পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

--------- محمج۔حمد مجم۔ امام مم مم ج۔k • আন্তর্জাতিকতা রাজনীতিক বলিলেন যে, জাতীয়তার অভিব্যক্তিকে সংযত করিতে হইবে, জাতির দাবীর উপরেও যে বড় একটা দাবী আছে—আন্তর্জাতিকতার দাবী (Internationalism )—istofo (2Roi করিয়া তুলিতে হইবে। ঐ মহাযুদ্ধ ঘটিবার প্রধান একটা কারণ ছিল এই—বিভিন্ন দেশের কলহ ও অনৈক্যগুলি যুদ্ধ ছাড়া অন্য কোন উপায়ে মীমাংসা করার কোনই পথ ছিল না। তখন কোথাও এমন কোন সঙ্ঘ বা প্রতিষ্ঠান ছিল না, যাঙ্গার সম্মুখে কোন দেশ তাঙ্গার অভাব-অভিযোগ উত্থাপন করিতে পারে এবং যেখানে সকলে নিরপেক্ষভাবে আলোচনা করিয়া কলহোম্মুখ দেশগুলির মধ্যে বন্ধুত্ব পুনঃ প্রতিষ্ঠা করিতে পারে। একটা দেশের সাথে অন্ত একটা দেশের কোনপ্রকার অনৈক্য হইলেই যুদ্ধ অবশুম্ভাবী হইয়া পড়িত এবং একবার যখন যুদ্ধের আগুন জ্বলিয়া উঠিত, তখন কাহারও আর দিগ্বিদিক জ্ঞান থাকিত না, যেমন করিয়া হউক শক্র-রাজ্যকে পরাস্ত করিতে হইবে—এই ইচ্ছায় উভয় পক্ষ উন্মত্ত হইয়া উঠিত। তারপর যখন যুদ্ধ শেষ হইয়া যাইত, তখন বিজয়ী রাজ্যও দেখিত যে, যুদ্ধে তাহার যত না ক্ষতি হইয়াছে, তাহার চেয়েও বেশি ক্ষতি হইয়াছে দেশের লোকের প্রাণক্ষয়ে, দেশব্যাপী দারিদ্র্যে এবং দেশের সাধারণ জীবনযাত্রা ও সভ্যতার বিনাশে । আর পরাভূত রাজ্যের যে কত ক্ষতি হইত, তাহা সহজেই অনুমান করিতে পার। ১৯১৪-১৮ খৃষ্টাব্দের মহাযুদ্ধ হয়ত একেবারেই বাধিত না, যদি এমন কোন একটা নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান থাকিত, যাহার সম্মুখে কোন ক্ষতিগ্রস্ত দেশ অন্ত দেশের বিরুদ্ধে তাহার অভাব-অভিযোগের কথা উত্থাপন করিতে পারে। যুদ্ধটা বাধিয়াছিল খুবই সামান্ত কারণে। অষ্ট্ৰীয়া-হাঙ্গেরী তখন ছিল মস্তবড় একটা সাম্রাজ্য এবং তাহার অধীনে অনেক ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বলকান জাতি বাস করিত। এই বলকানরা কিছু কাল হইতেই স্বাধীনতা লাভ করিতে চেষ্টা করিতেছিল এবং এই ব্যাপারে তাহারা কয়েকটা স্বাধীন বলকান রাজ্য এবং রাশিয়ার সম্রাটের কাছ হইতে নানাপ্রকার সহায়তা পাইতেছিল। এদিকে অষ্ট্ৰীয়া-হাঙ্গেরীর বন্ধু ছিল জাৰ্ম্মেণী, আর রাশিয়ার বন্ধু ছিল ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেন । সকলেই একটা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হইয়াই যেন ছিল। এমন সময় একটা কাণ্ড ঘটিল, যাহার ফলে যুদ্ধ অবশুম্ভাবী হইয়া উঠিল। সেই কথাই বলিতেছি। অষ্ট্ৰীয়া হাঙ্গেরীর যুবরাজ গিয়াছিলেন তাহাদের অধীন বলকান প্রদেশ বসনিয়ার রাজধানী সেরাজেভো সহরে। সেখানে একজন বিপ্লবী তাহার গাড়ীর উপর বোমা মারিয়া তাহার প্রাণনাশ করে । " পরে জানা গেল, এই বিপ্লবী পার্শ্ববর্তী এক ক্ষুদ্র স্বাধীন বলকান রাজ্যের অধিবাসী। অমনি অষ্ট্ৰীয়া-হাঙ্গেরীর সম্রাট সেই রাজ্যের কাছে দাবী জানাইলেন, চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ক্ষতিপূরণ করিতে হইবে, নতুবা যুদ্ধঘোষণা করিব। চবিবশ ঘণ্টার মধ্যে কোন ক্ষতিপুরণ আসিল না—যুদ্ধ ঘোষিত হইল। দেখিতে দেখিতে রাশিয়া আসিল বলকানদের পক্ষে, আর জাৰ্ম্মেণী আসিল অষ্ট্ৰীয়া-হাঙ্গেরীর দিকে। কয়েকদিনের মধ্যে ফ্রান্স ও গ্রেট ব্রিটেনও রাশিয়ার সহায়তায় আসিয়া উপস্থিত হইল। তারপর পুথিবীর অনেক দেশ কোন না কোন পক্ষে এই যুদ্ধে যোগ দিল এবং সুদীর্ঘ চার বৎসর ধরিয়া সারা পৃথিবীর বুকে এই যুদ্ধ চলিল। যুদ্ধ 次》">