পাতা:শিশু-ভারতী - পঞ্চম খণ্ড.djvu/৩৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f_கrஒளுதி আমি হয়ত বেলফুলকো দ্বীপে আরও দু-চার দিন থাকৃতাম । কারণ, বেলফুসকোর রাজার ভালৰাল ও আতিথেয়তা আমাকে মুগ্ধ করে তুলেছিল এবং আমি বুঝেছিলাম যে, আমাকে ছেড়ে দিতে র্তার বেশ কষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু ইতিমধ্যে এমন একটা ঘটনা ঘটেছিল—যার ফলে আমি অতি শীঘ্র সেখানথেকে পালাতে বাধ্য হয়েছিলাম। কারণ, পূৰ্ব্বে আমি যে লিলিপুটরাজার কাছে ছিলাম, তিনি বেলফুসকোর রাজার কাছে ব’লে পাঠালেন যে, আমাকে যেন বন্দী ক’রে তাদের রাজ্যে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। তারা আমার চোখদুটি উপড়ে ফেলে আমাকে দণ্ড দেবেন। কারণ, আমাকে সেই রাজা বিশ্বাসঘাতকতার দোষে দোষী সাব্যস্ত করেছিলেন। আমি আমার প্রাণ বাচাবার জন্য তাদের চোখে ধুলো দিয়ে পালিয়ে এসেছিলাম, এই ছিল আমার অপরাধ। বেলফুসকোর রাজা অবশ্য এই অনুরোধ রাখেন নি। কিন্তু আমি ভেবেছিলাম যে, যদি কখনও ঐ দুই বাজ্যের মধ্যে সন্ধি স্থাপিত হয় তাহ’লে তখন হয়ত আমার জীবন নিয়ে সংশয় হইবে। সেইজন্য বেলফুলকো দ্বীপে থাকার চেয়ে সমুদ্রবক্ষে ভেসে পড়াও আমার কাছে নিরাপদ ব’লে মনে হয়েছিল । মাংস, রুটি, পানীয় প্রভৃতি নানান খাবার নিয়ে প্রথমে আমার নৌকো বোঝাই করেছিলাম। লিলিপুটুদের তৈরী এক একখানা রুটির মাপ আঙলের এক পাবের বেশী নয়। সুতরাং আমাকে হাজার হাজার রুটি নিতে হয়েছিল। অত রুটি থাকলে বোধ হয় ওদের দেশের দু’চারজন লোকের সারাবছরের খোরাক হ’ত। সেই সঙ্গে সঙ্গে লিলিপুট দেশের কতকগুলো ক্ষুদে, গরু, র্যাড়, শুওর আব হরিণও নিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল, দেশে ফিরে গিয়ে ওগুলোকে পুত্রব এবং ঐ আশ্চৰ্য্য জীবজন্তুগুলোর বাচ্ছ হৰে আর সংখ্যায় বাড়বে। অামাদের দেশে ত আর ওরকম জীবজন্তু নেই, সুতরাং সবাই খুব আশ্চৰ্য্যও হবে। ইচ্ছা ছিল যে, গণ্ডা পাচ ছয়েক লিলিপুট লোকও সঙ্গে নেবে। কিন্তু বেলফুসকোর রাজা তাতে অনুমতি দিলেন না পাছে কোনও লিলিপুট, লোক স্বেচ্ছায় আমার পকেটের মধ্যে লুকিয়ে পালায়, সেজন্য যাবার সময়ে রাজা ও রাজকৰ্ম্মচারীব ভাল ক’রে আমার পকেট খুজে দেখেশুনে তবে যাবার হুকুম দিয়েছিলেন । রাজামশায় ও পরিচিত সকলের কাছ থেকে विनाच्न निप्म ८नोएका छानि८ब्र ब्र७ना श्प्द्रष्ट्रिगाग । দাড় ৰাইতে লাগলাম। নৌকোখানি ক্রমশঃ ক্রমশ: বেলফুসকো থেকে দূরে চলেছিল, শেষকালে সেই धैौन ि८ब्रथांद्र भठ गप्न शष्ण । श्राद्र७ খানিকক্ষণ পরে সেই রেখাটিও মিলিয়ে গিয়েছিল, আর তখন আমি অকুল সমুদে নীেকে চালিয়ে নিয়ে চললাম। তখন আকাশ বেশ পরিষ্কার, আর সেজন্য সমুদ্রও ছিল শাস্ত। মাঝে মাঝে ছু-একট। ছোট ছোট ঢেউ এসে নৌকোটাকে এক একবার নাচিয়ে দিয়ে উকি মেরে দেখে দেখে যাচ্ছিল যে, নেীকোর ভিতরে কি কি আছে, আর সেই ঢেউয়ের উপর সাদা সাদা ক্ষেনাগুলো বড় সুন্দর দেখাচ্ছিলে। নীল জলের উপর দিনের বেলাকার স্বৰ্য্যের আলোর ঝিকিমিকি, আর রাত্রে চাদ ও তারার আলোর সোণালী আভা দেখতে আমার বড় ভাল লাগত। তিন দিন সমুদ্রে পাড়ি দেওয়ার পর দূরে একখানা মস্ত পালতোলা জাহাজ দেখতে পেয়েছিলাম। খুব জোরে জোরে দাড় চালিয়ে, আর একখানা পাল তুলে দিয়ে আমার নৌকোখানা জাহাজের দিকে এগিয়ে নিয়ে চললাম। কিছুদূর অগ্রসর হওয়ার পরেই আমার নেীকোথান জাহাজের লোকেদের নজরে পড়েছিল । সমুদ্রের উপর ঐ ভাৰে নৌকোয় ভাসতে দেখে তারা বেশ বুঝতে পেরেছিল যে, আমি নিশ্চয়ই বিপদগ্ৰস্থ। জাহাজখানা স্থির হয়ে দাড়াল । জাহাজখানার পতাকা দেখে যখন বুঝেছিলাম যে, সেটা ইংরেজদের জাহাজ, তখন আনন্দে উৎফুল্ল হ’য়ে উঠেছিলাম। ধীরে ধীরে নেৰোখানাকে জাহাজের গায়ে নিয়ে গিয়ে ভেড়ালাম, আর সেই সমস্ত গরুভেড়া প্রভৃতির কতকগুলো বা পকেটের মধ্যে পুরে, কতকগুলো বা রুমালে বেঁধে নিয়ে টপ ক’রে জাহাজে গিয়ে উঠেছিলাম । छारुicछद्र कttथुन वफ़ व्झ ७१९ थूद नन নাবিক ছিলেন। তার অনুগ্রহে আমি খুব জারামেই সেই জাহাজে রয়ে গেলাম এবং বেশ নিরাপদেই ইংল্যাণ্ডে গিয়ে পৌছেছিলাম। তবে জাহাজে আমার একটা জিনিল হারিয়েছিল। জাহাজে অনেক ইদুর ছিল, একদিন একটা ইছর আমার একটা ভেড়া নিয়ে কোথায় যে পালিয়েছিল, তার কোনও খোঁজখবরই পাই নি। জাহাজ থেকে እ፭88