দৈহিক গতির কথা দৈহিক উৎকর্ষ আর খেলার কথা তোমাদের আগেই কিছু বলেছি। ও দুটো বিষয়ে তোমাদের এখন যা ধারণা, তা দিয়ে মনে করতে পার যে, জগতের সব মানুষ, স্ত্রী-পুরুষ, একই দৈহিক নিয়মের অধীন, তাতে ৰণবিভেদ, জাতিবিভেদ বা স্ত্রী-পুরুষের কোন বিভেদ নেই। সে রকম মনে করা যে কত ভূল, আমি পরে সে-কথার আলোচনা করিব। এখন কেবল এইটুকু জেনে রাখ যে, মাহুষের অন্যান্ত পরিবেষ্টন, যেমন যে দেশে সে জন্মেছে সেই দেশের জলবায়ু, ভূপ্রকৃতি ইত্যাদি ছাড়। দৈহিক উৎকৰ্ষ আবার সভ্যতার বিশেষ শাসনাধীন। আদিম বা বস্ত মামুষের এবং সভা মানুষের দেহ উৎকর্ষে এক হয় না। দেহের এমন অংশ, দৈহিক এমন প্রক্রিয়া আছে—যার চরমোৎকর্ষ দেখা যায় লভ্য মানুষে ; অসভোর দেহে থাকে মাত্র তার ভিত্তি। নিকোবার দ্বীপের একজন লোক আর তুমি হাত, পা, নাক, মুখ থাকার কারণে এক মানবজাতীয় হতে পার, কিন্তু সভ্যতার তারতম্যে তোমার ও তার দেং একদম আলাদা। কারণ, তুমি গড়ে উঠছ সভ্যতার সংস্কারের ভিতর; কাজেই, তোমার দৈহিক পরিণতি হবে দেরীতে এবং তোমার দৈহিক যৌবন থাকবে দীর্ঘতর কাল । ঐ নিকোবার দ্বীপের লোকটির দৈহিক পরিণতি -* o হবে তোমার চেয়ে অনেক আগে, যৌবন থাকবে অল্প नेिन ॥ ७ गर्थन बूएफ़ी श्रड' श्रांद्रञ्च कद्रtव, ८ठांभांद्र যৌবন তখন পূর্ণ। ও হবে অল্পায়ু, তোমার झ८व नौर्षठद्र श्राष्ट्र । স্ত্রী ও পুরুষ হিসাবে দৈহিক উৎকর্ষের অর্থাৎ দেহ গড়ে ওঠার পার্থক্যও বড় কম কথা নয় ; মেয়েদের দেহ-মন যত তাড়াতাড়ি পরিণতি লাভ করে, পুরুষের তা কবে না এবং মেযেদের যৌবন অর্থাৎ পরিণত অবস্থা যতট। দীর্ঘকালব্যাপী হয় পুরুষের হয় না । মেয়েদের জীবনীশক্তি, সহনশীলতা প্রভৃতি পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি। উপরিউক্ত কথাগুলি বলবার কাবণ এই যে, আমাদের এখানকার অালোচ্য বিষয়, শারীরিক গতির সঙ্গে সে-কথাগুলির নিকট সম্পর্ক আছে। গতি আমাদেব দেহের প্রধান ধৰ্ম্ম, মাংসপেশীর গঠন, অস্থির সন্ধিস্থলগুলি, আনুভূতিক ও সঞ্চালক স্বায়ুঞ্জাল আমাদের ঐ বিশেষ দৈহিক ধৰ্ম্মের পরিচায়ক। যদি স্ত্রী ও পুরুষে বিভেদ না থাকত, গতির বিষয়ে কোন বর্ণনা করা অামাদের দরকার হত না। ঐ বিভেদ আছে বলেই মানুষের গতি সরল না হয়ে হয়েছে জটিল, সে-কথা তোমাদের বিশেষভাবে জানা উচিত। डी
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৩২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।