পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

•िप्८७-पक्षठान्छाण्डौ র্যাচারা অরণ্যে বাস করিয়া জ্ঞানচষ্টা করেন এবং তপস্তা করেন, তাহারা দেহাস্তে দেবযান-পথে গমণ করেন। মুতুলি পল ইংদের আত্মা আলোকে গমন করে, সেখান হইতে দিন, তার পর শুক্লপক্ষ, তার পর উত্তরাধুণ, তার পর সংবৎসর, তার পর আদিত্য, তার পর চন্দ্র এবং বিদ্যুৎ এবং সৰ্ব্বশেষে ব্রহ্ম প্রাপ্ত হয়। ছাদের আর পুনৰ্জ্জন্ম হয় না।” “অ}র যাহারা গ্রামে বাস কfরয়া যজ্ঞাদি নানা প্রকার কন্মের অনুষ্ঠান করেন, তাহাবা পিতৃযানে গমন করেন। তাদের আত্মা প্রথমত: ধূমে গমন করে, তাব পর রাত্রি, তার পব কষ্ণপক্ষ, তার পর দক্ষিণায়ন, তার পর পিতৃলোক, এবং সেখান হইতে BBB S BBBBS KDSJS YYSBBS BB BBBB S ইহাদের মুক্তি হয না । স্বকৃত ভোগ শেষ চাইলেই ইহারা আবার পৃথিবীতে অবতীর্ণ হন এবং কৰ্ম্মানুসাবে মানুষ কিংবা অাব কিছু হুইয়া জন্মগ্রহণ করেন । পুথিবীতে ফিরিবাব সময় তারা আকাশ হইতে বায়ুতে, তার পর ধূমে এবং তার পব মেঘে গমন করেন এবং সেখান হহঁতে বৃষ্টির সঙ্গে পুথিবীতে নামিয়া পড়েন। ইহারই নাম পিতৃষাণ ।” দেবযান ও পিতৃগানের কথা ছাড়া আরও কয়েকটি তত্ত্বকথা শ্বেতকেতু এবং তাছার পিতা প্রবাহণ জৈবলিল নিকট শিখিয়াছিলেন । খুব সম্ভবত: পাঞ্চাল দেশ কইতে ফিরিবার কিছুকাল পরে এক দিন শ্বেতকেতুব পিত। তাহাকে কহিলেন, "শ্বেতকেতো, আমাদের বংশে ত কেছ লেখা পড়া না শিপিয়া থাকে নাই, তুমিও গুরুব গুহে গিদ বেদাদি অধ্যয়ন করিয়া আছস ।” শ্বেতকেতু তাহাই কkিলেন , বার বৎসর গুরু-গুহে বাস করিয়া যখন ঠাইার চব্বিশ বৎসর বয়স হইল, তথম তিনি বাড়ী ফিরিলেন। কিন্তু এত দিন লেখাপড়া করিম তাহাব মনে অত্যন্ত গন্ধ হইযাছে। বাড়ীতে তিনি অত্যন্ত গঙ্গীব ভাবে বসিয়া থাকিতেন, কাহারও সঙ্গে বেশী কথাবাভা কহিতেন না। তাহার পিতা একদিন তাহাকে কহিলেন, “তোমাকে দেখিয়া মনে হয়, তুমি বেশ প্রাজ্ঞ ও বুদ্ধিমান, কিন্তু একটা কথা তোমায় জিজ্ঞাসা করিতে চাই—সে বিদ্যা কি তুমি অবগত হইয়াছ, যাহা জানিলে সব জানা হয় ?” শ্বেতকেতু কছিলেন, “ন। বাব, সে বিদ্যা কি ?” পিতা কছিলেন, “শোন, যেমন একখণ্ড মৃত্তিকাকে জানিলেহ সমস্ত মাটার স্বরূপ জ্ঞান হয়--ভিন্ন ভিন্ন মাটর জিনিস শুধু নামে পৃথক মাত্র, মাটী হিসাৰে সৰই এক,-সেইরূপ সেই যে চলম সত্য, তাহাকে জানিলেই সব জিনিস জানা হয়, কেননা, সমস্তই তাহার বিকার মাত্র। “আদিতে এক এবং অদ্বিতীয় সৎ মাত্র ছিলেন। তিনিই এই চরাচর বিশ্বস্বষ্টি করিয়াছেন। এই সং ই জগতের মূল ; সমস্ত বিশ্ব এই সংকে আশ্রয় করিয়াই আছে এবং তাহাতেই প্রতিষ্ঠিত রহিয়াছে। "মৌমাছিরা নানা বৃক্ষের ফুল হইতে মধু সংগ্ৰহ করিয়া চাকে সব মধু সংগৃহীত কবে । কিন্তু পরে বলিতে পাবে না কোন ফুল ইষ্টতে কোনটুকু মধু আনিxাছে । তেমনি এই ধে সকলের মুল সৎ, তাঙ্গাতে সব বস্তু বিলীন হইয়া গেলে তখন আর বলা চলে না কোনটি সিংহ, আর কোনটি মানুষ । ইহারা জগতে সকলেরই মূল এক—তবে মূলের কথা ইহার জানে না, এই যা দুঃখ । এই যে সকলের মূল সং, হঁহারই নাম আত্মা । শ্বেতকেতো, তুমিও তাছাই । “একটি গুগ্রোধ ফলকে কাটিলে তাহার feতরে স্বাক্ষ বীজ দেখা যায় ; সেই বীজকে বিভক্ত কৰিলে আব কিছু দেখা যান না। কিন্তু এই বীজের ভিতর যে স্তন্ম, অদৃশ বস্তু আছে, তাহ হইতেই প্রকাণ্ড দ্য গ্রোধ বুক্ষের উৎপত্তি হয় । তেমনহ স্বাক্ষ ইষ্টতে ও স্বগ্ন আত্মা ইহঁতে এই বিরাট বিশ্বের উৎপত্তি হইয়াছে। শ্বেতকেতো, তুমিহ সেই আত্মা । "ক ত৭ bা লবণ জলে ফেলিয়া দিলে উহা গলিয়া যায় । তার পর সেই জল ভাণ্ডেব যেখান হইতেই জল সংগ্ৰহ করা যাউক না কেন, সৰ্ব্বত্রই লবণের স্বাদ পাওয়া যাইবে । লবণ যেমন জলের সর্বত্র অদৃশুভাবে বহমান থাকে, স্বগ্ন আত্মা ও জগতের গৰ্ব্বত্র তেমনিহ বৰ্ত্তমান পাইয়াছে, আর সেই আত্মাই তুমি। “অতি দুর গান্ধীর দেশ ইষ্টতে কাছাকেও চোখ বাধিয়া নানা দিক যুর হয়। কোনও এক দুর্গম স্থানে অনিয়া যদি ছাড়িয়া দেওয়া হয় এলং তাহার চোখের বাধন খুলিয়া দিয়া যদি তাহীকে বলিয়া দেওয়া হয়, এই দিকে গান্ধীর দেশ, যাও, তাছা হইলে সেই ব্যক্তি যেমন গ্রাম হইতে গ্রামান্তরে গিয়া লোকের নিকট জিজ্ঞাসা করিতে কবিতে অবশেষে স্বদেশ গান্ধাবে যাইতে পরিবে, তেমনই বুদ্ধিমান ব্যক্তি আচার্থ্যের উপদেশ পাইলে ক্রমশ: এই আত্মাকে জানিতে পারে এবং তাহাকে লাভ করিয়া কৃতার্থ হইতে পারে। শ্বেতকেতে, ইহা সত্য জানিও যে, এই আত্মাই তুমি।” >*२२