পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-- তলাটা হাতে আসিযা ঠেকে । কাচের গ্লাসে জল থাকিলে, এবং সে জল কুটা ইত্যাদিতে অপরিস্কার হইলে কুটাগুলি বড় দেখায়। অনেক ভলিয়া চিন্তিয়া আমরা আবিষ্কার করিলাম যে, আলোক-রশ্মি এক বস্থ হইতে অন্যতে যাই বাব সময় যদি তাহার চলিবার দিক পরিবর্তন করে, তবেই এই রূপ সম্ভব । তাহাব পর রশ্মি লইয়া হাতে-কলমে পরীক্ষা করিযী দেখিলাম যে, বাস্তবিক পক্ষে তাতাই বটে। তালোকরশ্মি তাহার চলিবার পথ এই অবস্থায় পড়িলে সত্যসত্যই লাকাইয়। লয । এই ভাবে তালোকবশিাৰ চলিবাব একট। নিয়ম আমরা আবিষ্কাব করিযী ফেলিলাম। অবশেসে তামরা দেখিলাম যে, আলোকের দিক পবি লক্ট্রন বা কি বণ বিবর্ধন (Refraction) নাপাবটি জগতের যেখানেই দেখিতে পাওয়া যাক না কেন, আমাদের এই একটি মাত্র অভিজ্ঞতা দিয়াই তাহার সবই বুলিতে পারা যায়। একটি মাত্র অভিজ্ঞ তা দিয়া নানারকম অভিজ্ঞতাব অর্থবোপ হয়। এই যে বিশেষ একটি অভিজ্ঞতা, ইহাকেই বৈজ্ঞানিকের “নিয়ম" বলেন । তোমবা কিন্তু একটি কথা পবিপাব ভাবে মনে বাখিও । প্রাকৃতিক নিয়ম বলিয়া যাত। আমরা বলিতেছি, তাহ। আমাদের অভিজ্ঞতার বাহিরের কিছু নয়। তাহী ও তামাদের ইন্দ্রিয়গত ব্যাপার। নিয়মকে আমরা আমাদের সমস্ত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়া আবিষ্কার করি । ইহ। আমাদের সমস্ত অভিজ্ঞতাগুলিব সার বা Extract । যুগ যুগ ধরিয়া আলো ব্যাপারটি লইয়া গবেষণা করিতে করিতে মানুষ আলোকের কতগুলি নিযম আলিঙ্কার করিয়াছে । “শিশুভারতীব” গত কয় সংখ্যা ধরিয়া এই নিয়মগুলি কি এবং কি ভাবে তাহ সমস্ত বিশ্ব প্রকৃতির মধ্যে ছড়াইয়া ठIItछ डtश1 cटtगttन व বলিয়াছি এবং মানুয এই নিয়মগুলি লইয়। - כ"לגי বিজ্ঞানের “উপপত্তি” শিশু-আগঙ্গভী - কি ভাবে ভাই নিজের কাজে লাগাই য়াছে তাহাও তোমরা যথাস্তানে জানিতে পারিলে। কিন্তু তোমাদের প্রথমেই বলিয়াছি যে, মানুষের জানিবার ইচ্ছাব অন্ত নাই। শুধু "নিয়ম” আবিষ্কার করিয়াই সে সন্তুষ্ট থাকে না । তাহার মন ও বুদ্ধি এমন ভাবে গঠিত হইয়া উঠিয়াছে যে, সে শ্বিপ্রকৃতির শুধু বাহিরের রূপ দেখিয়া শান্ত হয় না। এই সব অসংলগ্ন নিযমগুলির মধ্যে সে একটি ঐক্যসূত্রের সন্ধান খোজে এবং ইহাতেই তাহার মন প্রফুল্ল ও তাতার বুদ্ধি উজ্জল হইয় উঠে। এইমাত্র তোমাদেব বলিয়াছি যে, প্রাকৃতিক নিয়ম আবিষ্কারের জন্য আমাদের চোখ, কান ইত্যাদি ইন্দ্রিয়গুলিব প্রয়োজন হয়। কিন্তু এই নিযমগুলির ভিতর কাব ঐক্যসূত্রটি ধরিতে হইলে এই সকল বাহিরের ইন্দ্রিয়গুলিকে আমাদের ছাড়াইয়া উঠিতে হয়। এই ছাড়াই যা গিয়া আমবা যেখানে যাই. তাঙ্গ প্রধানতঃ কল্পনার রাজ্য বা মনের জগৎ । সেই জম্বা সমস্ত অভিজ্ঞতার ঐ ক্যসূত্র পলিয়। বৈজ্ঞানিকরা যাহা প্রচাব করেন তাহাও সম্পূর্ণভাবে কল্পনারই ব্যাপার। বিজ্ঞান অনুষ্ঠানেৰ ক্ষেত্রে কল্পনার ব্যবহার তোমাদেব কাছে অদ্ভুত মনে হইতে পাবে। কারণ, সাধাৰণত: সকলেব মধ্যে এই ধারণা বর্তমান যে, কল্পনার ক্ষেত্র শুধু গল্প, উপন্যাস এবং কবিতার মধ্যেই । লাস্তবিক পক্ষে একপ ধাবণ ঠিক নয়। বিজ্ঞানের রাজ্যেও কল্পনার প্রযোজন আছে । সত্য কথা বলিতে হইলে বলিতে হয় যে, কল্পনা না থাকিলে বিজ্ঞান এক পদও অগ্রসর হইতে পারিত না । বরং কল্পনা আছে বলিয়াই মানুষ তাঙ্গার অভিজ্ঞতা হইতে উপকরণ সংগ্ৰহ করিয়া সমস্ত কিছুর ভিতরের রহস্যটুকুর ছবি তৈয়ার করিতে পারে। অবশ্য বিজ্ঞানের কল্পনা কবির কল্পনার মত যাহা ইচ্ছা তাই বা উন্মাদের কল্পনার মত বাস্তবকে ডিঙাইয়া ও