-গলিভাল্লেঙ্ক ভ্ৰমণ-কাহিলী অবসরে শত্রুপক্ষের দিলিপুটের দূরে গিয়ে আমাকে লক্ষ্য ক’রে অনবরত তীর ছুড়তে লাগল। তাদের *ब्राषां८ङ श्राभि श्रश्ब्रि श्रद्र ॐणाग । छूक वैिt५ যাওয়ার মত সামান্ত বেদন হ’লেও, কে কতক্ষণ আর ঐ রকম শত শত তীরের আঘাত সহ্য করতে পারে ? সেইজন্স আমি তাড়াতাড়ি ক’রে গোটাকতক নঙ্গরের দড়ি কেটে ফেলেছিলাম এবং অতি সহজেই সেই বড় শি-লাগানো দড়িগুলো হাতে ক’রে টেনে প্রায় পঞ্চাশখান। সব চেয়ে বড় বড় যুদ্ধজাহাজ টেনে নিয়ে সীতরে চললাম। সমুদ্রের অমুকুল স্রোতে গা ভাসিয়ে দিয়ে অল্পক্ষণের মধ্যেই আমি রাজবন্দরে গিয়ে পৌছেছিলাম। রাজামশায় সেখানে আমার প্রতীক্ষায় ছিলেন। তিনি আমাকে জল থেকে তুলে নিয়ে খুব সমাদর কবেছিলেন। রাজ-বাজড়ার আশা-আকাঙ্ক্ষার সীমা নেই। তারা কখনও অল্পে সন্তুষ্ট হন না—তারা যত পান তত চান । অামাব আশ্রয়দাতা সেই রাজ]মশায়েরও এইরকম আকাঙ্ক্ষা ছিল। অামার পবাক্ৰমের পরিচয় পেয়ে বেলফুসকোর লোকেরা এত ভয় পেয়ে গিয়েছিল যে, ভবিষ্ণুতে তার। আর কখনও হয়ত কোনও রকম শক্রতা করত না । কিন্তু রাজামশায় তাতে সন্তুষ্ট হননি। একবার সফল হ’য়ে রাজামশায়ের ইচ্ছা হ’ল যে, তিনি বেলফুস্কে। দ্বীপটি দখল করবেন। বাঙ্গামশায়ের এই সঙ্কল্পে আমি আমার অমত জানিয়ে বলেছিলাম যে, একটা স্বাধীন জাতিকে দাসত্বে পরিণত করাতে আমি সহায়তা করতে পারব না। রাজসভার সব বিচক্ষণ ও বুদ্ধিমান সভ্যের। আমার এই মতটির সমর্থন করেছিলেন। প্রতিবাদ করেছিলাম ব’লে রাজামশায় ত আমার উপর রেগে একেবারে আগুন ! আমার বিরুদ্ধে তিনি এত রকম ষড়যন্ত্র আরম্ভ ক’রে দিলেন যে, তার ফলে হয়ত আমার সর্বনাশ হত। কিন্তু আমার শুভাকাঙ্গী কয়েকজন রাজসভাসদ সেই যড়যন্ত্রের কথা অামাকে জানিয়ে দিয়েছিলেন। আমি দেখলাম যে, সেখানে থাকা আর নিরাপদ নয়। সেইজন্স স্থির করলাম যে, বেলফুসকো দ্বীপে গিয়েই আশ্রয় নেওয়া যাক। বেলফুসকো দ্বীপের রাজা আমাকে রাজার মতই সমাদর ক'রে আশ্রয় দিলেন। তখন থেকে আমি বেলফুসকো দ্বীপেই বাস করতে লাগলাম। এখানে পথ চল বাব সময় আমাকে পথঘাটের বাড়িগুলো ডিঙ্গিয়ে হ’ত। দিন তিনেক সেখানে বাস করার পর একদিন সমুদ্রতীরে গিয়ে দেখলাম যে একটা মস্ত বড় নৌকো উলটে জলের উপর ভাসছে। নৌকোথানা লিলিপুটুদেশের মোচার খোলার মতো ছোট্ট নৌকো নয়। সেখানায় ব’লে আমার মত দু-চারজন মানুষ বেশ ভেসে যেতে পাবে। নৌকোখানা দেখে আমার মন মানন্দে নেচে উঠল। জল থেকে নোঁকোখানা তুলে নিয়ে বেলফুসকেণব রাজ বন্দরে রেখেছিলাম। তারপর সেখানকার এখানে পথ চলৰার সময় আমাকে পথঘাটেব বাড়ীগুলো ডিঙ্গিয়ে চলাফেরা করতে হ’ত রাজামশায়কে বলেছিলাম যে, আমার ভাগ্য খুবই স্বপ্রসন্ন যে, ভগবান আমাকে ঐ নৌকোখানা পাইয়ে দিয়েছেন। ঐ নৌকোয় চড়ে আমি আমার জন্মভূমিতে ফিরে যাওয়া স্থির করে রাজামশায়ের মত চেয়েছিলাম। রাজামশায় প্রথমে অনেক ওজর-আপত্তি করেছিলেন, কিন্তু শেষে রাজী হ’লেন। রাজার সম্মতি পেয়ে সমুদ্রযাত্রায় যে-সব জিনিসের দরকার হতে পারে, সেই সব জিনিষপত্র নৌকোয় বোঝাই করতে আরম্ভ ক’রে দিয়েছিলাম । দু এক চলাফেরা করতে দিনের মধ্যে আমার নেীকো সাজান হ’য়ে গেল । Ֆ>8Վ)
পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৯৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।