ভাই-ভগিৰী করে বলল, "ওমা, এমন সুন্দর ছেলেমেয়ে তোমরা এখানে এলে কেমন করে ? এস, এস আমার কাছে দরজা খুলে এক গুড়পুড়ে বুড়ী বেরিয়ে এল থাকবে, তোমাদের কোন কষ্টই হবে না।” এই ধলে তাদের হাত ধরে ঘরে নিয়ে শেল । তারপর ভাল ভাল খাবার থাইয়ে তাদের যত্ন করে ভাল বিছানায় শুইয়ে দিল । এই ক’দিনের দুঃখ কষ্ট সব ভুলে গিয়ে ছেলে মেণে ছুটি আরামে ঘুমিয়ে পড়ল। [ 5 | এই বুড়ী কিন্তু আসলে এক ডাইনী। নানাৰকম স্বন্দর খাবারের লোভনীয় ধাড়ী তৈরি করে ছেলে ধরা ফ'দ পেতে বসে থাকে। তার পর কোন ছেলেমেয়ে এলে তাকে আদর করে বাড়ীতে নিয়ে যায় বটে কিন্তু অবশেষে তাকেই মেরে রান্না করে খায় । ডাইনীদের চোখ লাল রংএব হয়, আর তাবা বেশী দূর অবধি দেখতে পায় না। এদিকে তাদের ভ্রাণশক্তি আবার তেমনি জোবাল, অনেক দূরের ছেলেমেয়ের গন্ধ সংজেই বুঝতে পারে। যখন হান্সেল আর গ্রেথেল আসছিল ডাইনী বুড়ী আগে থেকেই সব টের পেয়ে খুব খুশী হয়ে মনে মনে বলছিল, “ঐ যে আসছে ছুটি কচি কচি বাচ্চা, আমার হাত থেকে ওদের আমার নিস্তার নেই।” ভোরের দিকে ডাইনী হালেল আর গ্রেথেলের বিছানার কাছে গেল। এমন সুন্দর নবম হাত-পা, দোলা দোলা গাল দেখে যে তার খুব মায়া হল তা নয়, ববং জিভ থেকে জল ঝরতে লাগল। কিছুক্ষণ ধরে ওদের দেখে বুড়ী চট করে হানসেলকে তুলে নিল আর একটা বড় লোহার খাচাব মধ্যে তাকে বন্ধ করে দিল। হাসেল কত কারাকাটা করল কিন্তু কিছুই লাভ হ'ল না। তার পর এল গ্রেথেলের পালা। বুভী তাকে এক ঝাকুনী দিয়ে উঠিয়ে বলল, “যা যা শীগগির জল নিয়ে আয়, তার পর ভাল করে রান্ন। করে তোর ভাইকে খেতে দে। ওটা আমনি বন্ধ থাক —যখন খেযে দেয়ে বেশ মোটা হবে তখন ওকে খাব।” গ্রেথেলের তখনকার অবস্থাত বুঝতেই পার। সে যে কত কদল, কত মিনতি করল, হানসেলকে ছেড়ে দিতে কিন্তু কিছুতেই রাজি হ’ল না—বুড়ী তাকে দিসে সব কাজ করিয়ে নিতে লাগল । আর হানগেলকে মোটা হবার জন্য ভাল ভাল খাবার দিয়ে গ্রেথেলকে কেবলমাত্র বাকড়ার দাড়া থেতে দিত। [ s ] রোজ সকালে ডাইনী একবার কবে খাচার কাছে আসত, হাসেল কতটা মোটা হ'ল দেখতে । বুড়ী চোখে ভাল দেখতে পায় না, বলত, “হানসেল তোমার আঙ্গুল বা'র করত দেখি কেমন মোট হচ্ছ।" হানসেল খুব চালাক ছেলে, সে একখানা হাড় রেখে দিয়েছিল রোজই সেখানা একটু এগিয়ে ধরত অব ডাইনী তাতে হাত বুলিয়ে বুলিয়ে কেবলই বলত, “এত খাওয়াই, তবু কিছুই এর হচ্ছে না কেন ?" এমনি করে যখন চার সপ্তাহ কেটে গেল, তখন ডাইনীর আর আর সবুর সইল না। একদিন গে চটেমটে গ্রেথেলকে বলল, “যা জল নিয়ে আয়, আর মিছামিছি দেরী করব না, এখনই আমি ওকে রোধে খাব ৷ গ্রেথেলের ত ভয়ে প্রাণ গেল গেল। সে জল আনতে গিয়ে কেঁদে কেঁদে ভগবানের কাছে প্রর্থেনা জানাতে লাগল, “হে ভগবান এবার আমাদের রক্ষা পাবার একটি উপায় করে দা ও এর চেয়ে ত বনেব জানোয়ারের হাতে মৰাও ছিল ভাল, দুজনে এক সঙ্গে মরতাম !” এ রকম করে বেশীক্ষণ কাদবার সুযোগ তার হ’ল না ডাইনীর ধমকের চোটে তাড়াতাড়ি জল নিয়ে রান্না yo ov)
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১২৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।