পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১২৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•िञ्च-पठान्छाप्डको •• কিছুদিন এমনি ভাবে যায়। আবার দেশে ভাবী অজন্মা হ'ল। কোথাও কিছু খাবার মেলা দায় । কাঠরেও একেবারে নি:সম্বল হয়ে পড়ল । একদিন কাঠুরের স্ত্রী তাকে ডেকে বলল, “দেখ আর এই আধখানা পটী মাত্র আমাদের পু"fজ আছে। এই টুকুল গঙ্গেই সব শেষ । চল, আগের বারের মত ছেলে মেয়ে দুটোকে বনে রেখে আসি । এবাল আরও গভীর জঙ্গলে ছেড়ে আসব যেন অাব ফিরতে ন পারে।" কাঠবে বলল, “যদি না খেতে পেযে মরতেই হয়, সবাই এণ সঙ্গেই মরব, তার জন্ত আর এত ফন্দি ফিকিরের দবকাব কি ?” কিন্তু পাঠরের স্ত্রী এসব কথা গ্রাহ না করে আবার ঘুরে ফিরে ঐ কথাহ বলতে থাকল । একবার অল্পায় কাজ করতে বাজি হ’লে আবার তাতে সম্মত হতেই হয় , কাঠুরের স্ত্রীর পরামর্শ মানতেই হ’ল । ছেলে মেয়ে ছটি এবাবে ও আগের মত সব শুনতে পেল। কিন্তু এবাব কাঠুরের স্ত্রী সাবধান হয়ে দরজায় চাবি দিয়ে রেখেছিল তাই হান্‌পেল আর পাথর যোগাড় করতে পারল না। তবু সে গ্রেপেলকে বলল, “ব্যস্ত হোয়োন দেখো, ভগবান আমাদের একটি কিছু ব্যবস্থা কবেই দেবেন।" আবাব আগের মতই কাঠবের স্ত্রী ভোরে এসে ছেলে মেয়েদের টেনে তুলল। হাল্কা দুটুকরো বট দিয়ে বলল “চল, এখন আমরা কাঠ কাটতে যাই।” ছাসেল আর উপায় না দেখে একটা রুট ছোট ছোট টুকরো করে নিযে তাই পথে রেখে রেখে চলল। তাকে বার বার ফিরে তাকাতে দেখে এবারেও কাঠলে জিজ্ঞাসা কবল, “গনসেল, তুমি এতবার ফিরে ফিরে কি দেখছ " হানসেল বলল, “কিছু না বাবা, আমাব পায়রাট বসে আছে ছাদে, তাই দেখেছিলাম।” এমনি ভাবে চলতে চলতে তাবা এসে ভয়ানক জঙ্গলের মধ্যে ঢুকে পড়ল। কাঠ এনে আগুন করে দিয়ে কাঠুরের স্ত্রী বলল, “আমরা চললাম। কাঠ কেটে সন্ধার সময় এসে তোদের নিয়ে যাব ।” একটু বেলা হলে গ্রেথেল ও হান্‌সেল মিলে সেই একটুকরো রুট ভাগ করে খেয়ে নিল । তারপর কিছুক্ষণের মধ্যেই দুজনে ঘুমিয়ে পড়ল। অন্ধকার হবার পর তাদের ঘুম ভাঙ্গল। একে গভীর বন, তাতে নানারকম জানোয়ারের হাক-ডাক —তাদের যে কি রকম ভয় করতে লাগল, সহজেই বুঝতে পার। হানগেল তবু গ্রেথেলকে বোঝাতে লাগল, "একটু চুপ করে লক্ষ্মী বোনট, জ্যোৎস্না হলেই রুটার টুকরো দেখে দেখে আমারা বাড়ী যেতে পারব।” চাদ উঠল, বড় বড় গাছের ডালেব আড়াল থেকে জ্যোৎস্না যেন লুকোচুবি খেলতে লাগল কিন্তু রুটার টুকরো আর গজে পাওয়া গেল না । বনেব পার্থীরা ঝাকে ঝাকে এসে যেখানে খাবার পেয়েছে খেয়ে গেছে । ইনিসেল তবু বলে, “দাড়াও, এই এখনি আমরা পথ খুজে পাব।" এমনি কবে চলে চলে বাত শেষ হয়ে গেল। দিনের আলোয় চারদিক খুজে খুজেও তারা কোন পরিচিত পথ দেখতে পেল না। আবার দিন শেষ হয়ে সন্ধার আঁধার ঘনিয়ে এল। ক্ষিদেয় পৰিশ্ৰমে কাতর হয়ে পা আর চলে না-অবশেষে এক গাছতলায় শুয়ে হুজনে ঘুমিয়ে পড়ল। তৃতীয় দিন সকালে উঠে আবার তারা চলতে আরম্ভ কবল ; কিন্তু পথ কোথায় ? যে দিকেই চায়, বনের যেন আর শেষ নেই। হানসেল বুঝল, শীগগিব কোন সাহায্য না পেলে তাদের এমনি করে ক্ষিদেয় শুকিয়ে মরতে হবে । দুপুর বল। তারা দেখতে পেল একট। ভারী স্ব-দর শাদ। পাখী গাছের উপর বসে চমৎকার গান করছে। একটু পরেই সেটা উড়ে গেল। দু ভাই-বোনে ক্ষিদে তেষ্টা তুলে পার্থীটার পিছনে পিছনে দৌড়ে চলল। কতক দুর গিয়েই দেখে দূরে একটা সুন্দর বাড়ী । তার উপর বসে পাণীটা কি যেন ঠুকরে ঠুকরে খাচ্ছে । এতক্ষণে একট। অtশ্রয় পাওধা যাবে ভেবে দুষ্ট ভাই বোলে সেই বাউীল দিকে ছুটল । গিয়ে দেখে ভারী মজার বাড়ী, বাইরেট, রুট, কেক দিয়ে তৈরী আর জানালাগুলি চিনির । হাসেল বলল, “এৰাব তবে আমরা পেট ভরে খেতে পারব । ছাতের এক টুকরো থেমে দেখি ত জিনিসটা কেমন।” গ্রেথেল জানালীর কাছে এগিয়ে একটু কামড়ে নিয়ে খেতে লাগল। এমন সময় ভিতর হতে ভারী মিষ্টি গলায় কে বলল-- বাইরে কে গো তোমরা দরজায় ধাক্কা দিচ্ছ ?” ওরা তাড়াতাড়ি বলে উঠল, বাতাস—বাতাস ! স্বর্গেব থেকে এসে দরজায় লাগছে । তু ভাই-বোনে মহা আনন্দে ছাদের কেকের টুকরো জানালার চিনি ভঙ্গে ভেঙ্গে থাচ্ছে, এমন সময়ে হঠাৎ দরজা খুলে এক খুড়পুড়ে বুড়ী বেরিয়ে এল। ওরা ভয়ে ভয়ে হাতেব খাবাব ফেলে দিয়ে এক পাশে সরে দাঁড়াল । কিন্তু বুড়ী এসে তাদের গায়ে হাত বুলিয়ে আদর እoo: