পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--- f*५e-चrन्नितः ज्ट9ौ । ব্ৰহ্ম সম্বন্ধে আমি তোমায় উপদেশ দিতেছি, শোন । এই যে পৃথিবী দেখিতে পাইতেছ, ইহা ভগবানের এক অংশ ; উপরে আকাশও.ভগবামের এক অংশ ; আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে অবস্থিত যে অন্তৰীক্ষ, তাহাও তাহার অংশ এবং সমুদ্র ও র্তাহারই অংশ। যে বিশ্বান ইহা জানিয়া ভগবানের উপাসনা করে, তাহার জয় হয়। ভগবান সঙ্গন্ধে আরও উপদেশ তুমি কংসের নিকট পাইবে।” তার পর দিন আবার সন্ধ্যায় সত্যকাম যেমন আগুনের সম্মুখে বসিয়াছে, অমনি একট হাস সেখানে আসিয়া বলিতে লাগিল, “সত্যকাম, অগ্নি, সূৰ্য্য, চন্দ্র, এবং বিদ্যুৎ ইহারাও প্রত্যেকেই ব্রহ্মের এক এক ংশ প্রকাশ করিতেছে। ইহা জানিয়। যে ব্রহ্মের উপাসনা করে, সে জয়যুক্ত হয়। এ সম্বন্ধে একটি জলচর পাখী তোমায় আরও কিছু উপদেশ দিবে।” তার পর দিনও তেমনই আর একটি পার্থী তাকামের সম্মুখে আসিয়া কহিতে লাগিল, "ব্রহ্ম সম্বন্ধে কিছু উপদেশ আমিও তোমায় দিতেছি। মামুসেব প্রাণ, চক্ষু, কর্ণ ও মন—এ সকলের ভিতরও ব্ৰহ্মই নিজেকে প্রকাশ কবিতেছেন । ইহা জানিয়া যে ব্রহ্মের উপাসনা করে, তাহার মঙ্গল হয়।” অত:পর গরুগুলি লইয়া সত্য কাম গুরুগুহে প্রত্যাবর্তন কবিল। গুরু তাহাকে দেখিয়াই কহিলেন, "সত্যকাম, তোমাকে দেখিযা মনে হইতেছে যেন তুমি ব্ৰহ্ম-বিদ্যা লাভ করিয়াছ । তোমাকে কে উপদেশ দিল ?" সত্যকাম, কছিল, “মানুষের কাছে আমি কোন উপদেশ পাই নাই।” এই বলিয়া সে পথে যাহা যাহা ঘটিয়াছিল সে সমস্তই গুরুর নিকট বর্ণনা করিল এবং কহিল, “আমি শুনিয়াছি আপনার মত গুরুর নিকট যে বিদ্যা লাভ কবা যায় তাহা নষ্ট হয় না, সুতরাং আপনি আমায় এখন উপদেশ দিন।" ঋষি ও সত্যকামকে ব্ৰহ্ম-সম্বন্ধে পূৰ্ব্বোক্তরূপ উপদেশই দিলেন। ইঙ্গর পর দর্শন শাঙ্গে কুশল হইয়। সত্য কাম গৃহে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিল। বিদ্যা অজ্জন করিয়া সত্যকাম জাবাল যখন গৃহী হইলেন তখন তাহারও বহু ছাত্র হইতে লাগিল। উপকোমল কামলায়ন নামক একটা ছাত্র বারো বছব তাছার গৃহে বাস করিয়া অগ্নির সেবা করিলেন, কিন্তু তথাপি গুর তাহার শিক্ষা সমাপ্ত হইয়াছে বলিয়া স্বীকার করিলেন না। একদিন সত্যকামের স্ত্রী তাহাকে কহিলেন, “এই ছেলেট যথেষ্ট তপস্তা


و

করিয়াছে, এবং ব্রহ্মচারী থাকিয়া অগ্নির সেৰ করিয়াছে ; এখন ইহাকে শেষ উপদেশ দিয়া দেশে ফিরিয়া যাইতে দিন।” কিন্তু সত্যকাম সে কথায় কান না দিয়া স্থানান্তরে চলিয়া গেলেন। কামলায়ন মনের কষ্টে আহার পরিত্যাগ করিলেন। গুরু-পত্নী তাছাকে কহিলেন, “ব্রহ্মচারী, তুমি খাওয়া ছাড়িলে কেন ? কিছু খাও!” ব্ৰহ্মচারী উত্তর করিলেন, “মানুষের ভিতরে বহু কামনা বহিয়াছে। কিন্তু আমার দেহ বাধিতে পুর্ণ, সুতরাং আমি কিছু খাইব না।" এই অবস্থায় একদা অগ্নিসকল তাহলে সন্মুখে আবিভূতি হইলেন এবং উহাকে কছিলেন, "তুমি আমাদের উত্তম সেবা কবিয়ছি, এজন্ত তোমায় কহিতেছি, শোন , छूमि যে ব্রহ্ম বা ভগবানকে জানিতে চাও, প্রাণই তিনি , আকাশ ও জলও তিনিই।” তারপর গার্হপত্য নামক অগ্নি তাহাকে কহিলেন, “স্বয্যে যে পুরুষ আছেন তাহা আমি, এইরূপ জানিয়া যে ব্যক্তি উপাসনা করে, সে পাপ জয় কলে ।” অতঃপর অন্নাহার্যাপচন নামক অগ্নি কহিলেন, “চন্দ্রে যে পুরুষ আছেন তাহ আমি, এইরূপ ভাবিয়া যে উপাসনা করে, তাহার কোন অমঙ্গল হয় না ." অত:পর আহবনীয় নামক অগ্নি তাহাকে কহিলেন, “বিছাতে যে পুকৰ আছেন তাহা আমি, ইহ। জানিয়া যে উপাসনা করে, তাছার জয় হয় ।” অগ্নি সকল আরও কহিলেন, “এই যা বলিলাম ইহাই আত্মবিষ্ঠা লা দর্শন , ইহার বিশেষ ব্যাখা। তোমার গুরু দিবেন। এমন সময় গুর সভ্যতাকাম আসিয়া শিলোব মুখের দিকে চাহিয়াই কহিলেন, "উপকোমল, তোমার মুখ দেখিয়া মনে হয়, তুমি ব্ৰহ্মবিদ্যা লাভ করিয়াছ , তোমায় কে শিখাইল বল ?” শিষ্য উত্তর করিলেন, "কে আর শিথাইলে ? আপনি কিছু বলিলেন না দেখিয়া আমি অগ্নির নিকট বিদ্যা যাচএaা করিয়াছিলাম।” গুর কহিলেন, “র্তার তোমায় কি উপদেশ দিলেন ?” উত্তরে শিষ্য যথাযথ বর্ণনা করিলে গুরু কছিলেন, “অগ্নি সকলের নিকট যাহা জানিয়াছ তাহা ভুল নয়। কিন্তু আমি এখন তোমায় যাহা বলিব তাহা জানিলে পদ্মপত্রে যেমন জল লাগিয়া থাকিতে পালে না তেমনই মানুষকে কোনও পপ স্পর্শ করিতে পারে না।" এই বলিয়া তিনি তাহাকে আরও অনেক স্বগ্নতত্বের উপদেশ দিলেন । אר-לל