পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-o-o-o- - fல்{கு-க দিল্লভী- AASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAASAAAS দূরবীণ দিয়া বৃহস্পতি ও তাহার চাদ দেখিতে লাগিলেন। তিনি চাবিটিকে আবিস্কার করিলেন যে, চাদগুলি অনবরত বৃহস্পতির চারিদিকে ঘুরিতেছে। তিনি মনেব আনন্দে অন্যান্য পণ্ডিতদিগকে ডাকিয়া এই সংবাদ দিলেন এবং আরও বলিলেন, যে, সকল গ্রহ এইরূপে সূৰ্য্যকে গালিলিওব দূরবীক্ষণ প্রদক্ষিণ করিতেছে, ও যে-সব গ্রহের চাদ আছে, চাদ গুলিও সেই সকল গ্রহেব চারি দিকে পরিভ্রমণ করিতেছে। কিন্তু আশ্চর্যোর বিষয এই যে, চাদ গুলি অনবরত বৃহস্পতিব চারিদিকে ঘুরিতেছে. তাহ দেখাইয়া দিলেও তখনকার পণ্ডিতেরা ইত বিশ্বাস করিলেন না । কেহ তাহাকে পাগল বলিলেন, আর কেহ বা বলিলেন যে, তিনি যাদুমন্ত্র জানেন ।


কোনও ব্যবধান ○○・8 গ্যালিলিওকে অনেক অপমান ও নির্য্যাতন সহ্য করিতে হইয়াছিল । দুইশত বিরাশী বৎসর পরে ১৮৯২ খৃষ্টাব্দে বাণার্ড(Barnard) সাহেব বৃহস্পতির পঞ্চম চাদটি আবিষ্কার করেন। অবশিষ্ট চারিটি চাদ ১৯০৪ হইতে ১৯১৪ খৃষ্টাব্দের মধ্যে আবিষ্কৃত হয়। সকলের চেয়ে নিকটের চাদ বৃহস্পতির কেন্দ্র হইতে ১,১২,৫০০ মাইল দূরে ঘুরিয়া বেড়ায়। বৃহস্পতিকে একবার প্রদক্ষিণ করিতে ইহার প্রায় বার ঘণ্টা সময় লাগে । সবচেয়ে বড় দুইটি চাদের ব্যাস ৩,৩৫০ মাইল ও ৩,৫৪০ মাইল । আয়তনে ইহারা পৃথিবীর চাদের চার পাচ গুণ। বডটি প্রায সাত দিনে ও অন্তটি প্রায সতের দিনে বৃহস্পতিব চারিধারে একবার ঘুবিধা আসে । পৃথিবীর চাদের মতন বৃহস্পতির চাদ গুলির গ্রহণ হয়। এই বিষযে একটি চমৎকার গল্প আছে। মধ্যযুগেব, এমন কি সপ্তদশ শতাব্দীৰ পণ্ডিতেরা মনে করিতেন যে, আলোক-কিরণের গতির বেগ অসীম এবং আলোক মুহূৰ্ত্ত মধ্যে একস্থান হইতে অন্য স্থানে যাইতে পারে । সপ্তদশ শতাব্দীর জ্যোতিষীরা কোন কোন সমযে বৃহস্পতির চাদগুলির গ্রহণ হওয়া উচিত, তাতা হিসাব করিয়া নির্ণয করিয়াছিলেন। কিন্তু দেখা গেল যে, নির্ণীত সময়ের কখনও আগে, কখনও লা পরে গ্রহণ দেখা যাইত। অনেকদিন পর্য্যন্ত পণ্ডিতেরা ইহার কোন কারণ ধরিতে পারেন নাই । অবশেষে ডেনমার্ক দেশের নামজাদ জ্যোতিষী ( Roemer ) >iftzz ১৬৭৫ খৃস্টাব্দে ইষ্টার কারণ দেখাইয়া দিলেন । তিনি বলিলেন যে, আলোককিরণের গতির বেগ অসীম নহে—সসীম, এবং এই গতির হার সঠিক জানিতে পারিলে গ্রহণের নিণীত ও দুষ্ট সময়ের মধ্যে থাকিবে না। রোমার -- ---