ممام في جو چfirst , একে তাহার জীবনের সব কথা ছেলেটার কাছে প্রকাশ করিল। অলিভারের সব কথা শুনিয়া সে ছেলেটা বলিল, “তুমি আমার সঙ্গে যাইবে ? আমিও আজ লগুনে যাইতেছি । সেখানে আমি একজন খুব ভাল লোককে জানি। তুমি আমাব সহিত গিয় তাহার কাছে অতিথি হইতে পার। তিনি যে তোমার খাওয়া-পরার সব ভার লইবেন, এ আমি নিশ্চয জানি। আর তাহার বিনিমযে তোমাকে বিশেষ কিছুই করিতে হইবে না। এমণি ভাবে আবও কত ছেলে যে র্তাহার কাছে থাকে তাহাব আবে সংখ্যা নাই ।” অলিভারেব তখন যে অবস্থা, তাহাতে একটা আশ্রয় পাইলে সে বাচিয়া যায়। সেইজন্য অতি সবল মনে সে সেই ছেলেটাব সব কথা বিশ্বাস করিষা লইল এবং আশয় পাইবার সম্ভাবনাতে তাছাব মনে হইল যে, সে যেন ছাতে স্বৰ্গ পাছমছে । লণ্ডনের পথে যাইতে যাইতে অলিভার জানিল যে, সেই অদ্ভুত পোশাক পর ছেলেটাল নাম জ্যাক ডকিনস্—তবে সবাই তাছাকে চালক ডজাব বলিঘাই ডাকে। প্রায সন্ধ্যার সময়ে অলিভাব এবং ভজাল লণ্ডনে একটা নোংবা বস্তির মধ্যে গিয়া হাজিব হইল। একটা বাঙাল সাম্নে গিয ভজার যেই শিস দিল, অম্নি ভিতর হইতে কে একজন সাড়া দিল, তাহাব পর দরজাটা খুলিয়া দিল। অলিভারকে সঙ্গে লইয়া ডজাব একটা স্যাংলেতে চুনবালি-খসা নোংরা অন্ধকাব ঘবে গিয়া ঢুকিল। অলিভার দেখিল যে, ঘধেব মেঝের উপবে পাশাপাশি কয়েকটা ছেড়া চটপাত বিছানা বহিযাছে, আর ঘবের একপাশে একটা টেবিলের চারিপাশে বসিয়া তাহারই মত চার-প) ১টা ছেলে দিব্যি আরামে সিগারেট ফুকিতেছে। আর ঘরের অপর পাশে একজন বুডো খুব গম্ভীর ভাবে একবার করিয়া রান্নাৰান্না দেখিতেছে, আব একবার কবিয়া একরাশ সিস্কেব রুমাল কচো পরীক্ষা করিয়া দেখিতেছে। ঐ বুড়োই সেই বাউীখানার কওঁ। ডজার উহার কথাই অলিভারকে বলিয়াছিল। বুড়োর নাম ফ্যাগিন্-সে ইহুদি । ডজার বুড়োর কাছে গিয়া প্রথমে তাহাকে চুপিচুপি কি যেন কতকগুলা কথা বলিল, তাহার পরে অলিভারকে ডাকিয়া বুড়ো ফ্যাগিনের সহিত তাহার পরিচয় করাইয়া দিল। ফ্যাগিন খুবই আদর-অভ্যর্থনা করিয়া অলিভার টুইষ্টকে সেখানে থাকিতে বলিল । সেবাত্রে অলিভার পেট ভরিয়া খাইয়া আরামে সেই ছালাপাতা বিছানার উপরে ঘুমাইল । পরদিন সকালবেলাকার খাওয়াদাওয়া শেষ হইলে পর অলিভাব দেখিল যে, বুডে ফ্যাগিন আর চালি বেটুস নামে একটা ছেলে সেই ঘরের মধ্যেই বেশ মজার একটা খেলা খেলিতে আরম্ভ করিল। ফ্যাগিলের দল ফ্যাগিন তাহাব পাণ্টালুনের এক পকেটে একটা নন্তির ডিবা রাখিয়া, অপর পকেটে একটা ছোট নোট-বই রাখিল। তারপর তাহাব কোটের পকেটে একটা চশমার খাপ ও একটা রুমাল রাখিয়া, তাহাব ওয়েষ্ট কোটের এক পকেটে একটা ঘডি রাখিয়া, ঠিক যে ভাবে বুড়োর রাস্তা চলে, সেইভাবে ঘরের এদিক-ওদিক পায়চারি করিতে লাগিল । ডজাব আর বেটুসের কাজ হইল যে, এমনভাবে সেই সব জিনিষগুলি একে একে ফ্যাগিনের পকেট হইতে বাছিল করিষা আনিতে হইবে, যাহাতে সে কিছুই টের না পায়। উছারা সত্যসত্যই খুব কৌশলের সঙ্গে একটা একটা কবিয়া সেই সব জিনিষ বুডো ফ্যাগিনের পকেট হইতে বাহির করিয়া আনিল । ফ্যাগিন্ সত্যই কিছু টের পাইল না। মজা দেখিয়া অলিভার এমনই হাসিতে লাগিল যে, তাহার পেটে একেবারে গিল ধরিবার যোগাড় হইল। কিন্তু অল্পদিনের ভিতরেই অলিভার এইরকম খেলা করার অর্থটা বেশ পরিষ্কার করিয়াই বুঝিতে পারিল। সে বুঝিল যে, ঐ বুড়োটার চুরি করা ও পকেট-মারার ব্যবসায় আছে। বুডোর নিজের বয়স হইয়াছে, কাজেই নিজে ও-সব হাত-সাফাইয়ের কাজ করিবার সাহস পায় না, সেইজষ্ঠ কতকগুলা ছেলেকে খাওয়া-পরা দিয়া হাতে রাখিয়াছে। আর রোজই একবার করিয়া চুরি করা ও পকেট মারার খেল খেলিয়া উহাদের হাত পাকায়। ফ্যাগিন প্রাযই ছেলেদের শিখাইত যে, কেমন করিয়া দুই আঙ্গুলে করিয়া বুকপকেট হইতে ফস করিয়া রুমাল বা মনিবাগ তুলিযা লইতে হয়—কেমন করিয়া পকেট হইতে ঘড়ি চুরি করিতে হয়—কেমন করিয়া পাশের পকেট বা প্যান্টালুনের পকেট হইতে জিনিষ-পত্র সরাইতে হয় ইত্যাদি। २>२¢
পাতা:শিশু-ভারতী - ষষ্ঠ খণ্ড.djvu/১৫০
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।