পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/২৯৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ল্পবিন্সন্স জুসেন এই কথা শুনিয়া আমি তাহাদের বঁাধন কাটিয়া তাহাদিগকে মুক্ত করিয়া তাহাদের হাতে বন্দুক দিলাম। বিদ্রোহীরা বন হইতে সমুদ্রতীরে ফিরিয়া আসিতেই ভীষণ যুদ্ধ বাধিয়া গেল এবং সেই দুইটি ছষ্ট নেতাকে অতি সহজেই মারিয়া ফেলা গেল। তখন বাকী সকলে ভয় পাইয়া বিনীতভাবে দয়। ভিক্ষা করিয়া অামাদের সহিত মিলিত হইল । রাত্রিতে জাহাজ হইতে আবার বহু নাবিক তীরে অগসিয়াছিল । তথন আমরা এমন ভাবে তাহ1দিগকে আক্রমণ করিয়াছিলাম যে, তাছাবাও ভীত হইয়। আত্মসমপণ করিল। তখন জাহাজের অধ্যক্ষের হুকুমে তাহার। তাহদের অস্ত্রশস্ত্র ত্যাগ করিল। আমাকে দেখিয়া উeার মনে করিয়াছিল যে, আমিই সেই দ্বীপের সমাটু ! १श्वाद्र श्राभाद्र नृ विधान रुश्प्राझिण cग, श्राभाद्र মুক্তির আর দেরী নাই। আমি বেশ বুঝিয়াছিলাম যে, জাহাজে উঠিয়া আমার সাহায্য করিতে পারিলে সল নাবিকই নিজেদের চরিতাগ মনে করিবে । ইহা বুঝিয় তাহদের সঙ্গে লইয়। আমরা জাহাজে গিয়া উঠিলাম। বিদ্রোণী নাবিকের একজনকে তাছাদের ক্যাপ্টেন কবিয়াছিল। সেই নূতন ক্যাপ্টেন জাহাজের মধ্যে ছিল । জাহাজে উঠিয়াই তাকাকে গুলি করিয়া মারিয়া ফেলা হইল । ইহাতে বাকী যে কয়জন মালিক জাহাজে ছিল, তাহারাও আমাদের বহুত স্বীকার করিল। নিৰ্জ্জনতা হইতে অামাব মুক্তি অবশ্যম্ভাবী দেখিয়। আমার মন আনন্দে নাচিয়া উঠিয়াছিল। তখন অামি কেবিনে গিয়া অামাব সেই অভিনব পোষাক ছাড়িয়া ক্যাপ্টেনের পোষাক পরিয়া ৰাছির হইয়া আসিলাম ; কিন্তু তবু সকলেই আমাকে সম্রাট ৰলিয়াই অভিনন্দন করিয়াছিল। ক্যাপ্টেনকে সঙ্গে লইয়া আমি সেই জাহাজের সদ্য-পরাজিত বন্দীদের আমার সামনে ডাকাইয়া বলিলাম যে, “জলদস্থ্য বলিয়া কেন আমি তাহাদের মৃত্যুদণ্ড দিব না ?” আমি তাছাদের আরও বলিলাম, “আমি ঐ দ্বীপটি পরিত্যাগ করিতে মনস্থ করিয়াছি । তোমরা আমার সঙ্গে যাইতে পার, কিন্তু বন্দিরূপে লোহার খাচায় যাইতে হইবে এবং দেশে ফিরিয়া তোমাদের উচিত বিচার হইৰে । তবে আমি তোমাদের মুক্ত করিয়া এই দ্বীপে বাস করিবার জন্ত ছাড়িয়া দিতে পারি।” আমার প্রস্তাব শুনিয় তাহারা কৃতজ্ঞ ও চরিতার্থ হইয়া গিয়াছিল। ইংল্যাণ্ডে ফিরিয়া গেলে তাহাদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চয় হইবে বুঝিয়া তাহারা সহজেই ঐ দ্বীপে বাস করিতে রাজী হইয়াছিল । সেই দ্বীপে আমি কিরকম ভাবে বাস করিতাম, সেই সব গল্প একবার তাহাদিগকে বলিতে আরম্ভ করিয়াছিলাম। তাছাদিগকে সঙ্গে লইয়। অামি সেই দ্বীপে গিয়াছিলাম এবং কিরূপ বেড়া প্রভৃতি দিম সাবধানতার সহিত বাস করিতাম, তাহ দেখাইয়া দিলাম। তার পর, আমি কেমন করিয়া রুটি প্রস্তুত করিতাম, কেমন করিয়া শস্ত জন্মাইতাম, সে সব বৃত্তান্ত তাহাদিগকে জানাইয়া দিলাম । এক কথায় বলিতে গেলে, বহুদিন চিন্তা ও পরিশ্রমের সালে আমি যাহা কিছু শিখিযাছিলাম, সে সবই তাহাদিগকে শিখাইয়া, তাহাঁদের জীবন-ধারণ যাহাতে বেশ সুখে-স্বচ্ছন্দে ও সহজ হইতে পারে, তাহাই করিয়াfছলাম। আমার সেই স্পেনবাসী সহচরটি যদি তাহার দেশবাসীদের খুজিয়া লইয়া সেই দ্বীপে ফিরিয়া আসে, তাহ হইলে তাঙ্কার। যেন ভাল ব্যবহার এবং সমাদর পায়,লে অম্বরোধটিও कब्रि८ङ श्राभि ड्रलि’ नाइँ । পরদিন ফ্রাইডেকে সঙ্গে লইয়। আমি দ্বীপ হইতে জাহাজে গিয়া চড়িয়াছিলাম। প্রায় আটাশ বৎসর ঐ দ্বীপে বাস করার পর ১৬৮৬ খৃষ্টাব্দের ১৯শে ডিসেম্বর তারিখে সেই স্থানটি ত্যাগ করিয়াছলাম। অামি সবগুদ্ধ প্রায় একত্রিশ বৎসর ধরিয়া গৃহছাড়া । আমাদের জাহাজখানি এবার নিরাপদে সমুদ্রের উপর পাড়ি দিয়া অবিশ্রাম গতিতে চলিতে লাগিল । অবশেষে ১৬৮৭ খৃষ্টাব্দের ১১ই জুন দূর হইতে যখন ইংল্যাণ্ডের পাড় দেখিতে পাইলাম, তখন মনে যে কিরূপ আনন্দ হইয়াছিল, তাহ। প্রকাশ কব1 অসম্ভব । -^ וףb"cג 24—F. 3