পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১২৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শিশু-ভারতী লইতে হইবে। যদি না মানিয়া লয়, তবু কলহ মীমাংসা করা। কোন দেশ যদি তাহারা ছয় মাসের মধ্যে কোন প্রকার যুদ্ধ লিয়" বুrর্জায়৷ করিতে পারিবে না এবং যতদিন সঙ্ঘের সভ্য থাকিবে, ততদিন যুদ্ধসংক্রান্ত কোন প্রকার আয়োজন কবিতে পারিবে না। আর যদি এমন হয় যে কাউন্সিলেব মীমাংসা এক পক্ষ মানিয়া লইল, কিন্তু অপর পক্ষ মানিতে রাজী হইল না, তখন কাউন্সিল অপর পক্ষকে সমস্ত সঙ্ঘের শক্ৰ বলিয়া ঘোষণা করিতে পারে এবং শত্র হিসাবে তাহার বিরুদ্ধে নানাপ্রকার বল প্রয়োগ করিতে পারে, যাহাতে সে কাউন্সিলের মীমাংসা মানিয়া লইতে বাধ্য হয়। প্রয়োজন হইলে কাউন্সিল অপর পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধও ঘোষণা করিতে পারে । ইহা হইতে দেখা যায়, আন্তর্জাতিক সঙ্ঘের প্রধান উদ্দেশ্য হইতেছে পরামর্শ ও বিচার-বুদ্ধি দ্বারা দেশ ও জাতিসমূহের অন্যান্ত সকল দেশের সম্মিলিত সিদ্ধান্ত মানিয়া লইতে রাজী না হয় তাহা হইলেই তাহার বিরুদ্ধে বল প্রয়োগ করা হইবে, নতুবা নয়। এই প্রকার একটা আন্তর্জাতিক সঙ্ঘ যে পৃথিবীর শান্তি ও সভ্যতা অক্ষুণ্ণ রাখার পক্ষে কতখানি দরকার, তাহা বোধ হয় তোমরা অসায়াসেই বুঝিতে পারিতেছ। দেশ বা বাজ্যসমূহ যদি কথায় কথায় যুদ্ধ দ্বারা তাহাদের পরস্পরের দাবী মিটাইক্তে চায়, তবে অর্থ ও লোকক্ষয় হয় প্রচুর, তাহা ছাড়া সভ্যতার অগ্রগতিও অনেকখানি বন্ধ হইয়া যায়। এই আন্তর্জাতিক সঙ্ঘ ১৯২০ খৃষ্টাব্দে প্রথম স্থাপিত হয় । তাৰপর অনেক দেশ এই সঙ্ঘেব সম্মুখে তাহাদেব ছোট-বড় অভাব-অভিযোগ উপস্থিত কবিয়াছে এবং সঙ্ঘের কাউন্সিলও এসেমব্লিব প্রচেষ্টায় অনেক অভাব-অভিযোগষ্ট বিনাবক্তপাতে মীমাংসা হইয়া গিয়াছে। তাহা ছাড়া স্তর এরিক ড্রামও পৃথিবীর নানাদেশের মধ্যে মৈত্রী ও একতা স্থাপন করা বিষয়েও এই আন্তর্জাতিক সঙ্ঘ &〉o8