হুকৗদ্ধগণ বটে। পথে তোমার ঘোড়ার নাল খারাপ দুর্গম গিরিপথে চলিতেও এই জন্তুদের সামান্তও হইলে অমনি তাহারা মেরামত করিতে লাগিয়া পদস্খলন হয় না। গেল এবং দক্ষ শিল্পীর মত অতি অল্প সময়ের কাশগড়- চীন তুর্কীস্থানের প্রধান সহর ও বাণিজ্যমধ্যেই সব ঠিক ঠাক্ করিয়া আবার যাত্রাপথে কেন্দ্র। গ্রামের পুরুষ ও গীলোকেরা এখানে অগ্রসর হইল। তুর্কীস্থানের স্থানে স্থানের বিচিত্র সৌন্দর্য্য ভ্রমণকারী:দিগকে মুগ্ধ করিয়া, ফেলে । তিয়েনশানের (Tien shan) উপত্যকার খামল শ্ৰী স্বধু মনোরম নয়, উপভোগ্যও বটে। এই পথে আসিলে জন্তু জানোয়াবেরাও যেন ইপি ছাড়িয়া বঁাচে । এই উপভাকায খুব লম্বা লম্বা বুক পর্যান্ত উঁচু ধাস হয়। জন্তজানোয়াবের সেই ঘাস পরম তৃপ্তির সহিত খাইয়া থাকে। বরফ গলিয়। গেলে অধিতাকা এ দেশের এই গ্ৰাম লই। বিকশিত হয় । তিববত দেশেব সহিত তুৰ্কীস্থানের সম্বন্ধ নিকট। অনেক সময় তিব্বতের দিক খোড়ার নীল তৈয়ারী কণিতেছে পেলাতি করিতে আসে । পুরুষদের মত মেয়েরাও ঘোড়ায় ও গাঁপায় চডিয়া দ্রুতবেগে পথ চলে। গাধাগুলি কিন্তু চলিবার পণে বেশ তামাগা করে। পথের পাশে যদি কোন থালার দোকান থাকে, তহে। চৰ্চলে সেই দোকান হইতে নিৰ্ব্বিরোধী লালকের মত অনায়াসে মুখে খাবার তুলিয়া দেয়। আরোহীর বা দোকানীর প্ৰহারেও বিচলিত হয় না। কাশগড় কিজিলদরিয়া নদীর তীরে অবস্থিত। রুশ তুর্কীস্তানের সীমান্ত হইতে কাশগড়েব দুবত্ব বড় বেশী নয়। এখানে ব্রিটিশ কনসাল জেনারেল বাস কবেন। কাশগড় অঞ্চলের শাসনকৰ্ত্তাও এখানে থাকেন । পুরাকালের দুই একটি বাড়ী-ঘব এখনও এখানে ংসের মধ্য দিয়া ও বাচিয়া আছে। কাশগড়ের লাজার বিশেষ প্রসিদ্ধ। কাশগড় নদী এ অঞ্চল দিয়া প্রবাহিত হওয়ায় এখানকার ভূমি অত্যন্ত উৰ্ব্বর। শহরের পথে গাধার পিঠে জলের পিপা চাপ।ইয়া জল ৰিক্রয় করিবার রীতি আছে । এখানে স্বৰ্য্যের তাপ অত্যন্ত প্রখর । তুর্কীস্তানের মুসলমান মহিলারা গ্রামে বা ছোট ছোট সহরে চলাফেরার সময় বোরখা ব্যবহাব করেন না বটে, কিন্তু বড় বড় সহরে চলিবার সময় দুর্গম গিরিপথে ইয়াক সহ ব্যাপারীর দল হইতে পাহাড়ের পথে ব্যাপারীর দল ইয়াকের পিঠে বোঝা চাপাইয়া নীচে নামিয়া আলে। অঙি বড় বারধার ব্যবহার করেন। Yom<)
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৫৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।