কলিস্কেল্প কাজ=ালী-কাশ্মীর অধিকার করিবার পবেষ্ট কনিষ্ক পুরুষপুর (আধুনিক পেশোযাব) নামক স্থানে রাজধানী স্থাপন করিয়াছিলেন। বৌদ্ধধৰ্ম্ম গঠণ করিবার পর কনিঙ্গ এই স্থানে একটি স্তৃপ নিম্মাণ করাষ্টয়াছিলেন। এই স্তৃপঢ়িব নিৰ্ম্মাণকৌশল দর্শকদেব স্মিথ উৎপাদন করিত। সপ্তংলবিশিষ্ট এই স্তুপটির উচ্চঃ। প্রায় ৮০০ ফুট ছিল। খৃষ্টীয় যষ্ঠ শতাব্দীৰ প্রথম ভাগে মুং-লুং নামক চৈনিক পরিব্রাজক ভারত-ভ্ৰমণে আগমন করিয়া জানিতে পারিয়াছিলেন যে, এই স্তৃপটি তিন বার অগ্নিদাহে ভস্মসাৎ ইয়াছিল ও ঠিক ততবারই পুণ্যশীল রাজাদেব দ্বারা পুনর্নিন্মিত হইয়াছিল। পঞ্চম শতাব্দীর প্রথমেই ফাঠিযান নামক আব একজন চৈনিক পরিত্রাক্তক এই স্তুপটিকে দেখিযাছিলেন। বিখ্যাত চৈনিক পরিব্রাজক হুয়েন-সাং ৬৩৭ খৃষ্টাব্দের কাছাকাছি স্ত,পটিকে দেখিয়ছিলেন । এই স্তুপের পার্থে একটি পৌদ্ধ বিহার ছিল। মগধরাজ দেবপালের রাজত্বকালে বীরদেব নামক বৌদ্ধ পণ্ডিত এই বৌদ্ধ বিহারে আগমন কগা "শিশু-ভারতীতে’ পড়িয়াছ ত ? এই বীরদেব পরে নালন্দার অধ্যক্ষ-পদে নিযুক্ত হইয়াছিলেন। পেশোযার স্তুপের ধ্বংসাবশেষের মধ্যে একটি ধাতুনিৰ্ম্মিত শরীরনিধান (relic casket) পাওয়া গিয়াছে। পেদ্ধের ভগবান বুদ্ধের শরবংশ, যথা—নখ, কেশ, দন্ত ইত্যাদির পূজা ভক্তিসহকারে করিতেন। এই সকল শরীরের অংশ পেটিকার মধ্যে বর্তিত হইযা ভূগর্ভে প্রোথিত তষ্টত ও তদুপরি স্ত,প নিৰ্ম্মিত হইত। কমিন্ধেব স্ত,পও ঐ জন্যই নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। এইরূপ প্রাচীন স্তপ ভারতবর্ষে অনেক আবিষ্কৃত হইয়াছে। পেশোয়ার স্তপের ধ্বংসাবশেষেৰ মধ্যে যে শরীর-নিধানটি পাওয়া গিয়াছে, তাহার আচ্ছাদনের উপরে কনিক্ষের প্রতিমূৰ্ত্তি ও খৰোষ্ট অক্ষবে উৎকীর্ণ একটি লিপি আছে । লিপি হইত্তে জানা যায় যে, কনিস্কের Agesailos নামক একজন গ্ৰীক এঞ্জিনিযাব ছিলেন। মৌর্যা-সম্রাট অশোকের ষায় কনিষ্ক বৌদ্ধধৰ্ম্ম গ্রহণ করিয়াছিলেন। অজস্র নরশোণিত পাত করিয়া কনিষ্কও হয়ত অশোকের স্যায় করিয়াছিলেন। তোমরা নালন্দাবিশ্ববিদ্যালয়ের অনুজ্ঞাপের অগ্নিতে দগ্ধ হইয়াছিলেন ও সেই
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/১৮৮
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।