পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৭৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

-সপ ও সপলse শ'ল সহিত মিশিবার ফলেই সৰ্প-পুজাটিও তাহীদের নিকট হইতে গ্রহণ করিয়াছেন। দাক্ষিণাত্য প্রদেশে কেবল যে মূৰ্ত্তি গড়িয়াই সাপের পূজা হয়, তাহা নহে। এমন কি, সেখানে বর্ষাকালে সাপুড়িয়াদের নিকট হইতে উপযুক্ত মূল্য দিয়া জীবন্ত সাপ ক্রয় করিয়া তবে তাহার পুজা করে । আর যদি সেইরূপে জীবন্ত সাপ সংগ্ৰহ করিতে ন পারে, তাহা হইলে উষ্ট ঢিপি, বনজঙ্গল, বা সাপের গৰ্বের কাছে ধাইয়া নাগ দেবতার উদ্দেঙ্গে দক্ষিণ ভারতে পুজা দিয়া আসে। এই সব পুজার সৰ্প পূজা নানা প্রকার বিধানও রহিয়াছে । মহারাষ্ট্র দেশে স্ত্রীলোকের মওলাকারে হাত ধরাধবি করিয়1লাপের গৰ্ত্তের চারিদিকে সঙ্গীত ও নৃতা করে এবং পরে সাঙ্গাঙ্গে প্ৰণিপাত কলিয়া নাগ দেবতাল নিকট কল্যাণ কামনা করিয়া পাকে । সাপের গৰ্ত্তে দুধ ঢালিমা দেয় এবং ময়দা ৭ মিনি দিয়া মিষ্টান্ন প্রস্বত কবিয়া সেখানে রাখিয়। আসে । এইরূপে তাহাদেব পুজা শেষ হয় । মধা প্রদেশেব বিলাসপুর, ছত্তিশগড়ের সপ-মন্দির বিশেষ প্রাচীন ও প্রসিদ্ধ। প্রয়াগ পামের এলাহাবাদ) গঙ্গার তীৰবৰ্ত্তী নাগবাশুকি দেবের মন্দিরও খুব বিখ্যাত। দক্ষিণ ভারতেব লামেশ্বরম নামক বিখ্যাত তীর্থস্থানে অনেক পপ-মুৰ্বি আছে । ঐ স্থানে নিয়মিত ভাবে নাগদেবতার পুজা হয় । করিদ্বাবের নাগদে বতাব ছবি ও এখানে দিলাম । কুমালিকা অন্তরীপের অস্তগত নাগের কোয়ল নামক স্থানেব সপ-মন্দির বিশেষ বিখ্যাত । সেখানে প্রস্তরনিৰ্ম্মিত বহুবিধ সৰ্পেব মৃত্তি আছে। মালাবার, কোচিন, ত্রিবাস্কর প্রভৃতি স্থানে প্রত্যেক সম্পন্ন গৃহস্থের বাড়ীর কাছেই কত কটা জমি নাগের সাপের বাসেব জন্য নির্দিষ্ট থাকে। কোস্থেলের সাধারণত: গৃহস্থের বাড়ীর দক্ষিণমন্দির পশ্চিমাংশেই ক্রহ্মপ ভূমি নির্দিষ্ট হয়। সেখানকার গাছ-পালা, ঝোপ-জঙ্গল কিছুই কাটা হয় না। কাজেই, ঐ স্থানে মনের মুখে বিষাক্ত লাপের বিচরণ করে । সপের এইরূপ বাসস্থানে যtহাতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা এবং গরু-বাছুৰ প্রভৃতি যাইতে না পাবে, সেজন্ত তাহার চারিদিক দেওয়াল দিয়৷ ঘিরিয়া রাখিয়া দেয় । ঐ দেশের লোকের ধারণ এই যে, খোস, পাচড়া, গলিত কুষ্ঠ, চক্ষুরোগ প্রভৃতি নানা রোগ সব বাস্তুসাপের चश्Gय८श् चitद्रt*ाI *द्म । ८झtमक* भष्श्tभाशै ८झ१t দিলে সপদেবতার কাছে মানত করিয়া তিল, মিষ্টান্ন, কলা এবং বিবিধ প্রকারের দ্রব্য নৈবেস্কের মাকারে সাজাইয়। নাগের পূৱ দিয়া পাকে । হরিদ্বারের নাগদেবতা বৌদ্ধধৰ্ম্মে ও সাপের প্রতি অশেষ সম্মান প্রদশিত হইয়া থাকে ৷ অজন্তা গুহার চিত্রেও নাগের ছবি দেখিতে পাইৰে । বুদ্ধদেবের মূৰ্ত্তির উপর, বোধিসত্বের মূৰ্ত্তিব উপর এবং অবণেকিতেশ্বর প্রভৃতি বৌদ্ধ দেবতাব মুষ্ঠির উপরিভাগে, পাচটি বা সাতটি সাপ ফণী ধরিয়! রছিয়াছে, এইরূপ অনেক মুক্তি দেখিতে পাওয়া যায়। জৈন-ধৰ্ম্মেও সাপের প্রভাব বড় কম নয় । তাহাদেব দেবমুৰ্বিতে ৪ সপাঙ্কিত থাকে। কাজেই, ভারতবর্ষের সব্বত্রই—কি হিন্দু, কি বৌদ্ধ, কি জৈন, সকলেই এক প্রকারে কিংব অন্ত প্রকারে নাগপূজা কবে। ভারতবর্ষের বাহিরেও কোন কোন দেশে নাগপুঞ্জ প্রচলিত । কাম্বোডিয়ার বা কম্বোজের সপত হ বিশেষ বিখ্যাত। ( পর পৃষ্ঠার ছবি দেখ )। আমাদের বাঙ্গা দেশের কি সাহিতো, কি পূজাপাৰ্ব্বণে সৰস্বত্রই মনসা’ বা সপদেবতার প্রভাব סהסי"שג