hئے۔ esta-قعہ ہمfa গোব। 'কৃষ্ণ কৃষ্ণ' বলিয়। কাদিতেছেন ; কঁদিতে কাদিতে চক্ষু লাল শুই যাছে, তাহ হইতে গঙ্গার মত কত ধারা বহিয়া যাইতেছে। গোরা স্বগন্ধ চন্দন গায়ে মাখেন না, মাটিতে গড়াগড়ি দিতেছেন, তাহাতে র্তাহার শরীর ধুলায় ধূসর হইয়। যাইতেছে। কৃষ্ণ আমাকে ভালবাপিলেন না এই অভিমানে তাহার মুখ মলন ; বা ৩দিন তিনি জাগিখ কাটা ষ্টতেছেন। ভাল প্রবল হ ওয়ায় ক্ষণে ক্ষণে চমকাইয়া উঠিতেছেন । এইরূপে গোরাচাদের নানা ভালের কথা বামু ধেtধ গাছিলেন। বৈষ্ণবেরা শ্রীচৈতন্যদেবের জীবন-কথা লিখিয়া গিয়াছেন । এই জীবন-কথা কুলগুদাস কবিব জেব চৈতন্য-কণামৃত গ্রস্থে, বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যভাগবতে, জয়ানন্দের চৈতন্যমঙ্গলে, লোচনদাসের চৈতন্যমঙ্গলে পাওয যায় । ইহা ছাড়া সে সকল পুস্তকে তখনকার সাধারণ লেখকের কি ভাবে চলিত, কি ভাবে জীবন কাটাইত, তাহ ও জানিতে পারা যায। চৈতন্যদেবের শিস্যদের কথাও অনেক পুস্তকে আছে,—সে সকলের নাম ভক্তিরত্নাকর, প্রেমবিলাস, নরোত্তম-বিলাস--অারও কত কি। তাঙ্গার শিষ্য ৰূপ-সনাত~ের জীবনী অপূৰ্ব্ব । সনাতন, রূপ ও বল্লভ তিন ভাই। সনাতন ও রূপ যেমন পণ্ডিত, তেমনষ্ট উচ্চপদস্থ বাজ কৰ্ম্ম চাব ছিলেন । তাক বা তুষ্টজনে সন্ন্যাসী হইয়া চৈতন্তের অনুগমন কবেন । বল্লভ সন্নাসী হইতেন, কিন্তু তাতাৰ হঠাৎ মৃত্যু হয় । তাহার: পুত্ৰ জী ; জীলে ব মা পুত্রকে পি তার ত্যাগবৈরাগা, প্রেমের কথা বলতেন ; অাব ললিতেন, তোমার লালা লাচিযা থাকিলে সন্ন্যাল লইতেন । জীল একদিন গেরুয়া পরিয়া মার সঙ্গে দেখা কবিতে আসেন ; মা বলেন, তোমাকে ঠিক সন্ন্যাসীব মত দেখাইতেছে ; নেড়া মাথা থাকিলে লোকে সন্ন্যাসী বলিয়া ভুল করিত। জীব অমনি মাথা নেড়া করিয়া আসিয়া মায়ের কাছে বিদায় লইয়া সন্ন্যাসী হইলেন। মা এই কথা শুনিযা কাদিয অজ্ঞান হইয়া পড়িয রঙ্গিলেন ; জীব ফিরিযাও তাকাই লেন না। পরে জীব বৃন্দাবনে ছিলেন এবং খুব বড় পণ্ডিত হন । বৈষ্ণবেরা পণ্ডিত তই যাও কিরূপ বিনয়ী ছিলেন, তাগাব এক উপাখ্যান দিতেছি।
- এক দিগ বিজয়ী পণ্ডিত বৃন্দাবনে আসেন
এবং বৃন্দাবনবাসী বৈসংব পণ্ডিতদের কাছে গিয়া বলেন, হয় আমার সঙ্গে তর্ক বা বিচার করুন, না হয় আমার কাছে তার মানিলেন এ কথা স্বীকার করিয়া একখানি চিঠি দিন। রূপ গোস্বামীর কাছে পণ্ডিত যাওয়ামাত্র তিনি ঐরূপ জয়পত্র বা চিঠি লিখিয়া দিলেন। তখন তিনি খুব বড়াই কবিতে করিতে বৃন্দাবন সহর হইতে বাহির হইলেন। বলিতে লাগিলেন রূপ গোস্বামী পর্যন্ত আমার নিকট হার মানিলেন,আমার চেয়েবড় পণ্ডিত কে আছে। জীব গোস্বামী এই কথা শুনিয়া চটিয়া উঠিলেন, তাহাকে বিচার করিতে ডাকি লেন । সাতদিন সাতর ত্রি বিচাব চলিল, শেষে পণ্ডিতকে হার মানিতে হইল। জীব গোস্বামী যে বড় পণ্ডিত, তাহার প্রমাণ হইল বটে, কিন্তু রূপগোস্বামী একথা শুনিয়া জীবকে বৃন্দাবনের বাহুিরে যাইতে বলিলেন । কারণ যে বিনয়ী নহে, সে বৈষ্ণব নহে । যে বৈষ্ণুৰ নহে, সে বৃন্দাবনে বাস কবি বার উপযুক্ত নহে । ইহা হইতে আমরা তখনকার বৈষ্ণু পদের মন যে কত উচু ছিল তাeা, বুঝিতে পারি। অপূৰ্ব্ব ঝঙ্কারে সুমধুর, সুন্দর ভাবে ভরা কবিতা ও বিস্তর সাধু-মহাত্মাদের জীবনকাহিনী দিয়া বৈষ্ণব-সাহিত্য লাংলাদেশের সাহিত্যকে পুষ্ট করিয়াছে। ইহা যে বাঙ্গালীর পরম গৌরবের সামগ্ৰী, তাহাতে সন্দেহ নাই। Ֆbrc Հ