foots-etoot বলিয়া মনে হয় না ; তাহারা কেবল তাম্রমুদ্রাই তৈয়ার করিত। যাতাহউক, ধাতুহিসাবে রৌপ্যের ন্যায় তাম্র টেক্সই নহে বলিয়া বোধ হয় পরে রৌপ্য মুদ্রার প্রচলন হয় এবং সেই জন্যই রৌপ্য মুদ্রাই অধিক পরিমাণে আবিষ্কৃত হইতেছে। অঙ্কচিহ্নিত রৌপ্যমুদ্রাকে পুরাণ বা ধরণ বলিত এবং তাম্রমুদ্রার নাম ছিল কার্যাপণ। এই উভয়বিধ মুদ্রারই অৰ্দ্ধ, এক-চতুর্থ প্রভৃতি নানারূপ বিভাগ ছিল। পুরাণ নামধেয় মুদ্রার ওজন সাধারণতঃ ৩২রতি ব; প্রায় ৫৬ গ্রেণ ধরা হইত এবং কার্ষাপণের ওজন ছিল ৬•রতি বা আনুমানিক ১৪৬ গ্ৰেণ । বাস্তবিক পক্ষে ওজন প্রায়ই নানাকারণে কমবেশী হইত, তবে মোটামুটি পুরাণের ওজন ৩২ রতি ও কার্যাপণের ওজন ৮e রতি। বর্তমান সময়ে ৬ রতিতে এক আনি এবং ১৬ আনিতে এক তোলা ধরা হয় । স্থতরাং পুবাণের ওজন ছিল প্রায় সাড়ে পাচ আনি এবং কার্ষাপণের ওজন সাড়ে তের আনি । এই সকল প্রাচীন অঙ্কচিহ্নিত মুদ্রায় রাজার নাম, সন প্রভূতি লেখা থাকিত না। কেবল কতকগুলি জীবজন্তু, গাছ, অস্ত্র, নদী, চক্র, সূৰ্য্য প্রভৃতি বিভিন্ন নক্সার ছবি মুদ্রিত আছে। সাধারণতঃ দুই পিঠেই অঙ্কচিহ্ন থাকিত, তবে কোন কোন মুদ্রার কেবল এক পিঠেই পাওয়া গিযাছে। মুদ্রার প্রধান পিঠে (obverse) গড়পড়তায় পাচটা অঙ্কচিহ্ন থাকিত ; কোন কোনও সময়ে এমন কি ১৪টিও দেখা গিযাছে। বিপরীত দিকে (reverse) প্রায়ই শূন্য থাকিত সাধারণতঃ দুই একটি অঙ্কচিহ্নও পাওয়া যায়। এই সমস্ত অঙ্গচিহ্নের তাৎপর্যা এখন পর্য্যন্ত সঠিক নিৰ্দ্ধারণ করা যায নাই । তবে ইহা নিঃসন্দেহে বলা যাইতে পারে যে, এক এক রাজা এক একটা অঙ্কচিহ্ন নিজের আভিজাতিক (heraldic) চিহ্নরূপে গ্রহণ করিয়াছিলেন ; বিভিন্ন প্রদেশে বা বণিক্সঙ্ঘেরও এইরূপ পৃথক পৃথক অন্ধচিহ্ন ছিল। কোন রাজবংশ বা রাজা কোন অঙ্কচিহ্ন ব্যবহার করিতেন বা কোন প্রদেশে কোন চিহ্নটা প্রচলিত ছিল, তাহা যদি আমাদের জানা থাকিত, তবে এই সকল মুদ্রার শ্রেণীবিভাগ করা অত্যন্ত সুবিধা হইত। ঐতিহাসিকেরা বৰ্ত্তমান সময়ে অঙ্কচিহ্নগুলি চিনিয়া লইবার জন্য অত্যন্ত চেষ্টা করিতেছেন। অনেকে মনে কবেন যে ১ এই চিহ্নটি মৌর্য্যবংশীয় চন্দ্রগুপ্তের চিহ্ন এবং এই অঙ্কচিহ্ন (অর্থাৎ একটা পাহাড়ের উপর অৰ্দ্ধচন্দ্র) যে সকল মুদ্রায় পাওয়া যায়, তাহার কতকগুলিকে নিঃসন্দেহে চন্দ্রগুপ্তের মুদ্রা বলা যাইতে পারে। আবার একটা পাহাড়ের উপর মযুর এই চিহ্নটি অশোকের অঙ্কচিহ্ন বলিয়। অনুমান করা হইয়া থাকে। কতকগুলি অঙ্কfচহ্ন এখন পর্যন্ত ও প্রচলিত আছে। এই গুলিকে বৰ্ত্তমান সময়ে শুভচিহ্ন বলিয়া মনে করা হইয়া থাকে ধন, এই চিহ্নর্টির নাম স্বস্তিক। ইহা অতি-প্রাচীন কাল হইতে চলিয়া আসিতেছে এবং পৃথিবীর নানা দেশে অতীতকালে ইহার ব্যবহার পাওয়া যায়। fহন্দুরা শুভকার্য্যের সময়ে স্বস্তিকচিহ্ন অঙ্কিত করিয়া থাকেন। আর একটি অঙ্কচিহ্নের নাম নন্দিপাদ *Աք ইতার সহজ আকার 8 - p:ইহাও শুভচিহ্ন এবং অতি-প্রাচীন কাল হইতে এদেশে প্রচলিত অাছে। বহু জীবজন্তু—যেমন মাছ, গরু, কুমীর, হাতী প্রভৃতিও মুদ্রার উপরে অঙ্কিত পাওয়া যায়। এই পর্য্যন্ত প্ৰায ৪৷৫ শত বিভিন্ন অঙ্কচিহ্ন পাওয়া গিয়াছে এবং ঐতিহাসিকেরা এই সমস্ত অঙ্কচিহ্নের বিষয়ে গবেষণায় নিযুক্ত আছেন। এই চিহ্নগুলি হইতে প্রাচীনকালের ধৰ্ম্ম, সমাজ প্রভৃতি নানা বিষয়ের খবর পাওয়া যাইবে বলিয়া আশা করা যায়। "שסיכאנכי
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৮৯
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।