পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

۔م۔م۔ starih-وجft প্রত্যাখ্যাত হইল। সম্মুখযুদ্ধে হোসেনের অমুচরবর্গ বিপুল ৰিক্রম প্রকাশ করিলেন, কিন্তু অসংখ্য পরিপুষ্ট শত্রু কর্তৃক দূর হইতে নিক্ষিপ্ত শরাঘাতে বহু অস্থচর প্রাণত্যাগ করিল। সমস্ত দিনব্যাপী যুদ্ধের পর পরিশ্রাপ্ত কলেবরে হোসেন পিপাসায় কাতর হইয়া জলের সন্ধানে বাহির হইলেন, কিন্তু শত্রুর শর তাহাকে বিতাড়িত করিয়া দিল । শিবিরে প্রত্যাবৰ্ত্তন করিয়া তিনি একটী শিশু সস্তান ক্রোড়ে লইয়া বাছির হইলেন। অকস্মাৎ শক্রর তীর শিশুকে বিদ্ধ করিল, একে একে তাহার পুত্র ও ভ্রাতুপুত্র নিহত হইল, পিপাসাৰ্ত্ত ও শ্রান্ত হোসেনকে একটী নারী একপাত্র জল পান করিতে দিল। ত্র্যস্ত হস্তে পাণপাত্র মুখের সম্মুখে উত্তোলন করিতেই দুব হইতে নিক্ষিপ্ত শক্রর তীর মুখ বিদ্ধ করিল, শত্রুর ব্যবহারে হতাশ হইযা হোসেন শক্ৰ নিপাতে ধাবিত হইলেন, কিন্তু রক্তপাত-হেতু অবসন্ন দেহ আর ধরিয়া রাখিতে পারিলেন না। হঠাৎ দুৰ্ব্বল দেহ ভূমিতে লুটিয়া পড়িল, শত্রুসৈন্ত মৃতপ্রায় বীরকে আক্রমণ করিল। শীমার হোসেনের মস্তক দেহ বিচুত কপিল, ছোসেনের বংশে জয়নাল আবেদীন ব্যতীত আর কেহ অবশিষ্ট রহিল না। সত্তরটা দেহ-হীন মুও এজিদের সেনাপতি ওবায়দুল্লার নিকট প্রেরিত হইল। হোসেনের মস্তক দামেস্কাসে এজিদের নিকট প্রেরিত হইল। কারবালার ,অধিবাসিগণ হোসেনের দেহাংশ ঐ স্থানে সমাধি দান করিল। সুতরাং কারবালা মুসলমানদের অতি প্রিয় স্থান। ছোসেনের ছিন্ন মুগু দামেস্কাস হইতে মদিন এবং তথা হইতে কায়রো নগরে নীত হইয়া সমাধিস্থ হইল। সেই জঙ্ক ঐ সব স্থান মুসলমানের পুণ্য তীর্থ। এমনি করিয়া হজরত মুহম্মদের বংশের শেষ বীর-সন্তানকে কারবালার বিজন মরুপ্রাস্তরে সহায়হীন তৃষ্ণাৰ্ত্ত জীবন বিসর্জন কবিতে হইল। কারবালার এই শোচনীয় কাহিনীর স্মৃতিপূজাই মহরম নামক পর্কে অনুষ্ঠিত হয়। আদিম খলিফাদের শাসন-প্রণালী খলিফাদের শাসন বহু বিস্তৃতি লাভ করিলেও শাসন-প্ৰণালী প্রথমতঃ আরবজ্ঞাতিকে বেষ্টন করিয়া গড়িয়া উঠে এবং আরবীয় জীবন-ধারার সঙ্গে খেলাফতের শাসন-প্রণালীর বিশেষ নিকটসম্বন্ধ আছে ; সুতরাং আরবীয় জীবন-ধারার সঙ্গে পাঠকের একটু পরিচয় থাকা দরকার। আরব জাতি ছিল প্রথমত: অশিক্ষিত, নিয়মবন্ধনবিহীন, অসহিষ্ণু এবং স্বাধীনতাপ্রিয়—জীৰনে যুদ্ধ করা, যুদ্ধে জয়ী হইয়াও ৰিজিতের প্রাণ নেওয়া অথবা বিজিতের হস্তে প্রাণ দেওয়া ভিন্ন অন্ত কোন চারুশিল্প বা সভ্যতার বিকাশ ছিল না। এই যুদ্ধময় জীবনের অবসর মুহূৰ্ত্তগুলিকে তাহার উৎসব, নাচ, গান ও কবিতায় ভরিয়া দিত। প্রাঙ্কু মহম্মদীয় যুগের আরবী কবিতাগুলি খুবই সরস ও মনোরম। তাহারা দেবতা ও ঈশ্বর বিশ্বাস করিত। আরবীয় ঈশ্বর ছিল বহু। প্রায়ই। দেবতার মঙ্গলবাচক ছিলেন না। বেশিব ভাগ " দেবতার মুলে ছিল রুষ্ট দেবতাব রোধ ও শাস্তি। “দেবতা মঙ্গল কর আর মা কর, অমঙ্গল কবিও না।” দেবতাদিগের সঙ্গে অবিবদিগের সম্বন্ধ ছিল দেওয়া আর নেওয়া। অনেক সময় প্রার্থনা কবিয়া ইষ্ট লাভ না কবিলে আরবীয়গণ তৎক্ষণাৎ সেই দেবতাকে ত্যাগ কবিয়া অন্ত দেবতার আশ্রম গ্রহণ করিত। দেবতার প্রাধান্ত প্রতিষ্ঠার জষ্ঠ বিভিন্ন আরব গোষ্ঠী যুদ্ধ পৰ্য্যন্ত করিতে কুষ্ঠিত হইত না। মুহম্মদকে বহু ঈশ্বর বাদ দিয়া এক ঈশ্বর প্রতিষ্ঠা করিতে অনেক লাঞ্ছনা ভোগ করিতে হইয়াছিল। মুহম্মদের অল্পবৰ্ত্তিগণ যখন একেশ্বববাদী ইসলামৃগোষ্ঠী প্রতিষ্ঠা করিতে প্রয়াস পাইলেন, তখন অন্তান্ত দেবতাবাদী আরবীয়গণ র্তাছাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করিল। বিরুদ্ধবাদিগণের প্রতিরোধমানসে মুহম্মদ খলিফা অর্থাং ধৰ্ম্মনেতার পদ সৃষ্টি করিলেন। এই খলিফা হইলেন ধৰ্ম্মযাজক, ধাৰ্মিক-মণ্ডলীর শাসক ও বিচারক। ইসলামীগণকে রক্ষণ, পালন, পরিবর্দ্ধন করাই ছিল ইহার প্রধান কাজ। প্রধানতম রাজপুরুষ রূপে যথেচ্ছাচারী হইতে পারিলেও তাহার একটা শাসন-পরিষদ ছিল। এই পরিষদের সভ্যগণ সাধারণতঃ বয়োবৃদ্ধ এবং জ্ঞানবৃদ্ধ মুহম্মদের শিষ্য হইতে মনোনীত হইয়াছিল। অবশু ছুইএকজন ‘বেদুইন সর্দার ও বিশিষ্ট নাগরিক কখনও কখনও আহত হইত। এই পরিষদে বিভিন্ন বিভাগ झिल, रु५-*ाजन, ब्रांछत्र ७ छिछिमा, विक्रांज्ञ, সংবাদ আদান-প্রদান, যুদ্ধ ও জেহাদ । ২১১২