>{fदनपछांटन्छन्द्रत अवश्ञ=t-ब्वsांटिट्ञ्यैौ অমনি সকলে মিলে দৌড়ে গিয়ে অনেকগুলো মই ব’য়ে এনে হাজির করলে। মইগুলো আমার দেহের চার পাশে লাগিয়ে প্রায় শ খানেক ঐরকম ক্ষুদে লোক খাবার ও পানীয় নিয়ে আমার দেহের উপর উঠে পড়ল এবং আমার মুখের মধ্যে খুব তাড়াতাড়ি ক’রে খাৰার ঢেলে ঢেলে দিতে লাগল। আমাকে আবিষ্কার ক’রে ঐ ক্ষুদে লোকগুলো তাদের রাজার কাছে পৰ্য্যস্ত খবর পাঠিয়ে দিয়েছিল। রাজামশায় আমাকে বন্দী করবার হুকুম দিয়ে ব’লে দিয়েছিলেন যে, আমাকে খাইয়ে-দাইয়ে তখনি যেন রাজধানীতে উপস্থিত করা হয়। সেই লোকগুলো আমার পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের কি একটা ওষুধ মিশিয়ে দিয়েছিল,সেইজন্য আমি আবার ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। ঐ দেশের লোকের। এত রকম কলকব্জার নিম্মাণ কৌশল আরম্ভ করেছিল, যা অন্ত কোনও দেশের লোকেরা তখনও জানত না। আমার শরীরটা তাদের কাছে বিরাট একটা পাহাড়ের বোঝার মত। কিন্তু হ’লে হবে কি ! তারা বুদ্ধির জোরে প্রথমে আমাকে বেশ ক’রে বাধলে। তারপর ঘণ্টা তিনেকের মধ্যেই আমাকে কপিকলে ক’রে শূন্তে তুলেফেললে এবং যন্ত একটা গাড়ীর উপর গুইয়ে দিলে। বড় বড় গাছ-পাথর বইবার জন্ত ঐ দেশের লোকেরা সেই গাড়ীখানা ব্যবহার কবৃত। আমাকে রাজধানীতে ব’য়ে নিয়ে যাবার জন্ত তারা বাছাই-করা প্রকাও প্রকাও পনের শ ঘোড়া এনে হাজির করলে-প্রত্যেকটা ঘোড়া প্রায় লাড়ে চার ইঞ্চি উচু। ঐ মাপের ঘোড়াই তাদের দেশের সব চেয়ে বড় ঘোড়া। তারা যেমন ক্ষুদে মানুষ, তাদের ঘোড়াও ত তেমনি হবে ? অামাকে ব’য়ে নিয়ে তারা যখন রাজধানীতে পৌঁছাল, তখন লিলিপুটুদের রাজা তার পরিষদদের সঙ্গে নিয়ে আমাকে দেখবার জনো রাজবাড়ী থেকে বাইরে বেরিয়ে এলেন। সেই দেশের সব চেয়ে বড় একটা ভাঙ্গ এবং পুরানো মন্দিরে আমার থাকবার ব্যবস্থা হয়েছিল। কি একটা কারণে যেন ঐ মন্দিরটা অপবিত্ৰ হ’য়ে গিয়েছিল এবং সেইজন্য লেখালে কোনও রকম পূজা-অৰ্চনা হ’ত না। সেই মন্দিরটার মধ্যে কোনও রকমে হামাগুড়ি দিয়ে দুকে একটা ঘরের মধ্যে অতিকষ্টে লম্বা হ’য়ে শুয়ে পড়েছিলাম। আমি যাতে পালাতে না পারি লেজনা ঐ ক্ষুদে লোকগুলো অসংখ্য লোহার শিকল যোগাড় 3న8ు ক’রে নিয়ে এল এবং আমার হাত-পা বেঁধে আমাকে বন্দী ক’রে ফেলে রাখলে। রাজামশায় সেই মন্দিরে এলে আমার সঙ্গে দেখা করলেন। রাজামশায় তার অক্ষাভ পারিষদদের চেয়ে অবশু একটু লম্ব। তবে বেশী নয়। আমার আঙুলের একটা নখ যতটুকু, অন্তান্ত পারিষদের চেয়ে তিনি মাত্র ততটুকু বেশী চেঙ্গা । সেই রাজার চেহারীর মধ্যে বেশ একটা পৌরুষ ও অসাধারণ শক্তিশালী ভাব ছিল এবং তার আচরণে ছিল মহত্ত্ব ও উদারতা। লে-দেশে তিনি প্রায় সাত বৎসর ধ’রে খুব আনন্দের সহিত রাজত্ব করছিলেন এবং বহু যুদ্ধেই বিজয়ী হয়েছিলেন। রাজামশায় প্রায়ই আমাকে দেখতে আসতেন। তাকে ভাল ক’রে দেখুবার জন্ত আমাকে পাশ ফিরে শুতে হ’ত। তিনি যখনই আমার কাছে আসতেন, তখনই আত্মরক্ষার জন্য তিনি খাপ থেকে তলোয়ার বার করে গৰ্ব্বদা হাতে রাখতেন। কারণ, সৰ্ব্বদাই র্তার এই আতঙ্ক হ’ত যে, আমি হয়ত হঠাৎ আমার সকল বাধন ছিড়ে ফেলে তাকে ধ’রে ফেলব। রাজামশায় আমার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্তাও বলতেন, আমিও বলতাম—কিন্তু কেউ কারুর কথা বিন্দুবিসর্গও বুঝতে পাবৃতাম না। আমার সম্বন্ধে কি ব্যবস্থা করা যায়, তা স্থির কববার জন্ত রাজামশায় প্রায়ই র্তার পারিষদদের নিয়ে মন্ত্রণাসভায় বসতেন। কারণ,তাদের সর্বদাই ভয় হ’ত যে, আমি হয়ত কখনও বন্দিদশা থেকে নিজেকে মুক্ত ক’রে ফেলব এবং নানারূপ অত্যাচার ক’রে দেশে দুভিক্ষ আন্ব। কিন্তু আমার আচরণে ক্রমশঃ তাদের সে ভয় কেটে গিয়েছিল। মুক্তি পেয়ে আমি পথেঘাটে চলাফের করতাম। অামি যখন পথ দিয়ে চলতাম কিংবা দাড়িয়ে থাকৃতাম তখন লিলিপুটের লোকের নির্ভয়ে আমার পায়ের তলা দিয়ে চলে যেত। রাজামশায় আমার উপর এত সস্তুষ্ট হয়েছিলেন যে, তিনি তার নিজের রাজভাণ্ডার থেকে আমার খাবার পাঠিয়ে দিতেন। রাজামশায়ের সঙ্গে বার বার সাক্ষাৎ হওয়াতে আমার সকল সঙ্কোচ কেটে গিয়েছিল এবং ক্রমশঃ ক্রমশঃ আমি তাদের ভাষাও বুঝতে শিখলাম। তখন একদিন আমি আমার মুক্তির श्रांकांजक ब्रांछ।itक छiनिtब्रक्केिण1भ । मायनtभ*iiग्र আমাকে মুক্তি দিলেন,কিন্তু তার কতকগুলি সর্ব ছিল। লিলিপুটুদের দেশ ও সে-দেশের ক্ষুদে লোকদের দেখে প্রথমে আমার দৃঢ় বিশ্বাস হয়েছিল যে, তারা
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৯২
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।