°िख-खान्छाप्छौ ঋগ্বেদের সময়ে আর্য্যের তাহীদের যাযাবরবৃত্তি পরিত্যাগ করিয়া কৃষিকার্য্যে মনোনিবেশ করিয়াছিলেন। কোন সময়ে ঋগ্বেদ রচিত হইয়াছিল, তাহা সঠিক নিৰ্দ্ধারণ করা অসম্ভব ; তবে অনুমান করা যাইতে পারে যে, চার বা সাড়ে চার হাজার বৎসর পূর্বে বৈদিক মহেনজোদারোতে প্রাপ্ত অলঙ্কার সভ্যতার বিকাশ হইয়াছিল। যদিও সেই সময়ে প্রধানতঃ পরস্পর দ্রব্যাদির বিনিময় দ্বারাই ক্রয়বিক্রয় চলিত, তবু ইহা স্পষ্টই দেখা যায় যে, ক্রমশঃ গো বিনিময় যন্ত্রস্বরূপ ব্যবহৃত হইতে থাকে। ঋগ্বেদের এক জায়গায় এইরূপ উল্লেখ আছে যে, একটা ইন্দ্র দেবতার মূৰ্ত্তির দাম দশ গাভী। ইহাতে আশচর্য্য হইবার কিছুই নাই, কারণ সেই সময়ে গো-ই আর্য্যদের প্রধান মহেনজোদারোতে প্রাপ্ত ধন ছিল ; গরুই একটি সিলমোহর তাহাদের সমস্ত অভাব দূর করিত এবং এমন কি কৃষিকার্য্যের সহায়কও ছিল । পুরোহিতকে জাণ্ডারকে অঙ্ক যজ্ঞের দক্ষিণস্বরূপ গরু দেওয়া হইত এবং লাহার যত বেশী গরু থাকিত তিনি তত ধনী বলিয়া গণ্য হইতেন। বৈদিকসংহিতাযুগের পরবর্তী ব্রাহ্মণযুগেও সেই রীতি প্রচলিত দেখিতে পাই। ঐতরেয় ব্রাহ্মণে এইরূপ উল্লেখ আছে যে, রাজা হরিশ্চন্দ্ৰ যজ্ঞকালে বলি দেওয়ার জন্য ব্রাহ্মণপুত্র শুন:শেফকে এক শত গাভী দাম দিয়া ক্রয় করিয়াছিলেন। তখন পৰ্য্যন্ত মুদ্রার ব্যবহার প্রচলিত হয় নাই, ইঙ্গ ཨ་ད༔ মনে হয় । ঠিক কোন সময়ে ভারওেঁ প্রথম মুদ্র আবিষ্কৃত হইয়াছিল, তাহা নির্ণয় করা বড় শক্ত । খুঃ পূঃ চতুর্থ শতাব্দীতে যখন গ্রীসীয় রাজা আলেকজাণ্ডার এদেশ আক্রমণ করেন, তখন এদেশে রৌপ্য-মুদ্র। প্রচলিত ছিল ইহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে। কারণ, গ্ৰীসদেশীয় কুইন্টাস্ কার্টিয়াস্ (Quintus Curtius) লিখিয়া গিযাছেন যে, পাঞ্জাবের অস্তগত ভক্ষশিলার রাজা fচহ্নিত বহু রৌপ্যখণ্ড উপঢৌকন প্রদান করিয়াছিলেন। - - - ঐ রৌপ্যখণ্ড- on গুলির বর্ণনা কুইণ্টাস কাটিয়াল - এদেশীয় প্রাচীন মুদ্রার সহিত মিলিয়া যায়। মৌর্য্যবংশীয় সম্রাট, চন্দ্রগুপ্তের সমসাময়িক কৌটিল্যের অর্থশাস্ত্র নামক গ্রন্থে রৌপ্য এবং তাম্র উভয় ধাতুর নানাজাতীয় মুদ্রার উল্লেখ כאסיפמ
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৮৫
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।