদের নিশ্চয়ই রক্ষণ কববেন।” এই বলে শেও ঘুমিযে পড়ল । ভোর না হ’তেই তাদের সৎম এসে দুজনকে খুব নাড়া দিয়ে উঠিয়ে বলল, “ওঠ ওঠ, শীগগির তৈরি হয়ে নে, এখনি আমরা কাঠ কাটতে যাব । এই তোদের দুজনের ছুটুকরো রুট রইল, সময়মত খাবি—আর খাবার কিছু নেই।” হানসেলের পকেট ত পাথরে ভরা–গ্রেথেল কেঁচড়ে করে রুট ছটুকরো নিয়ে নিল। তার পর সবাই মিলে বনেল দিকে রওনা হ’ল । ছানসেল কিছু দূর এগিয়েই বাড়ীর দিকে ফিরে ফিরে তাকায় আর দাড়িয়ে পড়ে। বার বার এমনি করাতে দল থেকে সে পেছনে পড়ে যেতে লাগল। তা দেখে কাঠুরে বলল, “হাসেল, তুমি ফিরে ফিরে ও কি দেখছ বল ত ?” স্থান সেল বলল, “বাবা, দেখ ছাদের উপর আমার শাদা বেড়ালটা বসে আমাদের দেখছে ।" তার সৎমা রেগে বলল, “ওরে বোকা, কোথায় তোর বেড়াল ? চিমনিতে রোদ পড়ে আমনি শাদা দেখা যাচ্ছে।” আপলে হানগেল কিন্তু বেড়াল দেগছিল না, সে থেমে পড়ে একটা একটা করে পাথরের মুড়ি পথে রেখে যাচ্ছিল । এমনি করে তাবা গভীব বনের মধ্যে উপস্থিত হ'ল। কাঠরে বলল, “তোরা, কিছু কাঠ জোগাড় করে আন— আগুন জেলে দি, তা হলে আর তোদের শীত করবে না।” দুই ভাই বোনে মিলে অল্পক্ষণের মধ্যেই অনেক কাঠকুটো এনে ফেলল। আগুন ধরিয়ে কাঠুরের স্বী বলল “এবার আমরা কাঠ কাটতে যাচ্ছি। তোর থেয়ে দেখে দামো। সন্ধ্যাপেল এসে তোদের ডেকে নিয়ে যাব।” এই বলে তারা চলে গেল । [ s ] দু'ভাই বোনে বসে আছে। মাঝে মাঝে কুড়ালের শব্দ শোনা যায়। ওব বুঝতে পাবে কাঠুরে কাছেই কাট কাঢ়ছে । কিন্তু কাঠুরে যে ওদের ফ*াকি দেবার জন্তে একটা শুকনো গাছে একটা ডাল বেঁধে রেখে গেছে আর ছাওয়ায় সেটা নডে নড়ে অমনি শব্দ করছে, তা ত আর ওরা জানে । অনেকক্ষণ ধরে বাপ ম) দিরে আসতে পারে এ আশায় বসে বসে বিকালেব দিকে ছেলে মেয়ে ৫টি ঘুমিয়ে পড়ল। যখন তাদের ঘুম ভাঙ্গল তখন অন্ধকার ঘনিয়ে এসেছে । গেগেল ভধ পেশে কাঁদতে আরম্ভ করল । হানসেল তাকে বোঝাতে লাগল "একটু চুপ করে থাক লক্ষ্মীট, যেই চাদ উঠবে, অমনি পাথরগুলো চকমক করবে, আর তাই দেখে দেখে আমরা বাড়ী মেতে পারব।” ক্রমে চাদের অtলো এসে সমস্ত বন ছেয়ে ফেলল । চাবিদিক জোৎস্নায় উজ্জল, তাঁর মধ্যে পাথরের মুড়ি গুলো রূপোর টুকরোর মত ঝক্ বক্ করছে দেখে ভাই বোনে হাত ধরাধরি করে' চলল। হাটতে ইঁটতে রাস্ত হয়ে একেবারে ভোর হয়-হয় এমনি সময়ে তারা বাড়ীব দরজায় পৌছল। দরজাতে ধাক্কা দিতেই তাদের সৎমা এসে হাজির-ছেলে মেয়েকে দেখে রেগে বলল, “তোরা এতক্ষণ যুমোচ্ছিলি ওখানে ? আমবা ভাবছিলাম আর বুঝি তোরা ফিরবিই না।" কাঠুরে কিন্তু তাদের ফিরে পেয়ে খুব খুগী হ'ল। ՏԳ- X
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১২২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।